প্রথম ম্যাচেই জিতলেন শ্রেয়সরা। ছবি আইপিএল
আইপিএলের প্রথম ম্যাচেই জয় পেল কলকাতা নাইট রাইডার্স। চেন্নাই সুপার কিংসকে ৬ উইকেটে হারিয়ে দিল তারা। ওয়াংখেড়েতে সব বিভাগেই দাপট দেখালেন শ্রেয়স আয়াররা।
টস জিতে চেন্নাইকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন শ্রেয়স আয়ার। প্রথম ওভারেই উইকেট নিয়ে কলকাতাকে এগিয়ে দেন উমেশ যাদব। ভারতীয় দলে অনিয়মিত হয়ে পড়েছেন তিনি। কিন্তু কলকাতার হয়ে আইপিএলে দুরন্ত শুরু করলেন উমেশ। ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন তিনি। ফিরিয়ে দেন চেন্নাইয়ের দুই ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড় (০) এবং ডেভন কনওয়েকে (৩)।
ওপেনাররা ফিরে গেলে চেন্নাইয়ের হয়ে হাল ধরেন রবিন উথাপ্পা (২৮) এবং অম্বাতি রায়ডু (১৫)। উইকেটে বল লাগলেও বেল না পড়ায় বেঁচে গিয়েছিলেন রায়ডু। যদিও নিজে রান আউট হয়ে দলকে বিপদে ফেলেন তিনি। খুব বেশি ক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি উথাপ্পা। তাঁকে ফিরিয়ে দেন বরুণ চক্রবর্তী। বলা ভাল শেল্ডন জ্যাকসন। ওয়াইড বলে স্টাম্প করেন তিনি। উইকেটের পিছনে নজর কেড়েছেন নাইটরক্ষক। সচিন তেন্ডুলকর তাঁর প্রশংসা করে টুইট করেন। ধোনির সঙ্গে তুলনা করেন সচিন।
৩ রান করে শিবম দুবে ফিরে যাওয়ার পর চেন্নাই দলের ভাগ্য ছিল ধোনি এবং জাডেজার হাতে। প্রাক্তন এবং বর্তমান অধিনায়কের দিকেই তাকিয়ে ছিলেন চেন্নাই সমর্থকরা। শুরুতে মন্থর ভাবে শুরু করলেও শেষ মুহূর্তে দেখা যায় ধোনি-ধামাকা। ৩৮ বলে অপরাজিত ৫০ রান করেন তিনি। সাতটি চার এবং একটি ছয় মারেন ধোনি। জাডেজা ২৮ বলে ২৬ রান করেন। চেন্নাইয়ের স্কোর ১৩১ রানে পৌঁছে দেন তাঁরাই।
কলকাতার হয়ে ওপেন করলেন অজিঙ্ক রহাণে এবং বেঙ্কটেশ আয়ার। পাওয়ার প্লে-তে ৪৩ রান তুলে নিলেন তাঁরা। বাঁহাতি এবং ডানহাতি ব্যাটার মিলে চেন্নাই বোলারদের নাস্তানাবুদ করতে শুরু করেন। দীপক চাহারের না থাকা যেন অনুভব করতে শুরু করেছিল চেন্নাই। এমন সময় সপ্তম ওভারে বল করতে আসেন ডিজে ব্র্যাভো। নিজের প্রথম ওভারেই তিনি ফিরিয়ে দেন বেঙ্কটেশকে (১৬)।
বাঁহাতি বেঙ্কটেশ ফিরতে তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামেন নীতীশ রানা। আরও এক বাঁহাতি। বল হাতে সেই সময় চেন্নাইয়ের হয়ে আক্রমণ করছেন বাঁহাতি মিচেল স্যান্টনার। তাঁর বিরুদ্ধে মারমুখী হয়ে ওঠেন রানা। ৯ ওভারে কলকাতার রান পৌঁছে যায় ৭০ রানে। ১০ ওভারের মাথায় রানাকে (২১) ফিরিয়ে দেন সেই ব্র্যাভো। পরের ওভারে ফিরে যান রহাণেও। ৪৪ রান করে আউট হলেন তিনি। জাডেজার হাতে ক্যাচ দিলেন মুম্বইয়ের ঘরের ছেলে।
১২ ওভারে ৯০ রান উঠে গিয়েছিল কলকাতার। বাকি কাজটা করলেন অধিনায়ক শ্রেয়স (২০ রানে অপরাজিত) এবং স্যাম বিলিংস (২৫)। ঠান্ডা মাথায় ম্যাচ বার করে নিয়ে গেলেন তাঁরা। শেষ মুহূর্তে বিলিংসকে ফিরিয়ে দেন ব্র্যাভো। কিন্তু তত ক্ষণে ম্যাচ পকেটে কলকাতার। জ্যাকসন নেমে ৩ রানে অপরাজিত থাকেন। হাতে ৬ উইকেট নিয়ে সহজেই ম্যাচ জেতে কলকাতা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy