ফের প্লে-অফে বিশ্ব টেনিস র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর দেশের সামনে পড়ে ভারতের ডেভিস কাপ ওয়ার্ল্ড গ্রুপে ওঠা কঠিন হয়ে দাঁড়াল। ঠিক গত বারের সার্বিয়ার মতো।
এ দিন লন্ডনে আইটিএফের করা লটারিতে ২০১৬-র ওয়ার্ল্ড গ্রুপের জন্য আটটা প্লে-অফ লাইন আপে ভারত-চেক প্রজাতন্ত্র মুখোমুখি হল।
সোমদেবদের পক্ষে কেবল সুখবর, সাতানব্বইয়ে দু’দেশের মধ্যে হওয়া শেষ টাই ভারত অ্যাওয়ে খেলায় এ বার দেশের কোর্টে খেলার সুযোগ পাচ্ছে। মঙ্গলবার এআইটিএ সূত্রের খবর, আগামী ১৮-২০ সেপ্টেম্বর গুরুত্বপূর্ণ এই টাই দিল্লির আর কে খন্না টেনিস কমপ্লেক্সে সম্ভবত হবে। তবে পুণের হার্ডকোর্টের কথাও ভারতীয় টেনিসমহলের কেউ কেউ বলছেন। তা ছাড়া, লিয়েন্ডার পেজ সেপ্টেম্বরের টাই খেলবেন বলে আগেই জানিয়ে রেখেছেন এআইটিএকে। এ দিনও ভেস পেজ সে কথা ফের বললেন।
২০১৩ চ্যাম্পিয়ন (মোট তিন বারের চ্যাম্পিয়ন), গত বারের সেমিফাইনালিস্ট চেক প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে ভারত তিন বার খেলে ০-৩ পিছিয়ে। যার মধ্যে প্রথম দু’বার (১৯২৬ আর ’৮৬) সাবেক চেকোস্লোভাকিয়ার সঙ্গে খেলেছিল। ভারতের বর্তমান নন-প্লেয়িং ক্যাপ্টেন আনন্দ অমৃতরাজের ছিয়াশির টাইয়ে কলকাতার সাউথ ক্লাবে দাদা বিজয়ের সঙ্গে ডাবলস খেলে হারের স্মৃতির চেয়েও অবশ্য বেশি টাটকা প্রাক্তন নন-প্লেয়িং ক্যাপ্টেন জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতি।
সাতানব্বইয়ে ওয়ার্ল্ড গ্রুপের প্রথম রাউন্ডের দ্বিতীয় দিন ২-১ এগিয়ে থেকেও শেষ দিন জয়দীপের ভারত শেষমেশ ২-৩ টাই হেরেছিল। প্রথম রিভার্স সিঙ্গলসে বাঁ-হাতি পের কোর্দার কাছে লিয়েন্ডার হেরে যাওয়ার পর নির্ণায়ক পঞ্চম রাবারে মহেশও হেরে যান। ‘‘তার কয়েক মাস পরেই কোর্দা অস্ট্রেলিয়ান ওপেন চ্যাম্পিয়ন হয়। বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে দুইয়ে উঠে আসে,’’ বলে জয়দীপ এ দিন আরও যোগ করলেন, ‘‘সেই দলের মতো অত শক্তিশালী যদিও এ বারের চেক দল নয়। তবে এই টিমও যথেষ্ট ভাল। যদি বার্ডিচ আর স্টেপানেক আসে তা হলে আরও কঠিন হবে আমাদের জেতা।’’
এ বছরের অস্ট্রেলীয় ওপেন সেমিফাইনালিস্ট, বিশ্বের ছয় নম্বর বার্ডিচ আগের ডেভিস কাপ টাই খেলেননি। গ্র্যান্ড স্ল্যাম ডাবলস চ্যাম্পিয়ন স্টেপানেকও নন। ওয়ার্ল্ড গ্রুপের প্রথম রাউন্ডের সেই টাই অস্ট্রেলিয়ার কাছে চেক দল ঘরের কোর্টে ২-৩ হারে। এ বার যুক্তরাষ্ট্র ওপেন শেষ হওয়ার পাঁচ দিন পরেই নিউইয়র্ক থেকে সুদূর ভারত পাড়ি দিয়ে বার্ডিচ-স্টেপানেকের মতো চেক টেনিস মহাতারকা দেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন কি না সেটাও এক বড় প্রশ্ন।
তা হলেও বিশ্বের ৫৪ নম্বর লুকাস রোসল (তিন বছর আগে উইম্বলডনে নাদালকে হারান) এবং ৪৪ নম্বর জিরি ভেসেলিকে নিয়ে গড়া চেক দলও মোটেই কম শক্তিধর হবে না। ভারতীয় দলের কোচ জিশান আলি অবশ্য বললেন, ‘‘ডেভিস কাপে কিছুই বলা যায় না। সব কিছুই ঘটতে পারে। য়ুকি যেমন নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ডু-অর-ডাই শেষ সিঙ্গলসে বিশ্বের প্রথম প়ঞ্চাশে থাকা প্লেয়ারের মতো খেলে দেশকে জেতাল এই সে দিন। তা ছাড়া প্লে অফ টাই মানে আপনাকে যে কোনও ওয়ার্ল্ড গ্রুপের দেশের সঙ্গে লড়তে হবে। ওখানে সব দেশই শক্তিশালী। গত বার তো এক নম্বর সার্বিয়ার সঙ্গে আমরা সামান্যর জন্য হেরেছিলাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy