পার্থিব পটেল না তিনি— অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে আগামী মাসে চার টেস্টের সিরিজ কাকে ভারতীয় টিমের উইকেটকিপার হিসেবে দেখা যাবে সেই প্রশ্ন যখন উঠে পড়েছে, তখন মোক্ষম প্রত্যাবর্তন ঘটালেন বাংলার ঋদ্ধিমান সাহা। ইরানি ট্রফিতে পার্থিব পটেলেরই টিমের বিরুদ্ধে দুর্ধর্ষ সেঞ্চুরি করে।
জিততে গেলে চতুর্থ ইনিংসে ৩৭৯ করতে হবে, এই পরিস্থিতিতে ৬৩-৪ হয়ে গিয়েছিল অবশিষ্ট ভারত। সেখান থেকে চতুর্থ দিনের শেষে পার্থিবের গুজরাতের বিরুদ্ধে তারা ২৬৬-৪। ঋদ্ধির ১২৩ ব্যাটিং এবং চেতেশ্বর পূজারার ৮৩ ব্যাটিংয়ে। শেষ দিনে জিততে আর চাই ১১৩।
হবে?
‘‘আজ যে ভাবে ব্যাট করেছি, কালও সে ভাবেই ব্যাট করার চেষ্টা করব। বেশি দূর ভাবছি না আমি।’’ মুম্বই থেকে ফোনে বলছিলেন ঋদ্ধিমান। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগে এই সেঞ্চুরি কতটা গুরুত্বপূর্ণ? শুনে এ বার ঋদ্ধি বললেন, ‘‘ম্যাচটা না জিতলে এর কোনও দামই থাকবে না।’’
ঋদ্ধিমান আরও একটা কথা বললেন। মিডিয়ায় বহুল চর্চিত পার্থিবের সঙ্গে তাঁর যুদ্ধ-প্রসঙ্গে। পার্থিবের টিমের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি আসায় যা আরও বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু বঙ্গ উইকেটকিপার নিরুত্তাপ। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়, এই ম্যাচটাকে যেহেতু পার্থিব বনাম ঋদ্ধিমান হিসেবে দেখছিল সমগ্র মিডিয়া, তাতে তাঁর উপর কোনও চাপ ছিল কি না? শুনে ঋদ্ধিমান বললেন, ‘‘আমি তো পার্থিবের বিরুদ্ধে খেলতে নামিনি। অবশিষ্ট ভারতের হয়ে খেলতে এসেছিলাম। গুজরাতের বিরুদ্ধে খেলতে এসেছিলাম।’’ কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দল নির্বাচন বলেও একটা ব্যাপার আছে সামনে। ঋদ্ধিমান এ বারও অবিচল। বললেন, ‘‘আমার কাজ সুযোগ পেলে রান করা। ব্যস। এর বাইরে কিছু ভাবি না আমি। ও সুযোগ পেলে পাবে, আমি পেলে আমি।’’
প্রথম ইনিংসে ব্যর্থ হয়েছিলেন ঋদ্ধিমান। কোনও রান না করেই আউট হয়ে গিয়েছিলেন। সেই ব্যর্থতার কোনও চাপ ছিল? শটে কাঁটছাঁট করেছিলেন? এ বার ঋদ্ধি বললেন, ‘‘বরং উল্টোটা। শট খেলেছি। ওদের বোলাররা সামনে ভাল রাখছিল। কিন্তু ওই বলগুলোতেই শট খেলেছি। কখনও সামনে কখনও উপর দিয়ে মারছিলাম। যাতে ওদের প্ল্যানটা নষ্ট করে দেওয়া যায়।’’
প্ল্যান নষ্ট করে দিয়েছেন ঋদ্ধি। ২৪১ বলে ১২৩ ব্যাটিং থেকে। ১৬-টা বাউন্ডারির সঙ্গে তিনটে ছক্কা মেরে। পারলেন না শুধু আর একজন। বাংলার অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। প্রথম ইনিংসে ১২-র পর দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি আউট মাত্র ৭ রান করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy