সাইনি সাহা। নিজস্ব চিত্র
আর্থিক প্রতিবন্ধকতা অনুশীলনে বাধা হতে পারেনি। সোনার পদক জিতে লক্ষ্যপূরণে অবিচল থাকার সেই স্বীকৃতিই যেন পেলেন কলেজ ছাত্রী সাইনি সাহা। তারপরেও কতদিন এইভাবে অনুশীলন চালানো সম্ভব, তা নিয়েও উদ্বেগে আছেন পাওয়ার লিফটিং প্রতিযোগিতায় সদ্য সোনাজয়ী সাইনি।
২২-২৪ ফেব্রুয়ারি শিলচরে ইস্টার্ন ইন্ডিয়া পাওয়ার লিফটিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ওই প্রতিযোগিতায় ৫২ কেজি বিভাগে সোনার পদক জেতেন শীতলখুচি কলেজের বিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সাইনি। অনটনের সংসারে থেকেও সাইনির ওই সাফল্যে খুশি তাঁর পরিচিতেরা। সাইনি অবশ্য বলেন, “অনুশীলনের পরিকাঠামো মাথাভাঙা মহকুমায় নেই। তাই আগে দিনহাটায় যেতাম। কিছুদিন ধরে পুণ্ডিবাড়িতে যাচ্ছি। সেই যাতায়াতের ভাড়া জোগাড় করাটাও আমার সমস্যা। অন্য সরঞ্জামও তো সেভাবে কিছু নেই।”
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সাইনির বাবা শান্তি সাহা, একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ে সামান্য বেতনে চাকরি করেন। সংসার চালাতেই তার হিমসিম অবস্থা। মেয়ের জন্য প্রশিক্ষকদের পরামর্শ মতো খাবারের ব্যবস্থা করাটাও মাঝেমধ্যে সম্ভব হয় না। তারপরেও নিজের জেদ আর ইচ্ছেশক্তিকে সম্বল করে নিয়মিত অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন সাইনি। মেয়ের আগ্রহে খুশি পরিবারের লোকেরা। খুশি তাঁর পদক জয়েও। তবে তাঁদের চিন্তা আর্থিক সমস্যা। শান্তিবাবু বলেন, “আমি ওকে সেভাবে সাহায্য করতে পারি না। তাই একটা স্পনসর পেলে নিশ্চিত হতে পারি।” এই পরিস্থিতিতে মেয়ের এশিয়ান গেমসে অংশ নেওয়ার স্বপ্নপূরণের লড়াই চালানোটাই যে বড়সড় চ্যালেঞ্জের তাও মানছেন পরিজনেরাও।
মাথাভাঙা মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক পরেশ বর্মণ বলেন, ‘‘সাইনির সাফল্যে আমরা খুশি। ওঁকে আমরা সংবর্ধনা দেব। সেই সঙ্গে অনুশীলন চালাতে এবং বড় বড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে সাইনিকে কীভাবে আর্থিক সাহায্য করা হবে, তা নিয়ে আমরা সংস্থার পক্ষ থেকে ওঁর সঙ্গে বৈঠক করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy