Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

অধিনায়ক-কোচের আস্থার মর্যাদা দিচ্ছি, বলছেন ম্যাচের সেরা

‘‘সতীর্থরাও সব সময় আমার পাশে থেকেছে। যত বার চোট লেগে ছিটকে গিয়েছি, তত বারই ওরা সাহস জুগিয়েছে।’’

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের জন্য ম্যাচের সেরা হয়েছেন কেদার।—ছবি পিটিআই।

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের জন্য ম্যাচের সেরা হয়েছেন কেদার।—ছবি পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হায়দরাবাদ শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০১৯ ০৪:৩০
Share: Save:

চোট তাঁকে বারবার ছিটকে দিয়েছে দল থেকে। যত বার দলে নিজের জায়গা পাকা করার পরিস্থিতি হয়েছে, তত বার বাইরে চলে যেতে হয়েছে। আবার ফিরে এসে শুরু করতে হয়েছে লড়াই। কী ভাবে দেখছেন বাইশ গজের বাইরের এই লড়াইকে কেদার যাদব?

অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তাঁর অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের জন্য ম্যাচের সেরা হয়েছেন কেদার। পুরস্কার নেওয়ার পরে মুখোমুখি হন সাংবাদিকদের। যেখানে এই প্রশ্ন শোনার পরে কেদারের জবাব, ‘‘আমি চোট পেয়ে ছিটকে গেলেও সুস্থ হওয়া মাত্র আমাকে প্রথম এগারোয় সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এ বারই শুধু নয়, প্রতি বার। অধিনায়ক, কোচ, টিম ম্যানেজমেন্ট আমার উপর আস্থা রেখেছে। আমি এখন চেষ্টা করছি, সেই আস্থার মর্যাদা দেওয়ার। কঠিন সময় দল আমার উপরে ভরসা রেখেছিল। আমারও এখন দায়িত্ব পড়ে কিছু ফিরিয়ে দেওয়ার। সেই চেষ্টাটাই করছি।’’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘‘সতীর্থরাও সব সময় আমার পাশে থেকেছে। যত বার চোট লেগে ছিটকে গিয়েছি, তত বারই ওরা সাহস জুগিয়েছে।’’

এর আগে অস্ট্রেলিয়ায় দেখা গিয়েছিল। হায়দরাবাদেও দেখা গেল, আপনি ম্যাচ শেষ করে আসছেন। আপনাকে কি তা হলে নতুন ফিনিশারের ভূমিকাটা দেওয়া হয়েছে? কেদারের জবাব, ‘‘এটা নতুন কিছু নয়। আমি প্রথম থেকেই ছ’নম্বরে ব্যাট করছি। আমার মনে আছে, সেই ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজে আমি ম্যান অব দ্য সিরিজ হয়েছিলাম। সেখানেও ছ’নম্বরে ব্যাট করেছিলাম। টিম ম্যানেজমেন্ট আমাকে পরিষ্কার করে বলে দিয়েছে, তুমি ছ’নম্বরেই ব্যাট করবে। তাই ম্যাচ শেষ করাটা আমার দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। দলের প্রত্যেক ক্রিকেটারের কী ভূমিকা, তা কোচ-ক্যাপ্টেন সবাইকে ভাল ভাবে বুঝিয়ে দিয়েছে।’’

আপনি এ দিন বিশ্বের অন্যতম সেরা ফিনিশারের সঙ্গে ব্যাট করলেন। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির থেকে কি কিছু শিখলেন? কেদারের মন্তব্য, ‘‘মাহি ভাইয়ের কাছ থেকে সব সময়ই কিছু না কিছু শেখা যায়। আমি হয়তো বলে বোঝাতে পারব না, ঠিক কী শিখেছি। কিন্তু আমার ব্যাটিংয়ে সেই ছাপটা পড়ে। উল্টো দিকে মাহি ভাই থাকলে মনে হয়, আমিও কাজটা করে দিতে পারব। এতটাই আত্মবিশ্বাস পাওয়া যায় ওকে দেখলে। এটাই মাহি ভাইয়ের মহিমা।’’

এক অস্ট্রেলীয় সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, আপনাদের দলে বিরাট কোহালি-ধোনি থাকায় কি মনে হয়, যে কোনও রান তুলে দিতে পারবেন? হাল্কা হেসে কেদারের জবাব, ‘‘আপনি নিজের প্রশ্নের উত্তর নিজেই দিয়ে দিলেন। আমরা ভাগ্যবান যে আমাদের দলে কোহালি এবং ধোনির মতো দু’জন ক্রিকেটার আছে। আমরা সব সময় ওদের দু’জনের কাছ থেকে শেখার চেষ্টা করে যাচ্ছি। দলের তরুণ ক্রিকেটারেরা যে সাফল্য পাচ্ছে, তার জন্য এই দু’জনেরই সব কৃতিত্ব। আমরা চেষ্টা করি, ওদের সাফল্যের ১০-১৫ শতাংশ যদি আমাদের নিজের খেলায় তুলে ধরতে পারি।’’

কোহালি-ধোনির থেকে কী কী সাহায্য পান? কেদার বলছেন, ‘‘ওরা উল্টো দিকে থাকলে ব্যাট করা অনেকটা সহজ হয়ে যায়। ওরা বলে দেয়, সামনে এই লক্ষ্যটা নিয়ে খেল। এই এই বোলারকে মারার চেষ্টা কর। অনেক অভিজ্ঞতা না থাকলে এই সব ঠিক করা কঠিন।’’

নিজের বোলিং নিয়ে কেদার বলছেন, তিনি নিজেকে এখনও বিশেষজ্ঞ বোলার হিসেবে দেখছেন না। ‘‘নিজেকে বিশেষজ্ঞ বোলার হিসেবে দেখে চাপ তৈরি করতে চাই না। আমি বোলিংটা উপভোগ করছি। আপাতত সেটাই করে যেতে চাই,’’ বলেন তিনি।

বিশ্বকাপের চূড়ান্ত মহড়া মনে করা হচ্ছে এই সিরিজটাকে। সেখানে প্রথম ম্যাচেই জয় দলের আত্মবিশ্বাস কতটা বাড়িয়ে দেবে তাঁর? নির্লিপ্ত কেদার শুনিয়ে দিয়ে গেলেন, ‘‘যে কোনও জয়ই দলের আত্মবিশ্বাস অনেকটা বাড়িয়ে দেয়। তবে আমরা পদ্ধতির ওপর জোর দিচ্ছি। পদ্ধতি ঠিক হলে ফল পাওয়া যাবেই।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE