আইপিএল ট্রফি। —ফাইল চিত্র।
আইপিএলের গ্রুপ পর্বে আর মাত্র আটটি ম্যাচ বাকি রয়েছে। এখনও পর্যন্ত একমাত্র কলকাতা নাইট রাইডার্স প্লে-অফ পাকা করেছে। বাকি তিনটি জায়গার জন্য লড়াই চলছে সাতটি দলের মধ্যে। তবে সবার সুযোগ সমান নয়। কারও সুযোগ বেশি। কারও কম।
টানা পাঁচটি ম্যাচ জিতে প্লে-অফের লড়াইয়ে ভাল জায়গায় উঠে এসেছে বিরাট কোহলিদের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। রাজস্থান রয়্যালসকে হারিয়ে আশা বাড়িয়েছে চেন্নাই সুপার কিংসও। এমনকি আট নম্বরে থাকা গুজরাত টাইটান্সও খাতায়-কলমে প্লে-অফের লড়াইয়ে রয়েছে।
বাকি আটটি ম্যাচে কী কী ফল হতে পারে তা হিসাব করা হয়েছে। তার ফলেই বোঝা গিয়েছে প্রতিটি দলের প্লে-অফে ওঠার সম্ভাবনা কতটা রয়েছে। কেকেআর যে হেতু প্লে-অফে উঠে গিয়েছে তাই তাদের এক বা দু’নম্বরে শেষ করার সম্ভাবনা দেখা হয়েছে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও পঞ্জাব কিংস আইপিএল থেকে বিদায় নেওয়ায় তাদের এই হিসাবের মধ্যে রাখা হয়নি।
দেখে নেওয়া যাক কোন দলের সামনে কী অঙ্ক রয়েছে।
কলকাতা নাইট রাইডার্স— ১২ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফে উঠেছে কেকেআর। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে শেষ করার সম্ভাবনা ৬২.৫ শতাংশ। তাদের প্রথম দুইয়ে শেষ করার সম্ভাবনা ৮৭.৫ শতাংশ। কেকেআর যদি বাকি দু’টি ম্যাচ হারে ও হায়দরাবাদ তাদের বাকি দু’টি ম্যাচ জেতে তা হলে দুই দলের পয়েন্ট সমান হবে। তার পরেও নেট রানরেটে কলকাতার প্রথম দুইয়ে থাকার সম্ভাবনা বেশি।
রাজস্থান রয়্যালস— ১২ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট। হারের হ্যাটট্রিক করলেও এখনও রাজস্থানের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে শেষ করার সম্ভাবনা ১২.৫ শতাংশ। তাদের প্রথম দুইয়ে শেষ করার সম্ভাবনা ৩৭.৫ শতাংশ। যদি রাজস্থান বাকি দু’টি ম্যাচ হারে তা হলে চেন্নাই ও হায়দরাবাদের সঙ্গে একই পয়েন্টে শেষ করতে পারে তারা। তার পরেও নেট রানরেটের বিচারে প্লে-অফে উঠতে পারে রাজস্থান।
চেন্নাই সুপার কিংস— ১৩ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট। মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের প্রথম চারে শেষ করার সম্ভাবনা ৯১ শতাংশ। আরও দুই বা তিনটি দলের সঙ্গে একই পয়েন্টে শেষ করার সম্ভাবনাও রয়েছে তাঁদের। সে ক্ষেত্রে কাজে আসবে নেট রানরেট। ধোনিদের নেট রানরেট কেকেআরের পরেই সব থেকে ভাল।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ— ১২ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট। এক ম্যাচ কম খেলায় চেন্নাইয়ের থেকেও হায়দরাবাদের প্রথম চারে ওঠার সম্ভাবনা বেশি (৯৭ শতাংশ)। কলকাতা ও রাজস্থানের সঙ্গে তাদের একই পয়েন্টে শেষ করার সম্ভাবনা ৩ শতাংশ।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু— ১৩ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট। শেষ ম্যাচ জিতলে বেঙ্গালুরুর প্লে-অফে ওঠার সম্ভাবনা ৪০ শতাংশ। আরও পাঁচটি দলের সঙ্গে একই পয়েন্টে শেষ করারও সম্ভাবনা রয়েছে তাদের। কোহলিদের নেট রানরেট বাড়ায় সুযোগ বেড়েছে তাঁদের।
দিল্লি ক্যাপিটালস— ১৩ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট। দিল্লির প্লে-অফে ওঠার সম্ভাবনা ৩১.৩ শতাংশ। তিন থেকে পাঁচটি দলের সঙ্গে একই পয়েন্টে শেষ করতে পারে তারা। সে ক্ষেত্রে দেখা হবে নেট রানরেট।
লখনউ সুপার জায়ান্টস— ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট। এক ম্যাচ কম খেলায় লখনউয়ের প্লে-অফে ওঠার সম্ভাবনা বেশি (৫৬ শতাংশ)। তিনটি দলের সঙ্গে একই পয়েন্টে শেষ করতে পারেন লোকেশ রাহুলেরা।
গুজরাত টাইটান্স— ১২ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট। তাদের প্লে-অফে ওঠার সম্ভাবনা সব থেকে কম (১৬ শতাংশ)। আরও চার বা পাঁচটি দলের সঙ্গে একই পয়েন্টে শেষ করার সম্ভাবনাও রয়েছে তাদের। তবে গুজরাতের নেট রানরেট কম থাকায় সুযোগ কম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy