আব্দুল সামাদ শেষ বলে ছক্কা মেরে দলকে জিতিয়ে দিলেন। ছবি: পিটিআই।
আইপিএলে দুর্দান্ত জয় সানরাইজার্স হায়দরাবাদের। জয়পুরে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে জয়ের জন্য শেষ ওভারে তাদের দরকার ছিল ১৭ রান। আব্দুল সামাদ শেষ বলে ছক্কা মেরে দলকে জিতিয়ে দিলেন। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে এই সামাদই শেষ ওভারে আউট হওয়ায় হায়দরাবাদ হেরে যায়। কয়েক দিন পরেই দলকে জিতিয়ে আস্থার দাম রাখলেন জম্মু ও কাশ্মীরের ক্রিকেটার। আগে ব্যাট করে ২ উইকেটে ২১৪ রান তুলেছিল রাজস্থান। জবাবে চার উইকেট বাকি থাকতে জয়ের প্রয়োজনীয় রান তুলে নিল হায়দরাবাদ।
রাজস্থানের হয়ে শেষ ওভারে বল করতে এসেছিলেন সন্দীপ শর্মা। প্রথম বলেই সামাদের ক্যাচ ফেলে দেন ওবেড ম্যাকয়। সামাদ আর দ্বিতীয় সুযোগ দেননি। সন্দীপের দ্বিতীয় বলে ছয় মারেন। তৃতীয় বলে দু’রান, চতুর্থ বলে এক রান হয়। পঞ্চম বলে ১ রান নিয়ে সামাদকে স্ট্রাইক দেন মার্কো জানসেন। ষষ্ঠ বলটি ‘নো’ হয়। শেষ বলে জেতার জন্য দরকার ছিল চার রান। সামাদ ছয় মারেন সন্দীপকে।
আগে ব্যাট করে অবশ্য হায়দরাবাদের বোলারদের শাসন করেছে রাজস্থান। চলতি মরসুমে প্রায় কোনও ম্যাচেই ব্যাট হাতে ছন্দে পাওয়া যায়নি জস বাটলারকে। কিন্তু হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ইংরেজ ব্যাটারের অন্য মূর্তি দেখা গেল। গত বার আইপিএলে তিনি চারটি শতরান করেছিলেন। এ বারে প্রথম শতরান থেকে মাত্র পাঁচ রান দূরে থামলেন। ৫৯ বলে বাটলারের ৯৫ রানের ইনিংসে রয়েছে ১০টি চার এবং ৪টি ছয়।
শুরুটা অবশ্য করেছিলেন যশস্বী জয়সওয়াল। প্রতি ম্যাচেই তাঁর ব্যাট থেকে শুরুতে আগ্রাসী ইনিংস দেখা যাচ্ছে। এ দিনও তার ব্যতিক্রম হল না। ১৮ বলে ৩৫ রান করে শুরুটা দুর্দান্ত করে গেলেন তিনি। জানসেনের বলে যশস্বী ফেরার পরেও রাজস্থানের আক্রমণ থামেনি।
ক্রিজে এসে বাটলারের মতোই আগ্রাসী খেলতে শুরু করেন সঞ্জু স্যামসন। হায়দরাবাদের কোনও বোলারই দাঁড়াতে পারছিলেন না রাজস্থানের এই দুই ব্যাটারের সামনে। বাটলার ফিরে গেলেও সঞ্জু শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৩৮ বলে ৬৬ রান করে। মেরেছেন ৪টি ছয় এবং ৫টি চার।
দুশো রানের উপর তাড়া করতে নেমে হায়দরাবাদ শুরুতেই চাপে পড়বে বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু তার লেশমাত্র দেখা যায়নি। অনমোলপ্রীত সিংহ এবং অভিষেক শর্মা শুরু থেকেই চালিয়ে খেলতে থাকেন। ৩৩ রান করে অনমোলপ্রীত আউট হওয়ার পরে যোগ দেন রাহুল ত্রিপাঠি। দু’জনে মিলে রাজস্থান বোলারদের উপর সে রকমই আচরণ করতে থাকেন, যে রকম অবস্থা হয়েছিল হায়দরাবাদের বোলারদের। অভিষেক ফেরার পর হেনরিখ ক্লাসেন ১২ বলে ২৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে যান।
তিনি ফেরার পর ত্রিপাঠি এবং এডেন মার্করাম ফিরে যাওয়ায় হঠাৎই চাপের মুখে পড়ে হায়দরাবাদ। জয় থেকে তখন অনেকটাই দূরে ছিল তারা। একটি চার এবং ৩টি ছক্কার সাহায্যে গ্লেন ফিলিপস কিছুটা চাপ কমালেও ম্যাচ শেষ করতে পারেননি। সেই কাজটাই করে যান সামাদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy