ভারতীয় দলের চলতি ইংল্যান্ড সফরে যে সূচনার দরকার ছিল তা করে ফেলেছে বিরাট কোহালির দল। দাপটের সঙ্গে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় তারই ইঙ্গিত দিচ্ছে। এমনকি যে ম্যাচে ভারত হেরেছিল, সেখানেও শেষ ওভার পর্যন্ত লড়েছিল ভারতীয়রা। ইংল্যান্ডে গিয়েই টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের এই আত্মবিশ্বাস ও ছন্দ ওয়ান ডে সিরিজে নামার আগে ভারতীয় দলকে যে সাহায্য করবে সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে যে ভাবে খেলে যাচ্ছে ভারতীয় দল, সে ক্ষেত্রে বিরাট এবং তাঁর ছেলেদের থামাতে গেলে ইংল্যান্ডের পারফরম্যান্স আরও ভাল হতে হবে।
গত ২০-২২ বছর ধরে প্রতি বছর গ্রীষ্মেই ইংল্যান্ডে আসি। কিন্তু এ বারের মতো গরম অন্য বার অনুভব করিনি। এ বার যেমন গরম তেমন আর্দ্র পরিবেশ। ফলে মনে হচ্ছে ভারতীয় পরিবেশেই খেলা হচ্ছে দুই দেশের। উইকেট শক্ত এবং ব্যাটিং সহায়ক। স্পিনাররাও এই ধরনের পিচে বল করতে পছন্দ করেন। এ বারের সিরিজে ভারতীয় স্পিনারদের সামলানোই ইংল্যান্ডের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ এই ব্যাপারটাই সিরিজের নিষ্পত্তি করবে বলে আমার ধারণা। ইংল্যান্ডের মাটিতে ইংল্যান্ড সব সময়েই শক্ত প্রতিপক্ষ। কিন্তু ইংরেজ ক্রিকেটারদের সামলানোর রসদ রয়েছে ভারতীয়দের হাতে।
দু’দলের ব্যাটিং শক্তিই বেশ ভাল। যদিও আমি বিশ্বাস করি প্রতিভা এবং আগ্রাসী মনোভাবে বিরাট কোহালির দল কিছু হলেও এগিয়ে। ভারতীয় বোলিং বিভাগও ইংল্যান্ডের চেয়ে অনেক শক্তিশালী। সিরিজে পর পর ম্যাচ থাকায় উমেশ যাদবের আত্মবিশ্বাস ভাল জায়গায় থাকবে। আর গতির যে কোনও বিকল্প নেই সেটা কে না জানে। সঙ্গে কুলদীপ যাদব ও যুজবেন্দ্র চহালের স্পিন আক্রমণ ইংল্যান্ডের ভঙ্গুর মিডল অর্ডারকে নিয়ন্ত্রণ করবে বলেই আমার ধারণা। তবে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে কুলদীপকে দলে দেখতে না পেয়ে বেশ অবাকই হয়েছি।
এর সঙ্গে বলতে হবে হার্দিক পাণ্ড্য, লোকেশ রাহুল এবং রোহিত শর্মার কথাও। রোহিত যে দিন খেলে সে দিন অন্যদের তা দেখা ছাড়া অন্য কিছুই করার থাকে না। ওর ঝুলিতে এত বৈচিত্র্যময় সব শট রয়েছে তা সত্যিই দুর্দান্ত। নিজের দিনে রোহিত যে কোনও বোলিং আক্রমণকেই একা শেষ করে দিতে পারে। কোনও সন্দেহ নেই, এই মুহূর্তে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অধিনায়ক বিরাট কোহালির সঙ্গে রোহিত শর্মা ম্যাচ জেতানোর অন্যতম সেরা ক্রিকেটার। পাশাপাশি, এটা দেখতে আরও ভাল লাগছে কেএল রাহুলের প্রতি অধিনায়ক বিরাটের আস্থা। রাহুল হল ভবিষ্যতের তারকা। আত্মবিশ্বাস ধরে রাখতে পারলে ও অনেক দূর যাবে। টেকনিকের দিক দিয়েও বেশ ভাল ব্যাটসম্যান ও। আর হার্দিককে নিয়ে তো বিশেষ ভাবে বলতেই হবে। ও তো লাফিয়ে লাফিয়ে উন্নতি করছে। আর ও হল সেই খেলোয়াড় যে ব্যাটিং ও বোলিং—দু’টো দিয়েই দলের সামনে আসা যে কোনও পরিস্থিতি সামলে দিতে পারে। ভারতীয় দলে হার্দিকের সাহসের কোনও তুলনাই হবে না।
ইংল্যান্ডে এ বার একটা বড় সফর। যার সবে সূচনা হয়েছে। যে ভাবে ভারতীয় দল শুরু করেছে তাতে একটা দুর্দান্ত গ্রীষ্মের অপেক্ষায় রয়েছি আমরা। যদি না ইংল্যান্ডের বোলিং উন্নত হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy