রবিবার ধোনির চেন্নাইকে হারাতেই হবে নীতীশদের। ছবি: আইপিএল।
ঘরের মাঠে রাজস্থান রয়্যালসের কাছে হারের পর রবিবার চেন্নাই সুপার কিংসের মুখোমুখি কলকাতা নাইট রাইডার্স। আইপিএলের প্লে-অফে যাওয়ার আশা জিইয়ে রাখতে হলে মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের বিরুদ্ধে জিততেই হবে নীতীশ রানাদের। হার মানেই আশা শেষ।
রবিবারের ম্যাচ কেকেআরের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লিগ পর্বের ১৩তম ম্যাচের আগেও প্রথম একাদশ বেছে নিতে পারেননি নাইটরা। ব্যাটার এবং বোলারদের ধারাবাহিকতার অভাব গোটা মরসুমেই ভুগিয়েছে কেকেআরকে। ইডেনে রাজস্থানের বিরুদ্ধেও নীতীশদের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। টানা ব্যর্থতার পরেও সুনীল নারাইনকে পরের পর ম্যাচ খেলিয়ে যাওয়া নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
ধোনির দল আইপিএলের প্লে-অফে কার্যত উঠে গিয়েছে। বাকি দু’টি ম্যাচের একটি জিতলেই নিশ্চিত হয়ে যাবে। স্বভাবতই ঘরের মাঠে কলকাতাকে হারাতে মরিয়া থাকবেন তাঁরা। শুরুর দিকে কিছুটা ছন্নছাড়া লাগলেও অভিজ্ঞ ধোনি দ্রুত গুছিয়ে নিয়েছেন দল। অজিঙ্ক রাহানের মতো ক্রিকেটারকেও বদলে দিয়েছেন অধিনায়ক ধোনি। দেশি-বিদেশি একঝাঁক তরুণ ক্রিকেটার তাঁর ভরসা হয়ে উঠেছেন। অধিনায়ক নিজে বাঁ হাঁটুর চোট নিয়ে খেলছেন। সেটাও দলের অন্যদের ভাল পারফরম্যান্স করার জন্য আরও মরিয়া করে তুলছে।
কার্যত মরণ-বাঁচন ম্যাচে ছন্দে থাকা চেন্নাইকে তাদের ঘরের মাঠে সামলাতে হবে কলকাতাকে। এই ম্যাচে চাপে থাকবেন নীতীশরাই। কারণ হার মানেই এ বারের আইপিএল অভিযান শেষ হয়ে যাবে। লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচ হবে কেবল নিয়মরক্ষার। নিউ জ়িল্যান্ডের দুই জোরে বোলার টিম সাউদি এবং লকি ফার্গুসনের এক জনকে রবিবার খেলানোর সম্ভাবনা রয়েছে। প্রথম একাদশে ফিরতে পারেন উমেশ যাদবও। শেষ দু’টি ম্যাচে কেকেআরের জোরে বোলিং আক্রমণে অভিজ্ঞতার অভাব স্পষ্ট দেখা গিয়েছে। উপরের দিকের ব্যাটারদের ধারাবাহিকতার অভাবও কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের অন্যতম চিন্তা।
দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া কেকেআর কি পারবে চেন্নাইয়ের ২২ গজে ধোনির দলকে হারিয়ে আশা বাঁচিয়ে রাখতে? এটাই এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন কেকেআর সমর্থকদের। ১২ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট পাওয়া নাইটদের উপর বাজি ধরতে পারছেন না অতি বড় সমর্থকও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy