আইপিএলের ট্রফি। — ফাইল চিত্র।
প্রথম দল হিসাবে আইপিএলের প্লে-অফে পৌঁছে গিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। লিগ পর্বে বাকি তিনটি ম্যাচের একটিতে জয় পেলে নিশ্চিত হয়ে যাবে রাজস্থান রয়্যালসও। বাকি দু’টি জায়গার জন্য লড়াইয়ে রয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, চেন্নাই সুপার কিংস, দিল্লি ক্যাপিটালস, লখনউ সুপার জায়ান্টস এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। শেষ চারে জায়গা নিশ্চিত করার জন্য কোন ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির অঙ্ক কেমন?
প্যাট কামিন্সেরা ১২টি ম্যাচ খেলে ১৪ পয়েন্ট পেয়েছেন এখনও পর্যন্ত। লিগের বাকি দু’টি ম্যাচ জিতলে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে সহজেই প্লে-অফে পৌঁছে যাবেন। একটি ম্যাচ জিতলে হায়দরাবাদের পয়েন্ট হবে ১৬। সে ক্ষেত্রেও প্লে-অফে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ চেন্নাই, দিল্লি এবং লখনউও সর্বোচ্চ ১৬ পয়েন্টে পৌঁছতে পারে। কিন্তু নেট রান রেটে অনেকটাই ভাল জায়গায় রয়েছেন কামিন্সেরা।
চেন্নাই সুপার কিংস: ১২টি ম্যাচ খেলে চেন্নাইয়ের সংগ্রহ ১২ পয়েন্ট। লিগ পর্বে সর্বোচ্চ ১৬ পয়েন্ট পেতে পারেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনিরা। বাকি দু’টি ম্যাচ জিতলে পয়েন্ট এবং নেট রান রেটের (০.৪৯১) নিরিখে দিল্লি এবং লখনউয়ের আগে শেষ করবে চেন্নাই। একটি ম্যাচ জিতে ১৪ পয়েন্টে শেষ করলেও সুযোগ থাকবে। কারণ দিল্লি এবং লখনউ ম্যাচে একটি দল হারবেই। ফলে অন্তত একটি দল পয়েন্ট এবং রান রেটে তাদের টপকে যেতে পারবে না। তবে বাকি দু’টি ম্যাচ হেরে গেলে চেন্নাইয়ের আশা শেষ হয়ে যাবে।
দিল্লি ক্যাপিটালস: ১২টি ম্যাচ খেলে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছেন ঋষভ পন্থেরা। নেট রান রেট -০.৩১৬। দিল্লিও লিগ পর্বে সর্বোচ্চ ১৬ পয়েন্ট পেতে পারে বাকি দু’ম্যাচ জিতলে। তবে চেন্নাই আর একটি ম্যাচ হারলে সুবিধা হবে পন্থদের। পয়েন্ট সমান হওয়ার সুযোগ থাকলেও নেট রান রেটে খানিকটা পিছিয়ে রয়েছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দল। দিল্লি ১৬ পয়েন্ট পেলে এবং চেন্নাই একটি ম্যাচ হারলে শেষ চারে পৌঁছে যাবেন পন্থেরা। দিল্লি একটি ম্যাচ হারলেও সুযোগ থাকবে। সে ক্ষেত্রে চেন্নাইকে বাকি দু’টি ম্যাচ হারতে হবে। লখনউকেও অন্তত একটি ম্যাচ হারতে হবে। তবে বাকি দু’টি ম্যাচ হেরে গেলে দিল্লির আশা শেষ হয়ে যাবে।
লখনউ সুপার জায়ান্টস: লোকেশ রাহুলদের পরিস্থিতিও দিল্লির মতো। তাদেরও ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট। পিছিয়ে রয়েছে নেট রান রেটে (-০.৭৬৯)। বাকি দু’টি ম্যাচ জিতলে সহজে তারা পৌঁছে যাবে প্লে-অফে। একটি হারলে তাকিয়ে থাকতে হবে চেন্নাই এবং দিল্লির দিকে। সে ক্ষেত্রে দিল্লির বিরুদ্ধে জিততে পারলে সম্ভাবনা বেশি থাকবে চার নম্বরে শেষ করার। চেন্নাই বাকি দু’টি ম্যাচ বড় ব্যবধানে হারলেও সুযোগ এসে যেতে পারে নেট রান রেটের বিচারে। তবে বাকি দু’টি ম্যাচ হেরে গেলে লখনউয়ের বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাবে।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু: ১২ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় সপ্তম স্থানে রয়েছেন বিরাট কোহলিরা। শেষ চারে যাওয়ার রাস্তা বেশ কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। নিজেদের বাকি দু’টি ম্যাচ জিততেই হবে। তার পরেও তাকিয়ে থাকতে হবে অন্য দলের ফলের দিকে। ১৪ পয়েন্টের বেশি পাওয়ার সুযোগ নেই বেঙ্গালুরুর। তাদের প্লে-অফে উঠতে হলে রাজস্থানের কাছে হারতে হবে চেন্নাইকে। লখনউয়ের কাছে দিল্লিকে হারতে হবে অথবা লখনউকে বাকি দু’টি ম্যাচই হারতে হবে। আবার গুজরাতকেও বাকি দুই ম্যাচের একটি হারতে হবে। তা হলে ১৪ পয়েন্ট নিয়েও নেট রেটের বিচারে শেষ চারে যেতে পারেন ফ্যাফ ডুপ্লেসিরা। কারণ নেট রান রেটে (০.২১৭) ভাল জায়গায় রয়েছে বেঙ্গালুরু।
গুজরাত টাইটান্সের পয়েন্টও বেঙ্গালুরুর মতো ১২ ম্যাচে ১০। তবে নেট রান রেটে (-১.০৬৩) অনেকটা পিছিয়ে থাকায় শুভমন গিলদের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy