হ্যাটট্রিকের দিনেই হার দুই তারকার

একই দিনে জোড়া হ্যাটট্রিক দেখল আইপিএল। বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের স্যামুয়েল বদ্রী। আর রাজকোটে রাইজিং পুণে সুপারজায়ান্টের বিরুদ্ধে এ বারের আইপিএলের প্রথম পাঁচ উইকেট নেওয়ার পথে হ্যাটট্রিক করলেন গুজরাত লায়ন্সের অ্যান্ড্রু টাই।

বিরাট কোহালির দলের লেগস্পিনার স্যামুয়েল বদ্রী চার ওভার বল করে ৯ রান দিয়ে পেলেন চার উইকেট। যার মধ্যে এক ওভার আবার মেডেন। তার চেয়েও বড় তথ্য, ক্যারিবিয়ান এই লেগস্পিনারের হ্যাটট্রিক এল পাওয়ার প্লে চলাকালীন। বদ্রীর হ্যাটট্রিকে শিকার হলেন পার্থিব পটেল, মিচেল ম্যাকক্লেনাঘান এবং রোহিত শর্মা।

আর রাজকোটের মাঠে গুজরাত লায়ন্সের অস্ট্রেলীয় মিডিয়াম পেসার অ্যান্ড্রু টাই চার ওভারে ১৭ রান দিয়ে পেলেন ৫ উইকেট। টাই অবশ্য তাঁর হ্যাটট্রিকের ওভারটি করলেন শেষের দিকে। ১৯ তম ওভারে তাঁর শিকার অঙ্কিত শর্মা, মনোজ তিওয়ারি এবং শার্দূল ঠাকুর। শুক্রবার দু’জনেরই চলতি বছরের আইপিএল-এ ছিল প্রথম ম্যাচ। এটা যদি দু’জনের একমাত্র মিল হয়ে থাকে, তা হলে অমিল ম্যাচের ফলে। দুরন্ত হ্যাটট্রিক করেও দলকে জেতাতে পারেননি স্যামুয়েল বদ্রী। হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচে বদ্রী-র প্রতিপক্ষ মুম্বই ইন্ডিয়ান্স সাত বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতল চার উইকেটে। আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম বার কোনও টিম ম্যাচ জিতল দশ রানের কমে চার উইকেট খুইয়েও।

আরও পড়ুন: হ্যাটট্রিকের দিনেই হার দুই তারকার

আর চাপের মুখে ৪৭ বলে ৭০ রানের ইনিংস খেলে মুম্বইকে জিতিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেলেন আর এক ক্যারিবিয়ান কায়রন পোলার্ড। আর রাজকোটের ম্যাচে টাইয়ের গুজরাত লায়ন্স এ বারের টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচ জিতল দু’ ওভার বাকি থাকতেই। সাত উইকেটে রাইজিং পুণে সুপার জায়ান্টকে হারাল তারা।

দুই হ্যাটট্রিকের দিনে নজরে থাকলেন দুই তারকাও। কিন্তু দু’জনেই হেরে গেলেন। বেঙ্গালুরুর ম্যাচে ম্যাচ ফিট হয়ে মাঠে নেমেই আইপিএল-এ ব্যাট হাতে বিরাট কোহালি করলেন ৪৭ বলে ৬২। তৃতীয় ওভারে বিপক্ষের টিম সাউদিকে এক ওভারে দু’টি চার এবং একটি ছক্কা মারেন তিনি। তবু তাঁর দল হেরে গেল। বিরাট রান পেয়েও জিতলেন না। আর রাজকোটে এ দিনও রান পেলেন না মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। চলতি আইপিএলে তাঁকে অধিনয়াকত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছে পুণে ফ্র্যাঞ্চাইজি। ব্যাটেও রান নেই। এ দিন করলেন মাত্র ৫ রান। সদ্য পিতৃহারা মনোজ তিওয়ারি করলেন ২৭ বলে ৩১ রান।