(বাঁ দিকে) ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল সন্তোষ গাঙ্গোয়াড়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হেমন্ত সোরেনের (ডান দিকে)। রবিবার বিকেলে। ছবি: পিটিআই।
টানা দ্বিতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়ে নজির গড়তে চলেছেন হেমন্ত সোরেন। এর আগে ঝাড়খণ্ডের কোনও মুখ্যমন্ত্রীই ভোটে জিতে পর পর দু’বার মসনদে বসেননি। রবিবার প্রথা মেনে হেমন্ত ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল সন্তোষ গাঙ্গোয়ারের সঙ্গে দেখা করে সরকার গঠনের দাবি জানান। পাশাপাশি নিজের ইস্তফাপত্রও রাজ্যপালের হাতে তুলে দেন ঝাড়খণ্ডের বিদায়ী তথা হবু মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে হেমন্ত জানান, আগামী ২৮ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন তিনি। তবে তাঁর সঙ্গে কত জন বিধায়ক মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়। হেমন্ত বলেন, “আমি রাজ্যপালের হাতে শরিক দলগুলির বিধায়কদের স্বাক্ষর সম্বলিত চিঠি রাজ্যপালের হাতে তুলে দিয়েছি। উনি আমাদের সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আগামী ২৮ নভেম্বর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হবে।” তবে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান কোথায় হবে, সে বিষয়ে হেমন্ত বা তাঁর দল ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) কিছু খোলসা করেনি।
প্রসঙ্গত, ৮১ আসনের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় জেএমএম, কংগ্রেস, আরজেডি, সিপিআইএমএল (লিবারেশন)-এর জোট পেয়েছে ৫৬টি আসন। আর বিজেপি, আজসু, জেডিইউ আর এলজেপি(আর)-এর জোট জয়ী হয়েছে ২৪টি আসনে। অথচ ‘দুর্নীতি’ থেকে শুরু করে অনুপ্রবেশকে প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ— বহু কাঁটা বিছানো পথে এ বার হাঁটতে হয়েছিল হেমন্তকে। তার উপর চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি ঝাড়খণ্ডে জমি দুর্নীতি সংক্রান্ত বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মামলায় শিবু সোরেনের পুত্রকে গ্রেফতার করে ইডি।
ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা ভোটের প্রচারে এসে নরেন্দ্র মোদী থেকে অমিত শাহ— বার বার নানা তিরে বিদ্ধ করেছিলেন হেমন্তকে। অনেক ভোট বিশেষজ্ঞ হেমন্তের ‘প্রত্যাবর্তন’ নিয়ে সন্দেহপ্রকাশ করেছিলেন। বুথফেরত সমীক্ষাও ছিল তাঁর বিপক্ষে। কিন্তু শনিবার ভোটগণনার দিন বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গেই ঝাড়খণ্ডের চিত্র পরিষ্কার হয়ে যায়। ঝাড়খণ্ডের মানুষ আবারও এক বার আস্থা রাখেন হেমন্তের উপরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy