Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Virat Kohli

Virat and Kumble conflict: কেমন ছিল বিরাট-কুম্বলে সম্পর্ক? জানালেন বোর্ডের তৎকালীন সিওএ-এর প্রধান বিনোদ রাই

বিনোদ রাই লেখেন, ‘অধিনায়ক এবং টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। আমাকে জানানো হয় কুম্বলে প্রচণ্ড বেশি নিয়ম মেনে চলার পক্ষপাতি। দলের সদস্যরা সেটা নিয়ে খুশি হতে পারছেন না। আমি বিরাট কোহলীর সঙ্গে কথা বলি। তিনি বলেন যে কুম্বলে যে ভাবে কাজ করেন তাতে দলের তরুণ ক্রিকেটাররা ভয়ে ভয়ে থাকেন।’

—ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২২ ১৪:০১
Share: Save:

অনিল কুম্বলে এবং বিরাট কোহলীর মধ্যে কী হয়েছিল ভারতীয় দলে? শোনা যায় তাঁদের খারাপ সম্পর্কের কারণেই ভারতীয় দলের কোচের পদ থেকে সরে যেতে হয়েছিল কুম্বলেকে। সেই সময় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের প্রধান বিনোদ রাই তাঁর বইয়ে লিখলেন সেই সময়ের কথা। উঠে এল নানা অজানা তথ্য।

বিনোদ রাই লেখেন, ‘অধিনায়ক এবং টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। আমাকে জানানো হয় কুম্বলে প্রচণ্ড বেশি নিয়ম মেনে চলার পক্ষপাতি। দলের সদস্যরা সেটা নিয়ে খুশি হতে পারছেন না। আমি বিরাট কোহলীর সঙ্গে কথা বলি। তিনি বলেন যে কুম্বলে যে ভাবে কাজ করেন তাতে দলের তরুণ ক্রিকেটাররা ভয়ে ভয়ে থাকেন।’

শুধু কোহলী নন, কুম্বলের সঙ্গেও কথা বলেছিলেন বিনোদ। সেই প্রসঙ্গও নিজের বইয়ে উল্লেখ করেছেন তিনি। বিনোদ লেখেন, ‘ইংল্যান্ড থেকে ফেরার পর আমাদের কমিটি কুম্বলের সঙ্গে অনেক ক্ষণ কথা বলে। যে ভাবে গোটা বিষয়টা এগোয় তাতে কুম্বলের খারাপ লেগেছিল। ভারতের প্রাক্তন স্পিনারের মনে হয়, ওঁর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে এবং দল ও অধিনায়ককে এত গুরুত্ব দেওয়া উচিত নয়। কোচের দায়িত্ব দলে শৃঙ্খলা বজায় রাখা। কুম্বলের মতে তিনি যে হেতু সিনিয়র, তাই ক্রিকেটারদের তাঁর কথাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।’

বিনোদের বই থেকে জানা গিয়েছে ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সময় বিসিসিআই-এর ক্রিকেট অ্যাডভাইসারি কমিটিতে (সিএসি) থাকা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, সচিন তেন্ডুলকর এবং ভিভিএস লক্ষ্মণ কথা বলেন কোহলী এবং কুম্বলের সঙ্গে। এই কমিটিই কুম্বলেকে কোচ করে এনেছিল। বিনোদ লিখেছেন, ‘বিসিসিআইয়ের সিইও রাহুল জোহরি এবং সচিব অমিতাভ চৌধুরি মনে করেন দূরত্ব প্রচণ্ড বাড়ছিল। সেই কারণে সিএসি-র উচিত অধিনায়ক এবং কোচের সঙ্গে কথা বলা। সিএসি সঙ্গে সঙ্গে লন্ডনে আলাদা ভাবে কোচ এবং অধিনায়কের সঙ্গে দেখা করে। তিন দিন পর তাঁরা জানান কুম্বলেকেই কোচ হিসেবে রেখে দেওয়া হোক।’

কিন্তু কুম্বলে থাকতে চাননি। তিনি নিজেই কোচের পদ ছেড়ে দেন। বিনোদ জানিয়েছেন পদতাগের চিঠিতে কুম্বলে লেখেন, ‘বিসিসিআই-এর তরফে আমাকে জানানো হয়েছে যে, আমার কাজ করার পদ্ধতি নিয়ে অধিনায়কের অসুবিধা রয়েছে। আমি অবাক কারণ সব সময় অধিনায়ক এবং কোচের মধ্যে যেমন সম্পর্ক থাকা উচিত, সেটা মেনে চলার চেষ্টা করেছি।’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy