নাদিম জানিয়েছেন চারটি স্টেডিয়ামে পাঁচটি করে পিচ খেলার জন্য তৈরি করা থাকবে। এর মধ্যে হয়তো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে তিনটি পিচে খেলা হবে। নাদিম বললেন, “পাঁচটা পিচ তৈরি আছে, যে কোনও পিচে খেলা হতে পারে। প্রতিটা মাঠে পাঁচটি করে পিচ তৈরি রাখা হচ্ছে। প্রথম ম্যাচ যে পিচে হল পরে আবার সেখানে খেলা হতে পারে। মাঝে যে সময়টা পাওয়া যাবে তাতে সহজেই সেই পিচকে তৈরি করে ফেলা যাবে।”
—ফাইল চিত্র
আরব দেশের আইপিএলে টস যে জিতেছে, অধিকাংশ দল আগে ব্যাট করে ম্যাচ জিতে নিয়েছে। এ বারে মুম্বইয়ের তিনটি মাঠ এবং পুণের একটি মাঠে হবে লিগ পর্বের ৭০টি ম্যাচ। ফের কি একই কাণ্ড ঘটতে চলেছে আরব সাগরের পারে?
মুম্বইয়ের তিনটি মাঠে খেলা হবে আইপিএলের ম্যাচগুলি। ওয়াংখেড়ে, ব্র্যাবোর্ন এবং ডিওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে হবে মোট ৫৫টি ম্যাচ। এই তিনটি মাঠের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা নাদিম মেমনের সঙ্গে যোগাযোগ করে আনন্দবাজার অনলাইন। তিনি মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার অ্যাপেক্স কাউন্সিলের সদস্যও। নাদিম বললেন, “আরবের আবহাওয়া অন্য রকম। ওখানে সন্ধে ৬টা থেকে শিশির পড়তে শুরু করে। মুম্বইয়ে সেটা হবে না। এখানে শিশির পড়ে রাত ৯টা, সাড়ে ৯টা নাগাদ। সেই শিশিরও খুব অল্প। দুবাইয়ের মতো নয়।”
শিশির না পড়লে দ্বিতীয় ইনিংসে বল করার সমস্যা হবে না বলেই মনে করছেন নাদিম। ওয়াংখেড়ে, ব্র্যাবোর্ন এবং ডিওয়াই পাটিলে লাল মাটির পিচ। পুণেতে খেলা হবে কালো মাটির পিচে। নাদিম জানালেন দুবাইয়ের মাটির থেকে এই মাটি অনেক আলাদা। এখানে বাউন্স পাওয়া যাবে। দ্বিতীয় ইনিংসে বল করলেও পেসাররা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন এই পিচে। দুবাইয়ের মাটি একটি খয়েরি রঙের। সাদাটে ভাব থাকে পিচে। মুম্বইয়ের পিচ তেমন হবে না বলেই জানাচ্ছেন নাদিম।
নাদিম বললেন, “টস জিতলাম, ব্যাটিং নিলাম আর ম্যাচ জিতে গেলাম, এটা এখানে হবে না। পিচে বাউন্স থাকবে। খুব ভাল উইকেট থাকবে। দ্বিতীয় ইনিংসেও রান তাড়া করে জেতা সম্ভব। ওয়াংখেড়েতে প্রচুর রান উঠবে। আরবে প্রথম বল থেকেই যেমন স্পিন পাওয়া যেত, সেটা এখানে হবে না।”
নাদিম জানিয়েছেন চারটি স্টেডিয়ামে পাঁচটি করে পিচ খেলার জন্য তৈরি করা থাকবে। এর মধ্যে হয়তো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে তিনটি পিচে খেলা হবে। নাদিম বললেন, “পাঁচটা পিচ তৈরি আছে, যে কোনও পিচে খেলা হতে পারে। প্রতিটা মাঠে পাঁচটি করে পিচ তৈরি রাখা হচ্ছে। প্রথম ম্যাচ যে পিচে হল পরে আবার সেখানে খেলা হতে পারে। মাঝে যে সময়টা পাওয়া যাবে তাতে সহজেই সেই পিচকে তৈরি করে ফেলা যাবে।”
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দর্শক রান দেখতে চায়। সবাই চাইবে প্রচুর রান উঠুক। সেটাই হবে বলে জানাচ্ছেন নাদিম। তিনি বললেন, “সাদা বলের ক্রিকেটে রান দেখতে চায় সকলে। ব্যাটাররা রান করছে সেটাই সকলে দেখতে চায়। ব্যাটাররা রান পাবে এই পিচে, কিন্তু বোলাররাও সাহায্য পাবে। বাউন্স থাকবে, টার্ন থাকবে। মুম্বইয়ের পিচে বোলাররা সব সময় সাহায্য পায়।”
কোন মাঠের পিচ কেমন চরিত্রের হবে সেই হদিশও দিলেন নাদিম। তিনি বললেন, “ব্র্যাবোর্নে বল ধীরে টার্ন করবে। ব্যাটাররা সুবিধা পাবে ওখানে। ওয়াংখেড়েতে বাউন্স থাকবে। ব্যাটাররা যেমন সুবিধা পাবে, তেমনই বোলাররা বাউন্স এবং টার্ন পাবে। ডিওয়াই পাটিলের পিচে অনায়াসে ১৬০ রান উঠবে।”
এ বারের আইপিএলের প্রথম ম্যাচ ২৬ মার্চ। ওয়াংখেড়েতে হবে সেই ম্যাচ। কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং চেন্নাই সুপার কিংসের খেলা দিয়ে শুরু আইপিএল। জমজমাট একটি লিগের অপেক্ষায় ভারতের ক্রিকেটপ্রেমীরা। সেই প্রতিযোগিতায় যেমন ক্রিকেটারদের পরীক্ষার মুখে পড়তে হবে, তেমনই পরীক্ষার মুখে পড়বেন পিচ প্রস্তুতকারকরাও। ডিওয়াই পাটিল এবং পুণের মাঠের পিচ প্রস্তুতকারক তাপস চট্টোপাধ্যায় আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন, “আমাদের কাজ আমরা করে দিয়েছি।” সেই কাজ কেমন হয়েছে সেটাই দেখার অপেক্ষায় ক্রিকেটার এবং দর্শকরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy