থামানো যাচ্ছে না শুভমন গিলকে। আইপিএলের সব দলের বোলারদেরই তাঁর দাপুটে ব্যাটিংয়ের সামনে অসহায় দেখাচ্ছে। শুক্রবার প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে তাঁর ব্যাটেই গুজরাত টাইটান্সের ফাইনালে ওঠা একরকম নিশ্চিত হয়ে যায়। এ বারের আইপিএলের তৃতীয় শতরান করে আরও আত্মবিশ্বাসী গুজরাতের তরুণ ওপেনার।
দলকে টানা দ্বিতীয় বার আইপিএল ফাইনালে তুলে খুশি শুভমন। ৭টি চার এবং ১০টি ছয়ের সাহায্যে তাঁর ৬০ বলে ১২৯ রানের ইনিংসই প্রতিযোগিতার সেরা কি না, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। শুভমন নিজেও বলেছেন, ‘‘সম্ভবত এটাই আইপিএলে এখনও পর্যন্ত আমার সেরা ইনিংস।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আমি প্রতিটি বল মাথায় রেখে খেলি। একটি করে ওভারের পরিকল্পনা নিয়ে খেলি। যে ওভারে তিনটে ছয় মারলাম, সেটাই আমার ছন্দ তৈরি করে দিয়েছে। ওই ওভারের পর মনে হল, দিনটা আমার হতে পারে। উইকেটের কথাও বলব। ব্যাট করার জন্য উইকেটটা বেশ ভাল।’’
আইপিএলে কমলা টুপির দৌড়ে শীর্ষে রয়েছেন শুভমন। শুক্রবারের ম্যাচের পর তাঁর সংগ্রহ ৮৫১ রান। তাঁকে টপকে যাওয়ার সুযোগ কারও নেই তেমন। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এ বারের আইপিএলে কী করে এত ছয় মারছেন? শুভমন বলেছেন, ‘‘সচেতন ভাবে বেশি ছয় মারার কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি। ব্যাটার হিসাবে নিজেকে নতুন ভাবে তুলে ধরা গুরুত্বপূর্ণ। তার থেকেও জরুরি নিজের উপর বিশ্বাস রাখা। শুধু আইপিএল নয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও মরসুমটা ভালই কেটেছে আমার। গত বছরও ভাল ছন্দে ছিলাম। ছন্দে থাকলে সব সময় মনে হয় ভাল রান পাব। গত ওয়েস্ট ইন্ডিজ় সফরের সময় ব্যাটিংয়ে সামান্য পরিবর্তন করেছিলাম। সেটা কাজে এসেছে।’’
গত বছর আইপিএলের আগে চোটের জন্য কিছু দিন খেলতে পারেননি শুভমন। মাঠে ফেরার পর থেকে অনবদ্য ছন্দে রয়েছেন তিনি। কী ভাবে এমন সাফল্য? শুভমন বলেছেন, ‘‘আমার কাজ খেলা। চোটের সময় থেকে নিজের ব্যাটিং নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু করি। কিছু জায়গায় উন্নতির চেষ্টা করেছি। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর নিউ জ়িল্যান্ড সিরিজ়ের আগে ব্যাটিংয়ে কিছু টেকনিক্যাল পরিবর্তন করেছিলাম। সেটাই বেশি কাজে লেগেছে।’’
আরও পড়ুন:
অনবদ্য ছন্দে থাকা শুভমন জানেন, তাঁকে ঘিরে ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রত্যাশা বেড়েছে। এ নিয়ে সচেতন গুজরাতের ব্যাটার। তিনি বলেছেন, ‘‘প্রত্যাশা এমন একটা জিনিস যা আপনাকে তাড়া করে। সেটা মাঠের বাইরের ব্যাপার। খেলতে নামলে শুধু একটা বিষয়ই মাথায় থাকে। কী ভাবে দলের জন্য সব থেকে বেশি অবদান রাখা যায়, সেটাই ভাবি।’’