আইপিএলের আগেই ধুমধাম করে হয়ে গিয়েছে মেয়েদের প্রথম আইপিএল, যা পরিচিত উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগ নামে। আইপিএলের দিল্লি, মুম্বই এবং বেঙ্গালুরু নিজেদের নামে দল নামালেও গুজরাত এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে দুই আলাদা মালিকের দল খেলেছে। কলকাতার তরফে তখনই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল দ্রুত মহিলাদের দল নামানোর। কিন্তু আগামী দু’বছর কোনও ভাবেই সেটা হবে না।
সংবাদ সংস্থাকে সাক্ষাৎকারে আইপিএলের চেয়ারম্যান অরুণ ধুমল জানিয়েছেন, প্রথম তিন বছর তাঁরা পাঁচটি দলই রাখতে চান। তার পরে দল বাড়ানোর কথা ভাবা হতে পারে। ধুমল বলেছেন, “দলের সংখ্যা বাড়ানোর ব্যাপারে আমাদের ভাবনাচিন্তা চলছে। কিন্তু আগামী তিন বছর দল বাড়ানোর কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে পরের বছর থেকেই হোম এবং অ্যাওয়ে ফরম্যাট চালু হতে চলেছে। জাতীয় দলের খেলা কখন রয়েছে সেটা দেখে নিয়ে ডব্লিউপিএলের সূচি চূড়ান্ত করা হবে। দর্শকদের দেখে বলতে পারি, ঘরে-বাইরে খেলা হলে জমে যাবে।”
আরও পড়ুন:
দল না বাড়ানোর অন্যতম একটা কারণ ঘরোয়া ক্রিকেটে যথেষ্ট সংখ্যক প্রতিভার অভাব। এমনিতেই মহিলাদের আইপিএলে পাঁচ বিদেশি খেলেন, যা ছেলেদের আইপিএলের থেকে একটি বেশি। তার উপর এ বারের ডব্লিউপিএলে সাইকা ইশাক, কণিকা আহুজা এবং শ্রেয়াঙ্কা পাটিল বাদে কেউ ভাল কিছু করে দেখাতে পারেননি। তবে ধুমল আশাবাদী। বলেছেন, “অনূর্ধ্ব-১৯ দল বিশ্বকাপ জিতেছে। যে ভাবে ডব্লিউপিএলের প্রথম মরসুম গিয়েছে, তাতে আগামী দিনে এই লিগকে ঘিরে আরও উন্মাদনা বাড়বে বলেই আমাদের বিশ্বাস।”