আবার ফিরতে চলেছেন দীপা কর্মকার। —ফাইল চিত্র
নিয়ম অমান্য দীপা কর্মকারকে অনুশীলন করতে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু জিমন্যাস্টিক্স সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে যে, দীপাকে অনুশীলন করার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে নিয়ম মেনেই। ডোপ করার অপরাধে দীপাকে নির্বাসিত করা হয়েছিল। সেই সময় পার না করেই অনুশীলনে নেমে পড়েছেন দীপা।
ভারতের জিমন্যাস্টিক্স সংস্থার প্রধান সুধীর মিত্তল নিয়ম উল্লেখ করে বলেন, “ওয়াডার ধারা ১০.১৪.১ অনুযায়ী দীপার অনুশীলনে নামায় কোনও বাধা নেই। নির্বাসন শেষ হওয়ার দু’মাসের কম সময় বাকি থাকলে এক জন অ্যাথলিট অনুশীলনে নামতে পারেন। এশিয়ান গেমস রয়েছে সেপ্টেম্বরে। সেখানে দীপাকে পাঠানোর ভাবনা রয়েছে। ১০ জুলাই নির্বাসন শেষ হবে ওর। দু’মাসের কম বাকি থাকায় ওয়াডার নিয়ম অনুযায়ী অনুশীলন শুরু করেছে দীপা। এশিয়ান গেমসের ক্যাম্প শুরু হবে জুলাইয়ের শেষে। তত দিনে দীপার নির্বাসন উঠেই যাবে।”
দীপাকে ২১ মাসের জন্য নির্বাসিত করা হয়েছিল। ২০২১ সালের ১১ অক্টোবর থেকে সেই নির্বাসন শুরু হয়েছিল। আইটিএ জানিয়েছিল, দীপার শরীরে হাইজিনামিন নামের একটি নিষিদ্ধ পদার্থ পাওয়া গিয়েছে। ২০২১ সালে ফেডারেশন ইন্টারন্যাশনাল ডি জিমন্যাস্টিক (এফআইজি) নামের একটি সংস্থা দীপার শরীরে এই নিষিদ্ধ পদার্থ পেয়েছিল। তার পরেই নির্বাসিত করা হয় দীপাকে। পরে আইটিএ দীপার নমুনা পরীক্ষা করেছে। সেখানেও দীপার নমুনায় হাইজিনামিন পেয়েছে তারা। এই পদার্থ ফুসফুসে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
এই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ইন্টারন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি জানিয়েছিল, যে হেতু ইতিমধ্যেই ১৬ মাস নির্বাসনের শাস্তি কাটিয়েছেন দীপা, তাই তাঁকে আর পাঁচ মাস শাস্তি কাটাতে হবে। ২০১৬ সালের রিয়ো অলিম্পিক্সে একটুর জন্য ব্রোঞ্জ পদক জিততে পারেননি দীপা। তার পরে দীর্ঘ দিন চোটে ভুগেছেন তিনি। চোট সারার পরে নির্বাসনের শাস্তি পেয়েছেন তিনি। সেই কারণে, শেষ ছ’টি বিশ্ব চ্যালেঞ্জ কাপ সিরিজ়ের মধ্যে তিনটিতে খেলতে পারবেন না তিনি। প্যারিস অলিম্পিক্সে যোগ্যতা অর্জনের জন্য এই প্রতিযোগিতাগুলি খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই বাকি তিনটি প্রতিযোগিতায় নিজের সেরাটা দিতে হবে দীপাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy