নজরে: কুলদীপের না ফেরাই বিরাটদের অস্বস্তিতে রাখছে। পিটিআই
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দুর্দান্ত জয় পেয়েছে বিরাট কোহালির ভারত। জয়ের চেয়েও যা আমার মন জিতেছে, তা হল অস্ট্রেলিয়ার উপর প্রায় বুলডোজ়ার চালিয়ে ওই ম্যাচ থেকে ভারতের দু’পয়েন্ট প্রাপ্তি। যে ম্যাচে বিরাট ও তার ছেলেদের প্রতিটি পদক্ষেপ ছিল ঠিকঠাক। এ বার ভারতের সামনে আরও একটা কঠিন পরীক্ষা আসতে চলেছে। তা হল নিউজ়িল্যান্ড ম্যাচ।
শিখর ধওয়নের চোটের কারণে খেলতে না পারা অবশ্যই ভারতের কাছে একটা বড় ধাক্কা। সেই জায়গায় রোহিত শর্মার সঙ্গে ওপেন করতে দেখা যাবে কে এল রাহুলকে। পাশাপাশি, রিজার্ভে থাকা অন্য কয়েকজন ক্রিকেটারকে দেখে নেওয়াও খুব একটা খারাপ রণনীতি নয়। আপনি কখনও আশা করতে পারেন না, রিজার্ভে থাকা ক্রিকেটারেরা কোনও একদিন মাঠে নেমেই দারুণ খেলতে শুরু করে দেবে। আমার মতে, তাই রবীন্দ্র জাডেজাকে নিয়ে একটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখাই যেতে পারে। তাই নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে রবীন্দ্র জাডেজা বা মহম্মদ শামির মধ্যে একজনকে দেখে নিতে পারে বিরাট। আশা করা যায়, আঙুলের চোট সেরে গেলে শিখর আবার নিজের জায়গায় ফিরে রান করবে।
বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী প্রতিটা দলই এই মুহূর্তে নজর রাখছে ভারত বনাম নিউজ়িল্যান্ড ম্যাচের দিকে। কারণ, এই ম্যাচে যে দল জিতবে তারা সেমিফাইনালে অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যাবে। ভারত ও নিউজ়িল্যান্ড দু’দলই বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত নিয়ন্ত্রিত পারফরম্যান্স করে দেখিয়েছে। তাই ক্রিকেটারদের দক্ষতার বিচারে এই ম্যাচটা বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা দ্বৈরথ হতে চলেছে।
বল হাতে ভুবনেশ্বর কুমারের ধারাবাহিকতা ভারতীয় দলে একটা বড় সমস্যার সমাধান করে দিয়েছে। নতুন বলে ভুবনেশ্বর ও যশপ্রীত বুমরা, তার সঙ্গে হার্দিক পাণ্ড্য বিরাটের দলের হয়ে অনেকটা কাজ করে দিচ্ছে। ভারতীয় দলে একমাত্র কুলদীপ যাদব রয়েছে, যাকে দেখে মনে হচ্ছে ঠিকঠাক আত্মবিশ্বাসের জায়গাটা এখনও খুঁজে পায়নি। আমি মনে করি, ছন্দে ফিরতে ওর দরকার একটা ম্যাচে ভাল পারফরম্যান্স। তাই ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে এটা অন্যতম মাথাব্যথার বিষয়।
বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে নিউজ়িল্যান্ডের অতীত রেকর্ড ভাল। প্রায় ১৬ বছর পরে এই প্রতিযোগিতায় ভারতের বিরুদ্ধে খেলবে নিউজ়িল্যান্ড। ট্রেন্ট ব্রিজে অনুষ্ঠিত হতে চলা এই ম্যাচে খেলার দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। যা সামলানোর জন্য কারও কিছু করার নেই। ম্যাচে বৃষ্টি হয়ে খেলা ভেস্তে গেলে একটা সময়ের পরে সংশ্লিষ্ট দলের মনে হতেই পারে তাদের পয়েন্ট ধুয়ে গেল বৃষ্টিতে। তাই এ ক্ষেত্রে রিজার্ভ ডে থাকা বাঞ্ছনীয় ছিল। কিন্তু তা হলে আবার ক্রীড়াসূচি বেড়ে যেত। কিন্তু এখনকার দিনে তা সম্ভব নয়।
যাই হোক, ১০ দলের লিগে যদি একটা ম্যাচ বৃষ্টিতে ধুয়ে যায়, তা হলেও সেরা চারটে দলই সেমিফাইনালে যাবে। আমার এখনও মনে আছে, রিজার্ভ ডে থাকায় কী ভাবে ম্যাঞ্চেস্টারে ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাতে সুবিধা হয়েছিল আমাদের। এই জয়েই আমাদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু তখন বিশ্বকাপ ছিল ২৭ ম্যাচের প্রতিযোগিতা। তাই রিজার্ভ ডে তখন রাখা সম্ভব হলেও এখন আর হয় না। এটা মেনে নিয়েই দলগুলোকে খেলতে হচ্ছে। তবে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে পাওয়া একটা পয়েন্টও উপকার করতে পারে। সেটা পাকিস্তানের চেয়ে কোন দল ভাল জানে!
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy