সাংবাদিক বৈঠকে শ্রেয়স আয়ার। ছবি: পিটিআই।
পিঠের চোটের কারণে ইংল্যান্ড সিরিজ়ের তৃতীয় টেস্ট থেকে খেলেননি। ফিট হয়ে যাওয়ার পরে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেননি। ‘শাস্তি’ হিসাবে কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়েছেন। আইপিএলে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামার আগে সেই শ্রেয়স আয়ারের মুখে ভুল শোধরানোর বার্তা। গত কয়েক মাসে বিতর্কিত চরিত্র হয়ে ওঠা কেকেআরের অধিনায়ক জানালেন, ভুল করে থাকলে সেটা শুধরে নিতে চান। আইপিএলকে নিজের ভুল শোধরানোর মঞ্চ হিসাবেও দেখছেন তিনি।
শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে শ্রেয়স একটি প্রশ্নের জবাবে বলেন, “যদি আপনি খুব বেশি ভবিষ্যৎ বা অতীতের কথা ভাবেন তা হলে ভুল করবেনই। আপনার হাতে যেটা রয়েছে সেটার পুরো ব্যবহার করতে হবে। বাইরের বিষয়ে বেশি কান দিলে চলবে না। যত বেশি দেবেন তত ভুল করবেন। এখন নিজের কাজটা ঠিক ভাবে করে যেতে চাই। যদি আগে কোনও ভুল করে থাকি তা হলে সেটা যাতে আর না করি সে দিকে খেয়াল রাখব।”
তাঁর পিঠের চোট নিয়ে অনেক চর্চা হয়েছে। এখন তিনি কেমন আছেন? শ্রেয়সের উত্তর, “এখন পুরোপুরি সুস্থ। রোজ অনুশীলন করছি। অনেক ক্ষণ ধরে ব্যাট করছি। চিকিৎসকেরা কী বলেছেন, কী চোট পেয়েছিলাম সে সব মনে রাখতে চাই না।”
আইপিএলকে অনেকেই দেখছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে ঢোকার মঞ্চ হিসাবে। শ্রেয়স সেই দলে ভিড়তে চান না। বলেছেন, “বর্তমানে বাঁচতে চাই। আইপিএলের পরে কী হবে ভাবতে চাই না। আইপিএলে একটা ম্যাচ ধরে এগোতে চাই। আপাতত শনিবারের ম্যাচ নিয়ে ভাবছি। মানসিক এবং শারীরিক ভাবে তৈরি। দলের সবাইকে তৈরি রাখতে চাই। শুরু থেকেই ভাল ফর্মে খেলতে চাই।”
তবে একগাদা ওপেনারের ভিড়ে কারা শনিবার নামবেন সেটা নিয়ে ধোঁয়াশা বজায় রেখেছেন শ্রেয়স। বলেছেন, “দু’জনেই দারুণ ব্যাটার। সব দেশে গিয়ে টি২০ খেলে। পারফরম্যান্সও দুর্দান্ত। এখনও পরিকল্পনা করিনি। এর পর টিম মিটিং রয়েছে। সেখানেই ঠিক হবে কে খেলবে। কালকেই আপনারা জানতে পারবেন।”
মিচেল স্টার্ক বাদে দলে সে রকম ভাল জোরে বোলার নেই। শ্রেয়স অবশ্য আত্মবিশ্বাসী। বলেছেন, “দলের বোলিংকে বিভাগকে দেখলে বুঝতে পারি কত অভিজ্ঞতা রয়েছে। দুটো আইপিএল খেলা মানেই অভিজ্ঞতা থাকবে। সবে মরসুমের শুরু। কার মানসিকতা কী রকম সেটা বোঝার সময় এখনও রয়েছে। বেশি ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে চাই না।” স্টার্ককে নিয়ে তিনি বলেছেন, “স্টার্ক আসায় অনেক সুবিধা হয়েছে। পাওয়ার প্লে, মাঝের ওভার বা শেষের দিকেও ওকে ব্যবহার করতে পারি। বিশ্বকাপ জিতে অনেক আত্মবিশ্বাসী হয়ে এসেছে। অনেক অভিজ্ঞতা রয়েছে। তরুণদের জন্যেও ভাল।”
আলাদা করে দলের শক্তি-দুর্বলতা বাছতে চাইলেন না শ্রেয়স। তবে জানিয়ে রাখলেন, অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের থেকে প্রত্যাশা বেশিই রয়েছে। শ্রেয়সের কথায়, “প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সবাই ভাল ছন্দে রয়েছে এটাই বড় শক্তি। অনুশীলন ম্যাচেও সবাইকে ভাল ছন্দে দেখেছি। দলের বৈঠকে অনেকেই নিজেদের মতামত দেয়। আমাদের দলের সংহতি অনেক ভাল। শুরুতেই বিরাট প্রত্যাশা রাখছি না। প্রথম ম্যাচে ভাল খেললে এমনিই আত্মবিশ্বাস এসে যাবে।” তাঁর সংযোজন, “আলাদা করে দলে কোনও এক্স ফ্যাক্টর নেই। গত বার রিঙ্কু পাঁচ ছক্কা মেরে শিরোনামে এল। ভারতের হয়েও ভাল খেলল। ওর থেকে প্র্যাশা থাকবে। তবে মরসুমের শুরুতে সবার কাছেই একই রকম প্রত্যাশা রয়েছে।”
দলের মেন্টর গৌতম গম্ভীরকে নিয়ে শ্রেয়স বলেছেন, “দলের মানসিকতায় উন্নতি হয়েছে। অনেক মতামত দেন। ওঁর থেকে অনেক কিছু শেখা যায়। অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞান রয়েছে। কলকাতাকে দুটো আইপিএল জিতিয়েছেন। প্রতিপক্ষের শক্তি-দুর্বলতা খুঁজে বার করেন। চন্দ্রকান্ত স্যরও রয়েছেন। উনিও অনেক সাহায্য করছেন। অনুশীলনে গম্ভীরের সঙ্গে অনেক কথা হয়। বুঝতে পারি পরের ম্যাচগুলোতে আমাদের জন্য কী অপেক্ষা করে রয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy