আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের ‘ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট’ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রথম ম্যাচে হারতে হল দলকে। ছবি: আইপিএল
আইপিএলে হার দিয়ে শুরু করল দিল্লি ক্যাপিটালস। প্রথম ম্যাচে সঞ্জীব গোয়েনকার লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে ৫০ রানে হারতে হল দলকে। ডাগআউটে বসে তা দেখলেন দলের ‘ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট’ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বার বার তাঁর চোখমুখ বুঝিয়ে দিচ্ছিল যে দলের খেলায় কতটা হতাশ তিনি।
টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি। শুরুটা খুব একটা ভাল হয়নি লখনউয়ের। ব্যাটে-বলে হচ্ছিল না অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের। বড় শট মারতে পারছিলেন না কাইল মায়ের্সও। রাহুল মাত্র ৮ রান করে আউট হয়ে যান। ১৪ রানের মাথায় মায়ের্সের সহজ ক্যাচ ফস্কান খলিল আহমেদ। তার পরেই খেলার ছবিটা বদলে যায়।
ক্যাচ ফস্কানোর খেসারত দিতে হল দিল্লিকে। এক বার জীবনদানের পরে বিধ্বংসী ইনিংস খেললেন মায়ের্স। তাঁকে আটকাতে পারছিলেন না দিল্লির কোনও বোলার। পেসার, স্পিনার সবার বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করছিলেন তিনি। মাত্র ২৮ বলে অর্ধশতরান করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৩৮ বলে ৭৩ রান করে আউট হন মায়ের্স। অক্ষর পটেলের বল মিস্ করে বোল্ড হন তিনি। ইনিংসে ২টি চার ও ৭টি ছক্কা মেরেছেন মায়ের্স।
লখনউয়ের মিডল অর্ডার ব্যাটাররা তেমন রান করতে পারেননি। শেষ দিকে দলের ইনিংসকে টানলেন আরও এক বাঁ হাতি ক্যারিবীয় ব্যাটার নিকোলাস পুরান। নামার পর থেকে একের পর এক বড় শট মারতে থাকেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৩৬ রানে আউট হন পুরান। ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রান করে লখনউ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে দিল্লির দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও পৃথ্বী শ শুরুটা ভাল করেছিলেন। প্রথম ৩ ওভারে ৩৩ রান হয়। কিন্তু চতুর্থ ওভারে বল করতে এসে ছবিটা বদলে দেন মার্ক উড। পর পর দু’বলে পৃথ্বী ও মিচেল মার্শকে আউট করেন তিনি। সেই ধাক্কা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি দিল্লি।
মিডল অর্ডারে রিলি রুসো ছাড়া আর কোনও ব্যাটার রান পাননি। একের পর এক উইকেট পড়তে থাকে। খেই হারিয়ে ফেলেন দিল্লির ব্যাটাররা। এক প্রান্তে ছিলেন অধিনায়ক ওয়ার্নার। কিন্তু তাঁকে কেউ সঙ্গ দিতে পারেননি। শেষে ৪৭ রানের মাথায় ওয়ার্নার আউট হলে দিল্লির সব আশা শেষ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ১৪৩ রানে শেষ হয় তাদের ইনিংস। লখনউয়ের হয়ে দুরন্ত বল করলেন উড। ৫ উইকেট নিলেন তিনি।
দিল্লির ডাগআউটে সৌরভের সঙ্গে ছিলেন দলের প্রধান কোচ রিকি পন্টিংও। দলের খারাপ পারফরম্যান্স দেখে যে তাঁরা হতাশ সেটা তাঁদের চোখেমুখে ধরা পড়ছিল। দুই প্রাক্তন অধিনায়ক বুঝতে পারছিলেন, খেলা হাত থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত সেটাই হল। অন্য দিকে আইপিএলের শুরুটা ভাল হল সঞ্জীবের দলের জন্য। প্রথম ম্যাচ থেকে তরতর করে চলতে শুরু করেছে দলের ইঞ্জিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy