দিল্লির সামনে জয়ের জন্য কঠিন লক্ষ্য রাখলেন ধোনিরা। ছবি: আইপিএল।
আইপিএলের প্লে-অফে কি উঠতে পারবে চেন্নাই সুপার কিংস? দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে জিতলেই মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের সামনে রাস্তা পরিষ্কার। সহজ এই অঙ্ক কষেই দিল্লির মাঠে নেমেছিলেন তাঁরা। তাই টস জিতে প্রথমে ব্যাট নিতে দু’বার ভাবেননি ধোনি।
চেন্নাই অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে পূর্ণ মর্যাদা দিলেন দলের দুই ওপেনিং ব্যাটার। দিল্লির ক্রিকেটাররা লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে নতুন জার্সি পরে নামলেও তাঁদের খেলায় কোনও পরিবর্তন চোখে পড়ল না। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দলের বোলারদের কার্যত ক্লাবের স্তরে নামিয়ে আনলেন রুতুরাজ গায়কোয়াড় এবং ডেভন কনওয়ে। চেন্নাইয়ের দুই ওপেনারের দাপটে লাইন, লেংথ গুলিয়ে ফেললেন খলিল আহমেদ, ললিত যাদবরা।
রুতুরাজের ব্যাট থেকে এল ৫০ বলে ৭৯ রানের ঝকঝকে ইনিংস। ৩টি চার এবং ৭টি ছয় দিয়ে নিজের ইনিংসটি সাজালেন তিনি। ২২ গজের অন্য প্রান্তে আরও বেশি আগ্রাসী ছিলেন কনওয়ে। ৫২ বলে ৮৭ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেললেন তিনি। মারলেন ১১টি চার এবং ৩টি ছয়। প্রথম উইকেটের জুটিতে চেন্নাইয়ের দুই ওপেনার তুললেন ১৪.৩ ওভারে ১৪১ রান। শিবম দুবে তিন নম্বরে নেমে করলেন ৯ বলে ২২ রান। ৩টি ছক্কা হাঁকালেন তিনি।
চেন্নাইয়ের ইনিংসের শেষ বেলায় জুটি বাঁধলেন রবীন্দ্র জাডেজা এবং ধোনি। তাঁদের ইনিংস শেষ হল ৩ উইকেটে ২২৩ রানে। জাডেজা অপরাজিত থাকলেন ৭ বলে ২০ রান করে। ৩টি চার এবং ১টি ছক্কা এল তাঁর ব্যাট থেকে। ধোনি অপরাজিত থাকলেন ৫ রান করে। দিল্লির সামনে জয়ের জন্য বড় রানের লক্ষ্য রাখাই ছিল চেন্নাইয়ের পরিকল্পনা। আইপিএলের শেষ চারে যাওয়ার রাস্তা যতটা সম্ভব বাধাহীন রাখতে চেয়েছিলেন তাঁরা। প্রাথমিক ভাবে সেই লক্ষ্য সফল ধোনির দল।
দিল্লির কোনও বোলারই শনিবার ঘরের মাঠের ২২ গজের সুবিধা কাজে লাগাতে পারলেন না। চেতন সাকারিয়া ৩৬ রান দিয়ে ১ উইকেট নিলেন। তিনিই ডেভিড ওয়ার্নারের দলের সফলতম বোলার। ৪৩ রানে ১ উইকেট নিলেন অনরিখ নোখিয়া। ৪৫ রানে ১ উইকেট খলিলের। চেন্নাইয়ের ব্যাটারদের সামনে বিশেষ সুবিধা করতে পারলেন না অক্ষর পটেল, কুলদীপ যাদবের মতো স্পিনাররা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy