কাঁধে স্ট্র্যাপটা এখনও লাগানো। চোটটা পুরোপুরি সেরে গিয়েছে কি? মঙ্গলবার বিকেলে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে তাঁকে দেখে এই প্রশ্নটাই মনে এল। চড়া রোদে হালকা ফিল্ডিং করার সময় একবার জার্সিটাও গা থেকে খুলে ফেললেন ক্রিস লিন। মনে হচ্ছিল যেন প্রচণ্ড অস্বস্তিতে ভুগছেন। অনুশীলন শেষে সেটা জিজ্ঞেস করতে বললেন, ‘‘স্ট্র্যাপটা তো আমার সুরক্ষার জন্য। যাতে বাড়তি পরিশ্রম করতে কোনও অসুবিধা না হয়। ওটা থাকলে দৌড়ঝাঁপ করার সাহসটা পাই।’’
শারীরিক ভাবে তিনি অস্বস্তিতে রয়েছেন মনে হলেও তাঁর ওপেনিং পার্টনারকে নিয়ে প্রশ্নে বিন্দুমাত্র অস্বস্তি নেই কেকেআরের অস্ট্রেলীয় রানমেশিনের। বুধবার ওপেনিং জুটিতে বদল নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কলকাতার সাংবাদকিদের লিন বলেন, ‘‘বেঙ্গালুরুতে আগের ম্যাচে তো নারাইন ভালই খেলেছে। অসুবিধেটা কী? আমাদের মনে হয় এটাই সেরা ওপেনিং কম্বিনেশন। দলের ভাল যাতে হবে, সেটাই তো ঠিক।’’
তবে ন’দিন আগে যে ভাবে চিন্নাস্বামী কাঁপিয়ে জয় নিয়ে গিয়েছিলেন নাইটরা, এ বার অত সহজ হবে না বলেই মনে করছেন অস্ট্রেলীয় ওপেনার। বলেন, ‘‘আগের ম্যাচে প্রতিপক্ষ ছিল আরসিবি। ওরা মোটেই ছন্দে ছিল না। এ বার হায়দরাবাদ। অন্য রকম একটা চ্যালেঞ্জ। এখানে আউটফিল্ড গতিময়। কিন্তু উইকেট ধীরগতির। তার উপর শেষ তিন ম্যাচে আমাদের যা হয়েছে, সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে এসে আমাদের সেরাটা দিতে হবে। তাই এখন আমরা সব সময় বেশি সচেতন হয়ে খেলব।’’
পাঁচ ম্যাচে ২৮৫ রান করেছেন। তিনটে হাফ সেঞ্চুরি। ৭১-এর উপর গড় ও ১৮৬-র স্ট্রাইক রেট। এই পারফরম্যান্স যাঁর, তিনি নিজেও স্বীকার করছেন না দলের সবচেয়ে বড় ব্যাটিং ভরসা তিনিই। বললেন, ‘‘শুধু আমি কেন? জিজি (গম্ভীর), উথাপ্পা, সানি (নারাইন) সবাই তো ভাল ব্যাট করছে। দলের ব্যাটিংয়ে বেশ ব্যালান্স আছে। তবে আমি বেশ উপভোগ করছি টুর্নামেন্টটা।’’
আরও খবর: আইপিএল প্লে-অফে মহারাষ্ট্র ডার্বি
এই দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের রহস্যভেদ করলেন নিজেই। বললেন, ‘‘ওপেন করার সুযোগ পেয়ে আরও স্বস্তির জায়গায় চলে গিয়েছি। নিজের স্বাভাবিক খেলাটা খেলার সুযোগ পাচ্ছি আরও বেশি করে।’’ ফিল্ডিংয়ে ভাল করতে হবে। রোজ ক্যাচ পড়ছে। তবে ফিল্ডিং নিয়ে যে চিন্তায় আছেন, তা অস্বীকার করলেন না তিনি। ‘‘ফিল্ডিংটা আাদের আরও ভাল করতে হবে। রোজই দু-তিনটে করে ক্যাচ পড়ছে। প্র্যাকটিসে শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করছি।। ফিল্ডিং নিখুঁত হলে খেলাটাই অন্যরকম হয়ে যায়,’’ ব্যাখ্যা তাঁর।
দলের ফিল্ডিং ছাড়াও আর একটা ব্যাপারও তাঁকে চিন্তায় রেখেছে বলে তাঁর কথায় মনে হল। স্বদেশীয় নেথান কুল্টার নাইলের চোট। পুণের বিরুদ্ধে ম্যাচে চোটটা যতটা না মাথায় লাগে তাঁর, তার চেয়েও বেশি লাগে আত্মবিশ্বাসে। আতঙ্কে আছেন, ফিল হিউজের মতো ঘটনা তাঁর সঙ্গেও না ঘটে, সেই ভেবে। যদিও তাঁকে সাহস জোগানো হচ্ছে, কিন্তু তাতেও আতঙ্ক যাচ্ছে না তাঁর। লিনই জানালেন এই কথা। বলেন, ‘‘ওর শরীর ঠিক হলেও মন ঠিক হয়নি। আজ তো শুধু বোলিংই করল। ওর হেলমেটে জোরে বল লেগেছে। ফিল হিউজের ঘটনার পর এটা হাল্কা ভাবে নেওয়া যায় না। ’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy