রিকি পন্টিং। ফাইল ছবি।
দিল্লি ক্যাপিটালসের খেলায় খুশি নন রিকি পন্টিং। আর সেটা ক্রিকেটারদের খোলাখুলি বলেও দিয়েছেন দলের প্রধান কোচ। আইপিএলের দ্বিতীয় ম্যাচে গুজরাত টাইটান্সের কাছে হারের পর সাজঘরে ফিরে গোটা দলকে সামনে বসিয়ে হাসতে হাসতেই কড়া বার্তা দিয়ে রাখলেন পন্টিং।
পাঁচ বারের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে জয় দিয়ে শুরু করলেও দ্বিতীয় ম্যাচেই গুজরাতের কাছে আটকে গিয়েছে দিল্লি। টান টান ম্যাচে ১৪ রানে হার মেনে নিতে পারছেন না পন্টিং। ম্যাচের পর সাজঘরে ফিরেই ঋষভ পন্থদের কড়া বার্তা দিয়েছেন কোচ। তাঁরা অত্যন্ত সাধারণ মানের ক্রিকেট খেলছেন, পন্থদের পরিষ্কার জানিয়ে দেন অজি কোচ। কোচের মুখে এমন কথা শুনে সাজঘরের পরিবেশ হঠাৎ করেই গম্ভীর, থমথমে হয়ে যায়।
ডেভিড ওয়ার্নার, অনরিখ নোখিয়া, মিচেল মার্শরা এখনও মাঠে নামেননি। পরের ম্যাচের আগেই এই বিদেশিরা পন্থের দলে যোগ দেবেন। তাতে নিশ্চিত ভাবেই দিল্লির শক্তি বাড়বে। কিন্তু, যাঁরা দলে রয়েছেন তাঁদের থেকে আরও ভাল ক্রিকেট আশা করছেন পন্টিং।
গুজরাতের বিরুদ্ধে ম্যাচের পর দিল্লির সাজঘরের পরিবেশ ছিল হালকা। অধিনায়ক পন্থ প্রথমে সতীর্থদের উৎসাহ দেন। ছোট বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘‘সবে দু’টো ম্যাচ হয়েছে। হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আমরা প্রতি ম্যাচেই উন্নতি করছি। আরও উন্নতি করতে হবে। পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’’ এর পর বোলিং কোচ জেমস হোপস প্রশংসা করেন বোলারদের। কুলদীপ যাদব প্রথম দু’ম্যাচে দুরন্ত বোলিং করেছেন। তাঁর কথা আলাদা করে উল্লেখ করেন হোপস। দলের সকলেই তখন কুলদীপকে অভিনন্দন জানান।
ফুরফুরে মেজাজের সেই আবহেই সবার শেষে পন্টিং বক্তব্য রাখার সময় সোজাসুজি বলে দেন, ‘‘ওয়েল ডান। ফলাফল আমাদের পক্ষে আসেনি। আসলে প্রত্যাশা মতো খেলতে পারিনি আমরা। আমি বলব, বেশ সাধারণ মানের ক্রিকেটই খেলেছি আমরা। সাধারণ মানের ক্রিকেট খেললেও কিন্তু আমাদের জেতা উচিত ছিল। প্রথম দুই ম্যাচে এটুকুই ইতিবাচক দিক আমাদের।’’
হাসতে হাসতেই কথাটা বলেন পন্টিং। কিন্তু কোচের মুখে এমন কথা শুনে সকলেই প্রায় মাথা নিচু করে ফেলেন। পরে পন্টিং বলেন, ‘‘আমি আশা করছি না প্রতিযোগিতার শুরু থেকেই খেলোয়াড়রা সকলে নিজেদের সেরা ছন্দ পেয়ে যাবে। কিন্তু সেই সময়টা আসবে। ছোট ছোট পায়ে এগোতে হবে। আমরা আস্তে আস্তে সেরা জায়গায় পৌঁছব। প্রতিযোগিতার মাঝামাঝি সময় থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা নিশ্চয় অনেক ভাল ক্রিকেট খেলব। সেরা ক্রিকেট খেলাই আমাদের লক্ষ্য থাকবে।’’ বক্তব্য শেষ করে উঠে গিয়ে মুস্তাফিজুর রহমানকে ভাল খেলার জন্য অভিনন্দন জানান পন্টিং। স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসে সাজঘরে। হাসি ফেরে ক্রিকেটারদের মুখেও।
গত বছর লিগ টেবলের শীর্ষে থেকেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি দিল্লি। নক আউট পর্বে পর পর দু’ম্যাচ হেরে খারাপ ভাবে শেষ করে পন্টিংয়ের দল। এবারও তেমন হোক চাইছেন না দিল্লির প্রধান কোচ। তিনি চান ধীরে ধীরে সেরা ছন্দে আসুক দল। যাতে খেতাবি লড়াইয়ের সময় সেরা ক্রিকেট খেলতে পারেন পন্থরা। গুজরাত ম্যাচের পর আসলে সেই বার্তাই ক্রিকেটারদের দিতে চেয়েছেন পন্টিং।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy