অভিযান: গেমস ভিলেজে পতাকা উত্তোলনের পরে ভারতীয় দল। সোমবার গোল্ড কোস্টে। ছবি: এএফপি
কমনওয়েলথ গেমসের উদ্বোধনের আগে স্বস্তি ফিরল ভারতীয় দলে। সিরিঞ্জ-কাণ্ডে শাস্তির হাত থেকে রেহাই পেল ভারতীয় বক্সিং দল।
গেমস ভিলেজে ভারতীয় বক্সারদের ঘরের সামনে ব্যবহৃত সিরিঞ্জ পাওয়া থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। কমনওয়েলথ গেমসের নিয়ম অনুযায়ী, অনুমতি ছাড়া কেউ সিরিঞ্জ নিয়ে আসতে পারবেন না গেমসে। সিরিঞ্জ পাওয়ার পরে কমনওয়েলথ গেমস ফেডারেশন (সিজিএফ) ভারতীয় বক্সারদের ডোপ পরীক্ষা করে। সিরিঞ্জেরও পরীক্ষা হয়। যে রিপোর্ট জমা পড়ার পরে মঙ্গলবার গোল্ড কোস্টে এই নিয়ে শুনানি হয়। যেখানে ভারতীয় বক্সিং দলের ডাক্তার অমল পাটিল-কে তীব্র ভর্ৎসনা করা হয়। কিন্তু কোনও রকম শাস্তি দেওয়া হয়নি। ভারতীয়দের তরফে শুনানিতে বলা হয়েছিল, এক ক্লান্ত বক্সারকে ভিটামিন ইঞ্জেকশন দিয়েছিলেন চিকিৎসক। কিন্তু সিরিঞ্জ ঠিকমতো জমা দেওয়ার বদলে তা ফেলে দেওয়া হয়। যা চোখে পড়ে যায় গেমস ভিলেজের এক সাফাইকর্মীর। যেখান থেকেই যাবতীয় বিতর্কের শুরু।
মঙ্গলবার সিজিএফ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘‘নো সিরিঞ্জ নীতিতে পরিষ্কার করে বলা আছে, একটি নির্দিষ্ট, নিরাপদ জায়গায় সমস্ত সিরিঞ্জ রেখে দেওয়া হবে। যেখান থেকে শুধু সিজিএফ-এর অনুমোদিত লোকেরাই ওই সিরিঞ্জ ব্যবহার করতে পারবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সেটা হয়নি। ওই সিরিঞ্জ ঠিক জায়গায় রাখা ছিল না। এই পরিস্থিতিতে ঠিক হয়েছে, টিমের ডাক্তারকে এক কড়া চিঠি পাঠানো হবে। যে চিঠির একটি প্রতিলিপি ভারতীয় দলের শেফ দ্য মিশনকেও পাঠানো হবে। ভারতকে দেখতে হবে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয়।’’
আজ, বুধবার কমনওয়েলথ গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। তার আগে ভারতীয় দল এ ভাবে বেঁচে যাওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে। বক্সারদের ছাড় পাওয়ার প্রধান কারণ হল, ডোপ পরীক্ষায় তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যে কারণে কড়া হয়নি ফেডারেশন।
আরও একটা ব্যাপার ভারতের পক্ষে গিয়েছে। ভারতীয় দলের সঙ্গে এ বার মাত্র দু’জন চিকিৎসক এসেছেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘ভারতীয় দলের ৩২৭ জন সদস্যের মধ্যে বক্সিং দলের চিকিৎসক ছাড়া মাত্র আর এক জন চিকিৎসক এসেছেন। এই প্রথম কোনও গেমসে এসেছেন ভারতের প্রধান মেডিক্যাল অফিসার এবং ওই সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক। যে ব্যাপারটা আমরা মাথায় রেখেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy