সুদর্শন (বাঁ দিকে) এবং শুভমন। ছবি: পিটিআই।
হারলেই এ বারের আইপিএল থেকে বিদায়। মাথার উপর সেই চাপ নিয়ে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল গুজরাত টাইটান্স। চেন্নাই বোলারদের পিটিয়ে ২৩১/২ রান তুলল তারা। একই ইনিংসে জোড়া শতরান দেখা গেল। শুভমন গিল এবং সাই সুদর্শন দু’জনেই শতরান করলেন। ১৮তম ওভারে জুটি ভাঙল। তত ক্ষণে যুগ্ম ভাবে সর্বোচ্চ ওপেনিং জুটির নজির তৈরি হয়ে গিয়েছে।
মিচেল স্যান্টনার প্রথম ওভারে দিলেন ১৪ রান। সেই শুরু। পঞ্চম ওভারে শার্দূল ঠাকুর তিন রান দেন। এ ছাড়া আর দু’টি বাদে প্রতিটি ওভারেই ১০ রানের বেশি তুলেছে গুজরাত। সিমরজিত সিংহের একটি ওভার থেকে আসে ২৩ রান। বাকি কোনও বোলারই দাঁত ফোটাতে পারেননি।
২০২২ সালের বিজয়ী গুজরাত এই ম্যাচের আগে সবার শেষে ছিল। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে তাই প্রথম ওভার থেকেই নিজের মনোভাব স্পষ্ট করে দেন দুই ওপেনার। মাঠের এমন কোনও দিক নেই যে দিকে তাঁরা বল মারেননি। ইনিংসের অর্ধেকও তখন গড়ায়নি। ক্যামেরা ধরে চেন্নাই অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়। হতাশ মুখে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির অবস্থাও সে রকম ছিল।
আসলে এই ম্যাচে চেন্নাই তিন প্রধান পেসারকে ছাড়াই খেলতে নেমেছিল। দীপক চাহার চোটে বাইরে। মুস্তাফিজুর রহমান এবং মাথিশা পাথিরানা দেশে ফিরে গিয়েছেন। ভাঙাচোরা বোলিং বিভাগ নিয়ে গুজরাতের এই মারমুখী ব্যাটিংয়ের সামনে সামাল দিতে পারেননি।
এক সময় মনে হচ্ছিল কে আগে শতরান করবেন। দু’জনেই দাঁড়িয়েছিলেন ৪৮ বলে ৯৬ রানে। ১৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে সিমরজিৎকে চার মেরে শতরান পূরণ করেন শুভমন। সেই ওভারেরই শেষ বলে ছয় মেরে শতরান হয় সুদর্শনের।
দু’জনেই পর পর ফিরে যান। একই ওভারে শুভমন (১০৩) এবং সুদর্শনকে (১০৪) তুলে নেন তুষার দেশপান্ডে। গুজরাতের রান তোলার গতিও কমে যায়। পরের দিকের দুই ব্যাটার ডেভিড মিলার বা শাহরুখ খান সেই গতি বজায় রাখতে পারেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy