ছবি এএফপি।
শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২৭ রানের। উমেশ যাদবের প্রথম বলে ছয় মারলেন আর অশ্বিন। কিন্তু তার পরের বলেই ফের তুলে মারতে গিয়ে লং অনে ধরা পড়লেন বিরাট কোহালির হাতে।
আর তার পরেই চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম সাক্ষী থাকল দুই উত্তেজক মুহূর্তের। ক্যাচ ধরেই কোহালি হাত নাড়িয়ে কিছু একটা বলছেন। আসলে কোহালি আউট হওয়ার পরে উল্লাসে যে ভাবে শূন্যে হাত ছুড়েছিলেন অশ্বিন, খুব সম্ভবত তাঁর ক্যাচ ধরে সেই জবাবই ফিরিয়ে দেন আরসিবি তারকা। ডাগআউটে ফিরে গিয়ে রাগে গ্লাভসই ছুড়ে ফেলে দেন অশ্বিন। দুই দলের অধিনায়কের এমনই প্রতিক্রিয়া নিয়ে রীতিমতো আলোড়ন পড়ে যায় সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইটে।
ম্যাচের পরে গোটা বিষয়টি ব্যাখ্যা করে দিয়েছেন অশ্বিনই। তিনি বলেছেন, ‘‘আবেগ নিয়ে ম্যাচটা খেলছিলাম বলেই হয়তো বিরক্তি চেপে রাখতে পারিনি। সেটা বিরাটের ক্ষেত্রেও সমান ভাবে প্রযোজ্য। তার বাইরে অন্য কিছুই হয়নি।’’ বরং কিংস ইলেভেন পঞ্জাব দলের অধিনায়ক মনে করেন, চাপের মুহূর্তে তাঁর দল মাথা ঠান্ডা রাখতে না পেরেই বিপদ ডেকে এনেছে। অশ্বিনের কথায়, ‘‘তিন ওভারে ৬০ রান তোলা কঠিন লক্ষ্য হলেও আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছি। তবে আমার মনে হয়েছে, এই ধরনের চাপের মুহূর্তে যে ভাবে উত্তেজনাকে নিয়ন্ত্রণে রেখে ম্যাচটা খেলা দরকার, সেটা ক্রিকেটারেরা করে দেখাতে পারেনি।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘এই ধরনের পরিস্থিতিতে সিনিয়র ক্রিকেটারদের দায়িত্ব নিতে হয়। কিন্তু গত কয়েকটি ম্যাচ লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, চাপের মুহূর্তে দল পাল্টা জবাবই দিতে পারেনি।’’
আগামী সোমবার উপ্পলে পঞ্জাবের প্রতিপক্ষ সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তার আগে কি এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব? অশ্বিন বলেছেন, ‘‘চেষ্টা করতেই হবে। মনে রাখতে হবে, এখনও পর্যন্ত প্রত্যেকটি ম্যাচই খুব কঠিন ছিল আমাদের কাছে। তার মধ্যে যেখানে স্নায়ুকে নিয়ন্ত্রণে রাখা গিয়েছে, সেখানে আমরা জিতেছি। যেখানে পারিনি এ ভাবেই হারতে হয়েছে। আশা করি, সোমবার সেই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যাবে।’’
অশ্বিন এ-ও জানাতে ভোলেননি, নিকোলাস পুরান এবং ডেভিড মিলার একটা সময়ে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করলেও সার্বিক ভাবে মাঝের সারির ব্যাটিং মোটেও আশাব্যঞ্জক ছিল না। তিনি বলেছেন, ‘‘যখন ২০০ রান তাড়া করার লক্ষ্য সামনে থাকে, তখন প্রয়োজন এমন একজনকে, যে ৭০-৮০ রান করতে পারে। আমাদের দলে কিন্তু তেমন কোনও চরিত্র নেই।’’ আরও বলেছেন, ‘‘প্রথম ১০ ওভারে আমরা ১০৫ রান তুলেছিলাম। ঘটনা হল, আরসিবি এমনই পরিস্থিতি থেকে রানটাকে যে জায়গায় নিয়ে গিয়েছিল, আমরা সেটা করতে পারিনি। পুরান অবশ্যই ভাল খেলেছে। কিন্তু ওর একার পক্ষে এর চেয়ে বেশি কিছু করা সম্ভবও ছিল না। এই ধরনের হারগুলো খুবই বিরক্তিকর হয়ে দাঁড়ায়। আমাদের আরও বেশি সতর্ক হতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy