Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

ম্যাকালামদের জন্য আজ শুরুতে হয়তো স্পিনার

আইপিএল নাইনে গুজরাতের এখনও পর্যন্ত যা সিংহনাদ, তার অনেকটাই কিন্তু ওদের ওপেনারদের ঘিরে। ডোয়েন স্মিথ আর ব্রেন্ডন ম্যাকালামের ওপেনিং জুটির সঙ্গে নিশ্চিন্তে ফিঞ্চকেও জুড়ে দেওয়া যায়। রবিবার পঞ্জাব ম্যাচের আগে এদের সামনে কোনও বল ফেলে পার পাচ্ছিল না বোলাররা। পঞ্জাব অবশ্য ওদের রুখে দিতে পেরেছে। যার পর হয়তো গুজরাতের এই ভয়ঙ্কর ব্যাটসম্যানদের সামলাতে পাওয়ার প্লে-তে এ বার থেকে আরও স্লো বোলারদের আনতে দেখা যাবে।

রবি শাস্ত্রী
শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০১৬ ০৩:৫০
Share: Save:

আইপিএল নাইনে গুজরাতের এখনও পর্যন্ত যা সিংহনাদ, তার অনেকটাই কিন্তু ওদের ওপেনারদের ঘিরে। ডোয়েন স্মিথ আর ব্রেন্ডন ম্যাকালামের ওপেনিং জুটির সঙ্গে নিশ্চিন্তে ফিঞ্চকেও জুড়ে দেওয়া যায়। রবিবার পঞ্জাব ম্যাচের আগে এদের সামনে কোনও বল ফেলে পার পাচ্ছিল না বোলাররা। পঞ্জাব অবশ্য ওদের রুখে দিতে পেরেছে। যার পর হয়তো গুজরাতের এই ভয়ঙ্কর ব্যাটসম্যানদের সামলাতে পাওয়ার প্লে-তে এ বার থেকে আরও স্লো বোলারদের আনতে দেখা যাবে।

যে সুযোগটা দিল্লি ডেয়ারডেভিলসও নিয়েছিল। অমিত মিশ্র আর ইমরান তাহির দু’জনেই লেগ স্পিনার হলেও ওদের অস্ত্রশস্ত্র কিন্তু আলাদা। দু’জনেই যেন বল হাতে আলাদা আলাদা সেট প্রশ্নপত্র নিয়ে ব্যাটসম্যানের সামনে হাজির হয়। তবে কেউ প্রশ্নগুলোকে অসম্মান করলে সেটা ওরা ভাল ভাবে নেয় না। ওদের সামলাতে তাই গুজরাত ওপেনারদের শুধু তীব্র গোলাগুলি চালালেই হবে না।

গত সপ্তাহে রাজধানীর তীব্র গরমে যেটা ভাল করে বোঝা গিয়েছে। দিল্লির ক্যাপ্টেন জাহির খান আট ওভারের আগে পর্যন্ত মিশ্র বা তাহিরকে বোলিং দেয়নি। হয়তো, জাহির তলোয়ারের গতিতে চলা ব্যাট আর ছোট বাউন্ডারির সামনে তার দুই বোলারকে ফেলার সাহস দেখাতে পারেনি। হয়তো, ক্যাপ্টেন তখন বোলিংয়ে বেশির ভাগ দায়িত্বটা নিজের ঘাড়ে নিতে চেয়েছিল। হয়তো, ফোর স্টার সামরিক জেনারেলদের মতো জাহির সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে চেয়েছিল। হয়তো, জাহির শাহবাজ নাদিমের মধ্যে এমন কিছু দেখেছিল যেটা অন্য কেউ দেখেনি।

স্মিথ আর ম্যাকালাম সে দিন দিল্লির আমন্ত্রণ ফেরাতে পারেনি। জাহিরের প্রথম ওভারে স্মিথ চারটে বাউন্ডারি নিল। দ্বিতীয় ওভার ম্যাকালাম আবার সামলাল ছক্কা দিয়ে। নাদিমও ওর প্রথম দু’ওভারে সবচেয়ে বেশি রানটাই অফার করে বসল। ফলে চার ওভার হতে না হতেই স্কোরবোর্ডে ৫০ উঠে গেল। দিল্লির জন্য ম্যাচের রাশ তখন হাতের বাইরেই চলে গিয়েছিল যতক্ষণ না মিশ্র আর তাহির রানের গতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

পাশাপাশি গুজরাতের ব্যাটিংয়ে সুরেশ রায়নার গুরুত্বও কিন্তু কম নয়। যদিও গুজরাত ক্যাপ্টেনের সঙ্গে একটা অদ্ভুত ব্যাপার কিন্তু ঘটতে দেখা যাচ্ছে। রায়না ২০ রানের ঘরে পৌঁছলেই কিছু একটা হচ্ছে। এ মরসুমে এ রকম ছ’বার হয়েছে। ক্যাচ থেকে স্টাম্পড, এখন তো বোল্ডও। কিছুই বাকি নেই। প্রত্যেক বারই নতুন নতুন কায়দায় রায়নাকে আউট হতে দেখা যাচ্ছে। পাশাপাশি ডোয়েন ব্র্যাভো আর রবীন্দ্র জাডেজার জং ধরা ব্যাটও কিন্তু গুজরাতের কাজে আসছে না।

অন্য দিকে এই পারফরম্যান্সের উপর ভর করে দিল্লি নিশ্চয়ই মঙ্গলবার চাইবে গুজরাতকে পেড়ে ফেলতে। তার জন্য জাহিরদের কিন্তু প্রচুর খাটতে হবে। দিল্লির তরুণ ব্রিগেড তো এখন নারিন আর হগকেও ভাল সামলাতে পারছে। দিল্লির তরুণ আর সাহসীদের কাছে কোনও শটই কিন্তু খুব বেশি আনঅর্থোডক্স নয়। ওদের টপ সিক্সের প্রত্যেক ব্যাটসম্যান কিন্তু এ মরসুমে অন্তত একটা ম্যাচে বড় রান পেয়েছে। সঙ্গে ব্যাটিংয়ে প্রায় না থাকা লেজকে উজ্জ্বল রেখেছে ব্রেথওয়েট আর মরিস। তবে দিল্লির এ বারের সবচেয়ে দামি প্লেয়ার পবন নেগি কিন্তু মরসুমে প্রায় উইকেট আর রানবিহীন রয়েছে। সব মিলিয়ে বলতেই হবে দিল্লি এখন আইপিএলের ক্যাপিটাল ফোর্স।

অন্য বিষয়গুলি:

ipl 2016 Ravi Shashtri DD GL
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE