কেসি ডেলাকুয়াকে বুকে জড়িয়ে সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন ইয়ারোস্লাভা শেদোভা। নিজের চোখের জলও মুছছিলেন অনবরত। সদ্য যুক্তরাষ্ট্র ওপেন ডাবলস জয়ীদের ডেলাকুয়াদের পাশে দাঁড়িয়ে তাই প্রথমে কিছুটা ব্যথাতুরই লাগছিল। না হলে বছরের দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যাম ডাবলস জিতে উঠেই মার্টিনা হিঙ্গিস কেন বলবেন, ‘‘কেসি তোমার জন্য খুব খারাপ লাগছে। ছ’নম্বর গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনালে উঠেও হারতে হল। ভবিষ্যতে তুমি নিশ্চয়ই সফল হবে।’’
একটু পরেই অবশ্য সেই ঝকঝকে হাসিটা ফিরে এল ‘সুইস মিস’-এর। উইম্বলডনের পর যুক্তরাষ্ট্র ওপেন। গ্র্যান্ড স্ল্যামের নাম পাল্টেছে, মেয়েদের ডাবলস আর মিক্সড ডাবলস চ্যাম্পিয়নদের নাম পাল্টায়নি। এই দুরন্ত সাফল্যের রহস্য কী? হিঙ্গিস হাসতে হাসতে বললেন, ‘‘সানিয়ার সঙ্গে আমার বোঝাপড়াটাই আসল। সানিয়ার এটা প্রথম যুক্তরাষ্ট্র ওপেন ডাবলস জয়। আমার জন্য যা জিতছি পুরোটাই বোনাস।’’
ফ্লাশিং মেডোয় হিঙ্গিসের প্রথম ডাবলস খেতাব ১৭ বছর আগে। ইয়ানা নভোৎনার সঙ্গে। যখন সিঙ্গলসের সঙ্গে ডাবলসেও চুটিয়ে খেলছেন। খেতাবও জিতছেন টানা। প্রায় দেড় দশক পরে কোর্টে নেমে কি এখন তার থেকেও ভাল খেলছেন? উত্তরে সানিয়ার সঙ্গে নিজের সাফল্যের রসায়নটাও পরিষ্কার করে দিলেন তিনি। ‘‘দুটো সময় আলাদা। তবে আমার মনে হয় এখন ভলিটা আগের থেকে ভাল মারছি। তার আরও বড় কারণ বেসলাইন সামলানোর দায়িত্বটা সানিয়ার উপর ছেড়ে আমি নিশ্চিন্ত। ওর ফোরহ্যান্ড বোমা বিশ্বের অন্যতম সেরা।’’
হিঙ্গিস যাঁকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন তাঁর গলায় উচ্ছ্বাসের থেকেও বেশি ধরা পড়ল আত্মবিশ্বাস। আরও গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতার। সানিয়া বলেছেন, ‘‘বছরটা আমাদের খুব ভাল যাচ্ছে। উইম্বলডন জেতা, র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে ওঠা। আমাদের জুটিটা সলিড। প্রত্যেকটা স্ল্যামেই আমরা জেতার জায়গায় চলে আসি। চাপটাও ভাল সামলাই। গত বছর এখানে মিক্সড ডাবলস জিতেছি। এ বার ডাবলস জেতায় দ্বিগুন আনন্দ হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy