নজর: গম্ভীরদের নজরে এখন ইডেনের পিচ। —নিজস্ব চিত্র।
সবে সন্ধ্যা নেমেছে ইডেনে। মাঠ জুড়ে লাল-কালো জার্সির দাপট। কোথাও নেটে বল পেটাচ্ছেন ক্রিস লিন। কোথাও ফিল্ডিং অনুশীলনে ঝাঁপাচ্ছেন মণীশ পাণ্ডে। কোথাও আবার সুনীল নারাইন হাত ঘুরিয়ে নিচ্ছেন। এ বছরের মতো ইডেনে নাইটদের শেষ অনুশীলনে ছবিটা এ রকমই ছিল। এর মধ্যেই হঠাৎ নীল জার্সিতে দুই ভদ্রলোককে দেখা গেল মাঠে। একজন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কোচ মাহেলা জয়বর্ধনে। তাঁর সঙ্গে দলের ম্যানেজার রাহুল সাংভি।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের তো নেট প্র্যাকটিস করার কথা নয়। তা সত্ত্বেও এঁরা দু’জন ইডেনে কেন? শুরু হল গুঞ্জন। রোহিত শর্মারা কি সন্ধ্যায় ইডেনে অনুশীলনে নামবেন? খোঁজ নিয়ে জানা গেল, তা নেহাতই গুজব। এই মাঠেই ৫৯ বলে ১১০ রানের অপরাজিত ইনিংস ছিল শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন অধিনায়কের। কিন্তু সে সাত বছর আগের কথা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যে ইডেনের পিচ-চরিত্র বদলেছে, তা শুনেই শহরে পা দিয়ে তিনি সোজা চলে আসেন ইডেনে।
পিচ দেখে মাঠ থেকে বেরবার সময় বলে গেলেন, ‘‘জানি ইডেনে উইকেটের চরিত্র অনেক পাল্টেছে। সেটা দেখতেই তো এসেছিলাম। উইকেট ভালই।’’ বৃহস্পতিবার ওয়াংখেড়ের মতো রানফোয়ারা ইডেনে হওয়ার সম্ভাবনা কম। এ পর্যন্ত এ বারের আইপিএলে ইডেনে কোনও ম্যাচে এক ইনিংসে দুশো রানও ওঠেনি। তাই মাহেলাদের পিচ দেখতে আসাটাই স্বাভাবিক।
সন্ধ্যায় আবার আর এক কাণ্ড। হঠাৎ ইডেনের মাঠের মাঝখানে একঝাঁক মাঠকর্মীর ভীড় দেখা গেল। সিএবি-র কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায় ও বোর্ডের আঞ্চলিক কিউরেটর আশিস ভৌমিক দু’জনকেই হন্তদন্ত হয়ে মাঠে যেতে দেখা গেল। তাঁর কিছুক্ষণ আগেই কেকেআর সিইও বেঙ্কি মাইসোরের সঙ্গে সুজনকে কথা বলতে দেখা গিয়েছে। তার পরই এই তৎপরতা।
শোনা গেল, শনিবারের ম্যাচের জন্য বরাদ্দ ইডেনের পাঁচ নম্বর উইকেটে এটা চতুর্থ ম্যাচ। তাই উইকেটের গতি ও বাউন্স কিছুটা হলেও কমতে পারে। নাইটদের তরফ থেকে নাকি অনুরোধ করা হয়েছিল, গতি ও বাউন্স আরও কমানোর ব্যবস্থা করতে। বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের ব্যাটসম্যানদের বিধ্বংসী মেজাজ দেখার পরই সম্ভবত এই আবদার কেকেআরের।
কিন্তু শুক্রবার বিকেলেও উইকেটে জল দিয়ে রোল করা হয়েছে। গতি-বাউন্স কমানোর ব্যবস্থা করা কঠিন বলে জানিয়ে দেন কিউরেটররা। সুজন অবশ্য পুরো ঘটনাটাই অস্বীকার করেন। তবে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পিচ শুকনো করার কাজ শুরু হয়ে গেল, যাতে যথাসম্ভব মন্থর করে দেওয়া যায় বাইশ গজকে। নাইটদের অনুশীলনেও আর এক দুর্ঘটনা। নেটে ব্যাট করার সময় সূর্যকুমার যাদবের মাথার পিছন দিকে বলের আঘাত লাগে। যার পর প্রায় মিনিট কুড়ি মাঠের ধারে চুপ করে বসে ছিলেন তিনি। আর নেটে ব্যাট করতেও পারেননি। তবে ইডেন থেকে বেরবার সময় বলে গেলেন, তিনি ঠিক আছেন। এমনিতেই নেথান কুল্টার নাইল চোটের জন্য এ দিন অনুশীলনেই আসতে পারেননি। তার উপর যদি সূর্যও ছিটকে যান, তা হলে গম্ভীরদের উদ্বেগ যে বাড়তে পারে প্লে অফে, তাতে সন্দেহ নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy