হতাশ বিরাট। ছবি: আইপিএল
সত্যিই দুর্ভাগ্য! বলটা থাই প্যাডে না লাগলে ফিল্ডারের হাতে পৌঁছতই না। বলটা তো ব্যাটেও লাগেনি। গ্লাভস ছুঁয়ে এসেছিল। সেটাই থাই প্যাডে লেগে চলে গেল রাহুল চাহারের হাতে। বিরাট কোহলী আকাশের দিকে তাকালেন। মনে মনে হয়তো বললেন, “হায় ঈশ্বর, আমার সঙ্গেই কেন বার বার এমন হচ্ছে।” শনিবার কাগিসো রাবাডার বলে আউট হলেন বিরাট।
কখনও শুরুতেই উইকেট দিচ্ছেন, কখনও বা কোনও মতে রান করার চেষ্টা করছেন। এ বারের আইপিএলে বিরাটের ছন্দ দেখে আঁতকে উঠছেন সকলে। উপদেশের পাহাড় তৈরি হচ্ছে। রোজ তিনি ব্যাট করতে নামছেন, আর সকলে আশা করছেন এই রান এল বলে। কিন্তু বার বার হতাশ করছেন সমর্থকদের।
শুক্রবার ১৪ বলে ২০ রান করলেন বিরাট। শুরুতে তাঁর মারা ড্রাইভ, ফ্লিক দেখে স্বস্তি ছিল আরসিবি সমর্থকদের মুখে। পঞ্জাব কিংসের তোলা ২০৯ রান তাড়া করতে হলে বিরাটকে যে রান পেতেই হবে তা জানতেন সমর্থকরা। সেই আশা নিয়েই বিরাটের চওড়া ব্যাটের দিকেই তাকিয়ে ছিলেন তাঁরা। কিন্তু কোপ পড়ল দুর্ভাগ্যের। ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় সুনীল গাওস্কর বলেন, “এটাই দুর্ভাগ্য। থাই প্যাডে সূক্ষ্ম ভাবে লাগল বলটা, সেটাই ড্রপ খেয়ে চলে গেল ফিল্ডারের হাতে। থাই প্যাডে না লাগলে হয়তো পৌঁছতই বলটা।”
বলটা এতই সূক্ষ্ম ভাবে গ্লাভসে লেগেছিল যে মাঠের আম্পায়ার বুঝতেই পারেননি। তিনি নট আউটের সিদ্ধান্ত দেন। রিভিউ নিলে দেখা যায় বলটা গ্লাভসে চুমু খেয়ে লাগল থাই প্যাডে। সেখান থেকে চলে গেল ফিল্ডারের হাতে। টিভি আম্পায়ার জানিয়ে দিলেন বিরাট আউট।
এ বারের আইপিএলে ১৩টি ম্যাচ খেলে বিরাটের সংগ্রহ ২৩৬ রান। গড় ১৯.৬৭। স্ট্রাইক রেট ১১৩.৪৬। এগুলো কোনওটাই ঠিক বিরাটোচিত নয়। তবে কি গাওস্করের কথাই ঠিক? এক মাত্র ভাগ্য সদয় হলেই রান পাবেন বিরাট?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy