রিঙ্কুর কাছে পাঁচ ছক্কা খাওয়া বোলারকে আবার দেখা যাবে মাঠে। — ফাইল চিত্র
গত ৯ এপ্রিলের কথা। কেকেআরের রিঙ্কু সিংহের কাছে শেষ ওভারে পাঁচটি ছক্কা হজম করেছিলেন তিনি। দল তো ম্যাচ হেরেছিলই। প্রবল ভেঙে পড়েছিলেন তিনি নিজেও। শরীর খারাপ হয়েছিল। ওজন কমে গিয়েছিল। সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে আবার বাইশ গজে ফিরলেন গুজরাত টাইটান্সের বোলার যশ দয়াল। সোমবার হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে দলে ফেরানো হল তাঁকে।
ম্যাচের পর গুজরাত টাইটান্সের অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্য জানালেন, দলে তিন পরিবর্তন হয়েছে। গুজরাতের হয়ে অভিষেক হচ্ছে দাসুন শনাকার। বিজয় শঙ্কর অনুশীলন করতে গিয়ে চোট পাওয়ায় তাঁর জায়গায় এসেছেন রাজ্য দলের সতীর্থ সাই সুদর্শন। এ ছাড়া নেওয়া হয়েছে যশ দয়ালকেও। তবে যশ প্রথম একাদশে ছিলেন না। তাঁকে নেওয়া হয়েছে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে।
দীর্ঘ ৩৬ দিন পরে মাঠে নামলেন যশ। মাঝের এই সময়ে ঘটে গিয়েছে অনেক কিছুই। পাঁচ ছক্কা খাওয়ার পর যশ নিজে মুখ খোলেননি। কিন্তু তাঁর বাবা চন্দ্রপাল সেই ওভার নিয়ে বলেছিলেন, “বল ফসকে যাচ্ছিল ওর হাত থেকে। যশ বলে যে, ঠিক মতো গ্রিপ হচ্ছিল না। মন্থর বল করার চেষ্টাও করেছিল ও। কিন্তু রিঙ্কু সেটাও ছক্কা মারে। রিঙ্কু সব বলে মারার চেষ্টা করছিল। ওরা একে অপরকে ভাল করে চেনেও। সেই কারণে হয়তো রিঙ্কুর পক্ষে কাজটা সহজ হয়ে গিয়েছিল কিছুটা। যশের আগে চেতন শর্মার মতো ক্রিকেটারকেও এমন অবস্থার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “ম্যাচের পর হোটেলে ফিরে সকলের মাঝখানে বসিয়ে যশকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেছে গুজরাত। পরে নাচ-গানও করে সকলে মিলে।” যশের কোচ অমিত বলেছিলেন, “দিনটা ওর ছিল না। খুব ভাল ইয়র্কার করতে পারে যশ। কিন্তু সেই সময় হয়তো চাপে পড়ে গিয়েছিল ও। হয়তো উল্টো দিকে রিঙ্কু থাকার জন্যই চাপ হয়েছিল। যশ জানে যে, রিঙ্কু ওকে অনেক ছোটবেলা থেকে চেনে।”
গত ২৬ এপ্রিল হার্দিক জানিয়েছিলেন, যশের মাঠে ফিরতে এখনও অনেকটা সময় প্রয়োজন। হার্দিক বলেছিলেন, “কেকেআর ম্যাচের পর অসুস্থ হয়ে পড়েছে যশ। কবে ফিরতে পারবে জানি না। সাত-আট কেজি ওজন কমে গিয়েছে ওর। মাঠে নামার মতো শরীরের অবস্থা নেই যশের। ওর পক্ষে এখনই মাঠে নামা সম্ভব হবে নয়।”
হার্দিকের সেই কথার ১৯ দিন পরে ক্রিকেট মাঠে ফিরলেন যশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy