বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সফরের জন্যই আইপিএলে খেলতে পারলেন না মুস্তাফিজুর। —ফাইল চিত্র।
দেশ বনাম ক্লাব, জাতীয় দল বনাম ফ্র্যাঞ্চাইজি। মুস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে দড়ি টানাটানির এই খেলায় জিতল বাংলাদেশ।
পরিণতি, আমিরশাহিতে আইপিএল খেলা হচ্ছে না মুস্তাফিজের। আর আখেরে ক্ষতি হল কলকাতা নাইট রাইডার্সের। কারণ, মুস্তাফিজের কাটারের জন্য শাহরুখ খানের দল মরিয়া চেষ্টা করেছিল।
বিশ্ব জুড়েই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ বনাম দেশ নিয়ে উত্তাল অবস্থা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের যেমন অনেক তারকাকে নানা দেশের টি-টোয়েন্টি লিগেই দেখা যায়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁরা থাকেন অদৃশ্য। দেশ বনাম ক্লাবের এই সংঘাত ভারতীয় ক্রিকেটে নেই। কারণ, এখানে বোর্ডই আয়োজন করে লিগ। আইপিএলের সময় স্বাভাবিক ভাবেই রাখা হয় না টিম ইন্ডিয়ার খেলা।
আরও পড়ুন: মু্ম্বই ইন্ডিয়ান্সের নেটে ঝড় তুললেন হিটম্যান, দেখুন ভিডিয়ো
কিন্তু, দেশজ ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে যা করা সম্ভব, বিদেশিদের ক্ষেত্রে তা নয়। ফলে, অনেক সময়েই আইপিএলের পুরো মরসুম জুড়ে বিদেশিদের সবাইকে পাওয়া যায় না। জাতীয় দলের ডাকে সাড়া দিতে ফিরে যান তাঁরা। কেউ আবার পরে যোগ দেন আইপিএলে।
মুস্তাফিজের ব্যাপার অবশ্য একেবারেই আলাদা। আইপিএলে প্রাথমিক ভাবে ছিলেন না তিনি। ইংল্যান্ডের বাঁ-হাতি পেসার হ্যারি গার্নি কাঁধের চোটের জন্য ছিটকে গিয়েছেন আইপিএল থেকে। যার ফলে দীনেশ কার্তিকের হাতে বিদেশি পেসার বলতে এখন শুধুই প্যাট কামিন্স ও লকি ফার্গুসন। এই অবস্থায় বিকল্প বাঁ-হাতি পেসারের খোঁজে উঠে এসেছিল পদ্মাপারের মুস্তাফিজের নাম। কিন্তু, তাতে বাদ সেধেছে বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সফর।
সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে শ্রীলঙ্কায় খেলতে যাওয়ার কথা বাংলাদেশের। সেখানে লম্বা প্রস্তুতি শিবির চলবে। সিরিজ শুরু হবে অক্টোবরের শেষের দিকে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড তাই নাকচ করেছে ‘কাটার মাস্টার’-এর আইপিএলে খেলার প্রস্তাব। বিসিবি-র ক্রিকেট অপারেশনস চেয়ারম্যান আক্রম খান আনন্দবাজার ডিজিটালকে শনিবার বললেন, “দেশের খেলা রয়েছে। সেই জন্য আইপিএল খেলতে পারছে না ও। সেপ্টেম্বরের ২৭ তারিখ টিম যাবে। ফলে, বাংলাদেশের কোনও ক্রিকেটারকেই আইপিএলে ছাড়া যাবে না। আর মুস্তাফিজ আমাদের দলের অপরিহার্য সদস্য। খুব গুরুত্বপূর্ণ প্লেয়ার। আমাদের দলের ওজন বেড়ে যায় মুস্তাফিজুর খেললে। করোনার পর এই সিরিজের গুরুত্বই আলাদা। আর আমাদের তো জাতীয় স্বার্থ দেখতেই হবে।”
আরও পড়ুন: অনড় বিসিসিআই, আইপিএলেও ধারাভাষ্য দিতে পারবেন না মঞ্জরেকর
নাইটরা ছাড়া মুস্তাফিজুরকে নিয়ে সামান্য আগ্রহ দেখিয়েছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সও। এর আগে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে আইপিএলে দেখা গিয়েছে মুস্তাফিজকে। সানরাইজার্সের কমলা জার্সির হয়ে ১৭ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি। গড় ছিল ২৬.১৬। ইকনমি রেট ছিল ৭.১৪। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে সাত ম্যাচে তাঁর গড় ৩২.৮৫, স্ট্রাইক রেট ৮.৩৬। রোহিত শর্মার দলের হয়ে নিয়েছেন সাত উইকেট। তবে উইকেট নেওয়ার চেয়েও এই ফরম্যাটে ডেথ ওভারে তাঁর বোলিং বৈচিত্র যে কোনও দলের কাছে সম্পদ। গতির হেরফেরে তিনি ব্যাটসম্যানের কাছে হয়ে ওঠেন প্রহেলিকা।
আর সেই কারণেই মাশরাফি মোর্তাজা, সাকিব আল হাসানের পর আরও এক বাংলাদেশের ক্রিকেটারকে চেয়েছিল নাইটরা। মুস্তাফিজ এলে বৈচিত্র বাড়ত কেকেআরের বোলিং আক্রমণেও। যতই মুম্বই ইন্ডিয়ান্স শেষ পর্বে আগ্রহ দেখাক না কেন, স্লগ ওভারে ম্যাচটা দাঁড়িয়েছিল কলকাতা বনাম বাংলাদেশে। আর ফলাফলে জাতীয় স্বার্থই তফাত গড়ে দিল!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy