ললিত-অক্ষর জুটি জেতাল দিল্লিকে। ছবি আইপিএল
ম্যাচের শেষ দিকে ললিত যাদব এবং অক্ষর পটেলের দুর্দান্ত ইনিংস। আর তাতে ভর করেই হারা ম্যাচ জিতে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারিয়ে দিল ৪ উইকেটে। ব্যর্থ ঈশান কিশনের ৮১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। প্রথমে ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান তুলেছিল মুম্বই। জবাবে ৬ উইকেট হারিয়ে ১০ বল বাকি থাকতেই জয়ের প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় দিল্লি।
টসে জিতে প্রথম বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন দিল্লি অধিনায়ক পন্থ। কিন্তু তাতে লাভই হয় মুম্বইয়ের। শুরু থেকেই চালিয়ে খেলতে থাকেন দুই ওপেনার রোহিত শর্মা এবং ঈশান কিশন। শার্দূল ঠাকুর বা অক্ষর পটেল একেবারেই দাগ কাটতে পারেননি। কিছুটা সফল খলিল আহমেদ। তাঁকে খেলতে সমস্যা হচ্ছিল রোহিতদের। তবে কলকাতার প্রাক্তন কুলদীপ যাদব ভাল বল করেন। ১৮ রানে ৩ উইকেট নেন তিনি। রানের গতি কমাতেও মুখ্য ভূমিকা নিয়েছেন।
তবে কোনও কিছুতেই থামানো যায়নি নিলামে ১৫.২৫ কোটি দাম ওঠা ঈশানকে। মাঠের বিভিন্ন দিকে শট মারতে থাকেন তিনি। কোনও বোলারকেই রেয়াত করেননি। নবম ওভারে ব্যক্তিগত ৪১ রানের মাথায় রোহিত ফিরে গেলেও ঈশানকে আটকানো যায়নি। মাঝে কিছুক্ষণ তিলক বর্মা এসে তাঁকে সঙ্গ দেন। এ ছাড়া কাউকেই উল্টো দিকে পাননি ঈশান। একাই খেলে চলেন। শেষ পর্যন্ত ১১টি চার এবং ২টি ছয়ের সাহায্যে ৪৮ বলে ৮১ করে অপরাজিত থাকেন।
WHAT. A. CHASE. 🔥🔥@DelhiCapitals register their first victory of the season in style!
— IndianPremierLeague (@IPL) March 27, 2022
Scorecard - https://t.co/WRXqoHz83y #TATAIPL #DCvMI pic.twitter.com/prGmdPTAaN
ম্যাচের শেষ দিকে শট মারতে গিয়ে গোড়ালিতে সজোরে ব্যাট দিয়ে আঘাত করেন। ব্যথা বাড়তে থাকায় স্ক্যান করানো হয়। তবে বিপজ্জনক কিছু পাওয়া যায়নি। যদিও প্রথম দিকে তিনি কিপিং করেননি। নামেন আরিয়ান জুয়াল। তবে নবম ওভারের শুরুতে ফেরেন ঈশান। এসেই ঝাঁপিয়ে পড়ে পৃথ্বী শয়ের দুর্দান্ত ক্যাচ নেন।
রোহিতের বোলিং পরিকল্পনা শুরুতে বোঝাই গেল না। প্রথম চারটি ওভার করালেন চারজন আলাদা বোলার দিয়ে। ফলে থিতু হওয়ার সময়ই পেলেন না কেউ। একমাত্র মুরুগান অশ্বিনই সাফল্য পেলেন। নিজের প্রথম ওভারেই দু’উইকেট নিয়ে ম্যাচের মোড় প্রায় ঘুরিয়ে দেন মুরুগান অশ্বিন। তাঁর বলে ফেলেন টিম সেইফার্ট এবং মনদীপ সিংহ। একা লড়লেও ব্যাটের কানায় লেগে ওঠা ক্যাচে ফেরেন পৃথ্বী।
১০৪ রানের মাথায় শার্দূল ঠাকুর ফেরার পর শুরু হয় ললিত-অক্ষর ঝড়। সপ্তম উইকেটে ম্যাচ জেতানো ৭৫ রানের জুটি গড়লেন তাঁরা। ৩৮ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত থাকলেন ললিত। অক্ষর ১৭ বলে ৩৮ রান করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy