জয়ের উচ্ছ্বাস রাজস্থানের। ছবি আইপিএল
রবিবার লখনউ সুপার জায়ান্টসকে ২৪ রানে হারিয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সের চাপ আরও বাড়িয়ে দিল রাজস্থান রয়্যালস। জিতে ১৬ পয়েন্টে পৌঁছে গেল তারা। খুব বড় অঘটন না হলে প্লে-অফে খেলা নিশ্চিত তাদের। অন্য দিকে, কলকাতার জন্য পড়ে থাকল শুধু চতুর্থ স্থানই। কারণ তারা কোনও ভাবেই শেষ ম্যাচ জিতলে ১৬ পয়েন্টে পৌঁছতে পারবে না।
কলকাতা পরের ম্যাচে লখনউকে হারালে ১৪ পয়েন্টে পৌঁছবে। একই পয়েন্ট ইতিমধ্যেই রয়েছে বেঙ্গালুরুর। অন্য দিকে, সোমবার মুখোমুখি দিল্লি এবং পঞ্জাব। দু’দলেরই দু’টি করে ম্যাচ বাকি এবং ১২ পয়েন্ট। ফলে সোমবার তাদেরও একজন কেউ পৌঁছবে ১৪ পয়েন্টে। হায়দরাবাদ শেষ দু’টি ম্যাচে জিতলে তাদেরও হবে ১৪ পয়েন্ট। তবে বৃহস্পতিবার গুজরাতকে যদি বেঙ্গালুরু হারিয়ে দেয়, তা হলে তারাই শেষ চারে পৌঁছবে। সে ক্ষেত্রে, কলকাতা, হায়দরাবাদ ছিটকে যাবে। দিল্লি বা পঞ্জাবের মধ্যে কেউ একজন বেঙ্গালুরুর সঙ্গে শেষ চারের লড়াইয়ে থাকবে।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজস্থান। কিন্তু শুরুতেই বিপদে পড়ে তারা। তৃতীয় ওভারেই মাত্র দু’রান করে ফিরে যান এ মরসুমে তাদের সবচেয়ে ছন্দে থাকা ব্যাটার জস বাটলার। যশস্বী জায়সবাল এবং সঞ্জু স্যামসন মিলে রাজস্থানের পতন রোধ করেন। দ্বিতীয় উইকেটে ৬৪ রানের জুটি গড়েন দু’জনে। ৩২ রান করে সঞ্জু ফিরে যাওয়ার পর দেবদত্ত পাড়িক্কলের সঙ্গে জুটি বাঁধেন যশস্বী।
মনে হচ্ছিল মরসুমের দ্বিতীয় অর্ধশতরান তাঁর ব্যাট থেকে পাওয়া যাবে। কিন্তু ৪১ রান করে আয়ুষ বাদোনির বলে তাঁর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান যশস্বী। পাঁচটি চার এবং দু’টি ছক্কার সাহায্যে ১৮ বলে ৩৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে ফিরে যান পাড়িক্কলও। সেই সময় কিছুটা বিপদে পড়ে যায় রাজস্থান। কিন্তু রিয়ান পরাগ (১৯) এবং ট্রেন্ট বোল্টের (অপরাজিত ১৭) সৌজন্যে স্কোরবোর্ডে ১৭৮-৬ তোলে তারা।
ব্যাট করতে বিপদে পড়ে লখনউও। বোল্টের বলে ১৫ রানের মাথায় তারা হারায় কুইন্টন ডি’কককে। পরের বলেই বাদোনিকে ফেরান বোল্ট। হ্যাটট্রিক আটকান দীপক হুডা। অধিনায়ক রাহুল মাত্র ১০ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ২৯ রানে তিন উইকেট হারিয়ে তখন চাপে পড়ে গিয়েছিল লখনউ। হুডা (৫৯) এবং ক্রুণাল মিলে চাপ সামলান। কিন্তু ক্রুণাল আউট হতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে লখনউ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy