নিলামের সময় দিল্লির নিলাম টেবিলে ছিলেন না সৌরভরা। — ফাইল চিত্র
আইপিএল থেকে প্রায় ছিটকেই গিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। শনিবার হায়দরাবাদের কাছে হারের পর তাদের কাছে প্লে-অফে ওঠার সম্ভাবনা খুবই কম। দিল্লির এ হেন পারফরম্যান্সে বেজায় ক্ষুব্ধ দলের কর্তারা। পুরো দোষটাই তাঁরা চাপিয়ে দিয়েছেন দলের স্কাউট (যাঁরা ক্রিকেটার খুঁজে আনেন) এবং কোচিং স্টাফের দিকে। গোটা কোচিং স্টাফ বদলানোর বিষয় ইতিমধ্যেই ভেবেছেন কর্তারা।
শনিবার সরফরাজ খান, প্রিয়ম গর্গ এবং রিপল পটেলের মতো তরুণদের সুযোগ দেওয়া হলেও তাঁরা কাজে লাগাতে পারেননি। গত দু’বছরে যে ভাবে দলের স্কাউটিং বিভাগ কাজ করেছে, তাতে একেবারে খুশি নন দলের কর্তারা। এর মধ্যে ক্রিকেট ডিরেক্টর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও রয়েছেন, যিনি নিজে বেশ কিছু ক্রিকেটারকে পছন্দ করেছেন। বাংলার অভিষেক পোড়েল সেই তালিকায় রয়েছেন।
দলের এক কর্তা বলেছেন, “উচ্চমানের ক্রিকেট কেমন খেলা হয় সেই সম্পর্কে আমাদের স্কাউটিং বিভাগের খুবই কম অভিজ্ঞতা রয়েছে। ম্যানেজমেন্ট খুবই ক্ষুব্ধ। দলের প্রধান কোচেরা নিলামের টেবিলে পর্যন্ত ছিলেন না।”
ছ’বছর আগে তরুণ ক্রিকেটারদের উপর বিনিয়োগ শুরু করেছিল দিল্লি। শ্রেয়স আয়ার, ঋষভ পন্থ, পৃথ্বী শ এবং অক্ষর পটেলের উপরে বিনিয়োগ করা হয়েছিল। তাঁরা পরবর্তী কালে দলকে অনেক সাহায্য করেছেন। তার পর থেকে আর সে ভাবে ক্রিকেটার উঠে আসছেন না।
আগের মতো সীমিত ওভারে দারুণ খেলা ক্রিকেটার এখন দিল্লি দলে নেই। যশ ধুল একেবারেই পরীক্ষিত নন। তাঁকে স্রেফ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ের ভিত্তিতে নেওয়া হয়েছে। সরফরাজ লাল বলের ক্রিকেটে ভাল খেললেও সাদা বলের ক্রিকেটে ভাল খেলেননি। রিপল তিনটি মরসুম খেলেও ভাল কিছু করতে পারেননি। ললিত যাদবকে নিয়েও ক্ষোভ রয়েছে।
দলের ওই সূত্রের বক্তব্য, “দলের আসল শক্তিটাই মেগা নিলামের কারণে ভেঙে গিয়েছে। কিন্তু দলের তারকা ক্রিকেটারদের থেকে সেরাটা বের করে আনাও আমাদের কাজ। কিন্তু স্কাউটিং বিভাগ শুধুই কম্পিউটারে পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে কাজ করে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy