Advertisement
০৩ নভেম্বর ২০২৪

হ্যাটট্রিক সুুপার স্যামের, গ্যালারিতে প্রীতি শো

পরিসংখ্যান বলছে, ১৬৬ রান তাড়া করতে গিয়ে দিল্লির শেষ সাত উইকেটের পতন হয় ১৭ বলে। যুক্ত হয় মাত্র আট রান! এবং সেই রুদ্ধশ্বাস জয়ের কারিগর কারেন।

নায়ককে ঘিরে সতীর্থরা। আইপিএল।

নায়ককে ঘিরে সতীর্থরা। আইপিএল।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৯ ০৫:২৫
Share: Save:

চোটের কারণে ক্রিস গেলের না খেলা নিয়ে কিংস ইলেভেন পঞ্জাব-ভক্তদের মনে যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, তা কাটিয়ে দিলেন প্রীতি জিন্টার দলের বোলাররা। ইংল্যান্ডের তরুণ অলরাউন্ডার স্যাম কারেন একাই কাটিয়ে দিলেন সেই উদ্বেগ। ঋষভ পন্থ, কলিন ইনগ্রামের ঝড় থামিয়ে দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক করলেন। পঞ্জাব পেয়ে গেল অসাধারণ জয়।

পরিসংখ্যান বলছে, ১৬৬ রান তাড়া করতে গিয়ে দিল্লির শেষ সাত উইকেটের পতন হয় ১৭ বলে। যুক্ত হয় মাত্র আট রান! এবং সেই রুদ্ধশ্বাস জয়ের কারিগর কারেন। শুরুতেই দিল্লি হোঁচট খায় গত ম্যাচের নায়ক পৃথ্বী শ শূন্য রানে ফেরার পরেই। শিখর ধওয়ন (২৫ বলে ৩০) খানিকটা আক্রমণাত্মক হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তা কাজে আসেনি। ম্যাচের শেষে পঞ্জাব দলের বোলিং কোচ রায়ান হ্যারিস বলে গেলেন, ‘‘আগে ব্যাটিং করলেও আমাদের ২০-৩০ রান কম ছিল। ফলে বোলারদের বলে দিয়েছিলাম, প্রথম ওভার থেকে সতর্ক থেকে প্রতিপক্ষকে চাপের মুখে রাখতে হবে। সেটাই ওরা করেছে। আমি ওদের জন্য গর্বিত।’’

প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে দিল্লিকে ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছিলেন ঋষভ পন্থ (২৬ বলে ৩৯) এবং কলিন ইনগ্রাম (২৯ বলে ৩৮ রান)। সেই অবস্থায় পঞ্জাবের উৎকণ্ঠা কাটিয়ে দেন অভিজ্ঞ মহম্মদ শামি। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা ঋষভকে ফেরান তিনি। হ্যারিসের কথায়, ‘‘ইনিংস ব্রেকে আমি বোলারদের বলে দিয়েছিলাম, ঋষভ অথবা ইনগ্রামের মধ্যে যে কোনও একজনের উইকেট নিতে পারলেই আমাদের পক্ষে জয় ছিনিয়ে নেওয়া অনেক সহজ হয়ে যাবে।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘আমি ভেবেই রেখেছিলাম, কারেনকে পরের দিকে ব্যবহার করব। ওই সময়েই দিল্লি রান তাড়া করতে চাইবে। তখন ওদের সামনে কারেনই কাঁটা হয়ে উঠবে।’’ হতাশ দিল্লি অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার বলেন, ‘‘খুব বড় টার্গেট ছিল না। কিন্তু জয়ের মতো ক্রিকেট আমরা খেলতেই পারিনি। পিছিয়ে থেকেও পঞ্জাব পরের দিকে সমস্ত বিভাগে আমাদের ছাপিয়ে গিয়েছে।’’

যদিও ম্যাচের শুরুতে কিংস ইলেভেন পঞ্জাব দলের ব্যাটিং মোটেও আশাব্যঞ্জক ছিল না। গেল-আতঙ্ক থেকে মুক্ত দিল্লি ক্যাপিটালস বোলাররা শুরু থেকে ঝাঁপিয়ে পড়লেন। মাত্র ৫৮ রানের মধ্যে ফিরিয়ে দিলেন কে এল রাহুল (১৫), স্যাম কারেন (২০) এবং গত ম্যাচের সেরা মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে (৬)। কারেন খানিকটা আগ্রাসী হওয়ার চেষ্টা করলেন ঠিকই, কিন্তু গেলের অভাব পূরণ করা গেল না। নেপালের নবাগত স্পিনার সন্দীপ লামিছানে এবং ৩১ বছরের দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার ক্রিস মরিসের ধাক্কা সামলে উঠতে পারলেন না কিংস ইলেভেন পঞ্জাব দলের ব্যাটসম্যানেরা। সেই ধাক্কা সামলে ওঠার আগে হুঙ্কার দিলেন শেষ ম্যাচে সুপার ওভারের নায়ক কাগিসো রাবাডা। তারই মধ্যে লড়াই করলেন সরফরাজ খান (২৯ বলে ৩৯) এবং ডেভিড মিলার (৩০ বলে ৪৩)। তাঁদের দাপটেই মুখরক্ষা হল পঞ্জাবের।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE