হায়দরাবাদের দুই ওপেনার (বাঁ দিকে) অভিষেক শর্মা এবং ট্র্যাভিস হেড। ছবি: আইপিএল।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এবং দিল্লি ক্যাপিটালস ম্যাচে একাধিক নজির তৈরি হয়েছে শনিবার। অধিকাংশ নজির গড়েছেন প্যাট কামিন্সের দলের ব্যাটারেরা। কোনও নজির ব্যক্তিগত। আবার কোনও নজির তৈরি হয়েছে দলগত ভাবে। সব মিলিয়ে ১০টি নজির হয়েছে শনিবারের ম্যাচে।
১) হায়দরাবাদের দুই ওপেনার ট্র্যাভিস হেড এবং অভিষেক শর্মা দিল্লির বিরুদ্ধে প্রথম ৬ ওভারে তুলেছিলেন ১২৫ রান। আইপিএলের ইতিহাসে পাওয়ার প্লেতে এটাই কোনও দলের সর্বোচ্চ রানের নজির। এর আগে পাওয়ার প্লেতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের দখলে। ২০১৭ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ১০৫ রান তুলে ছিল কেকেআর।
২) শনিবার হেড ২৬ বলে ৮৪ রান করেছেন দলের ইনিংসের প্রথম ৬ ওভারে। পাওয়ার প্লেতে হায়দরাবাদের কোনও ব্যাটারের করা এটাই সর্বোচ্চ রানের নজির। তিনি ভেঙে দিয়েছেন স্বদেশীয় ডেভিড ওয়ার্নারের রেকর্ড। ২০১৯ সালে কেকেআরের বিরুদ্ধে পাওয়ার প্লেতে ২৩ বলে ৬২ রান করেছিলেন ওয়ার্নার।
৩) দিল্লির বিরুদ্ধে হেড ১৬ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। অস্ট্রেলীয় ব্যাটার স্পর্শ করেছেন সঙ্গী ওপেনার অভিষেকের নজির। তিনিও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ১৬ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করেছিলেন। আইপিএলে হায়দরাবাদের আর কোনও ব্যাটার এত কম বল খেলে অর্ধশতরান করতে পারেননি। তবে এই ক্ষেত্রে আইপিএলের রেকর্ড রয়েছে রাজস্থান রয়্যালসের অভিষেক জয়সওয়ালের। তিনি ১৩ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করেছিলেন।
৪) আইপিএলে পাওয়ার প্লের মধ্যে এই নিয়ে তৃতীয় অর্ধশতরান পূর্ণ করেছেন হেড। একই নজির রয়েছে ক্রিস গেল এবং সুনীল নারাইনের। তবে রেকর্ড রয়েছে ওয়ার্নারের দখলে। তিনি আইপিএলে ছ’বার পাওয়ার প্লের মধ্যে অর্ধশতরান পূর্ণ করেছেন।
৫) শনিবারের ম্যাচে পাঁচ ওভারের মধ্যে ১০০ রান তুলেছে হায়দরাবাদ। আইপিএলের ইতিহাসে আর কোনও দল এত দ্রুত ১০০ রান করতে পারেনি। আগের রেকর্ডটি ছিল চেন্নাই সুপার কিংসের। তারা ২০১৪ সালে তৎকালীন কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ছয় ওভারে ১০০ রান তুলেছিল।
৬) দিল্লির বিরুদ্ধে প্রথম ১০ ওভারে শনিবার হায়দরাবাদের ব্যাটারেরা তুলেছেন ৪ উইকেটে ১৫৮ রান। আইপিএলের ইতিহাসে আর কোনও দল ১০ ওভারে এত রান তুলতে পারেনি। আগের রেকর্ডটিও ছিল হায়দরাবাদের দখলেই। নিজেদের নজিরই উন্নত করেছে তারা। এর আগে হায়দরাবাদ ১০ ওভারে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ২ উইকেটে ১৪৮ রান।
৭) শনিবার ১৪.৫ ওভারে ২০০ রান তুলেছে হায়দরাবাদ। আইপিএলের ইতিহাসে দ্রুততম ২০০ রানের তালিকায় প্যাট কামিন্সদের এই প্রচেষ্টা থাকছে তৃতীয় স্থানে। ২০১৬ সালে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ১৪.১ ওভারে ২০০ রান তুলেছিল বেঙ্গালুরু। এ বছরই মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ১৪.৪ ওভারে ২০০ রান করেছিল হায়দরাবাদ।
৮) এই নিয়ে তৃতীয় বার ২৫০ বা তার বেশি রান করল হায়দরাবাদ। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এটি বিশ্বরেকর্ড। ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্লাব সারেও ২০ ওভারের ক্রিকেটে তিন বার ২৫০ বা তার বেশি রান করেছে। অর্থাৎ, ইংল্যান্ডের দলটির বিশ্বরেকর্ড স্পর্শ করল হায়দরাবাদ।
৯) শনিবারে ম্যাচে হায়দরাবাদের ব্যাটারেরা মোট ২২টি ছক্কা মেরেছেন। আইপিএলে এটাও একটা রেকর্ড। এর আগে বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে হায়দরাবাদই ২২টি ছয় মেরেছিল এক ইনিংসে। নিজেদের রেকর্ডই স্পর্শ করেছে দিল্লির বিরুদ্ধে।
১০) শনিবার হায়দরাবাদে করা ২৬৬ রান আইপিএলের ইতিহাসে চতুর্থ সর্বোচ্চ দলীয় রানের নজির। এই ক্ষেত্রে রেকর্ডও তাদের দখলে। গত ২৭ মার্চ বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ২৮৭ রান তুলেছিলেন কামিন্সেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy