ফরাসি ওপেন ট্রফি হাতে নিয়ে জোকোভিচ। ছবি রয়টার্স
টেনিসপ্রেমীরা বলেন, ফরাসি ওপেনে যিনি রাফায়েল নাদালকে হারান, তিনি ফাইনালে জিততে পারেন না। ২০০৯-এ রবিন সোডারলিং হেরেছিলেন রজার ফেডেরারের কাছে। ২০১৫-এ নোভাক জোকোভিচ হেরেছিলেন স্ট্যান ওয়ারিঙ্কার কাছে। কিন্তু একই ভুল দ্বিতীয় বার করলেন না জোকোভিচ। দু’সেট পিছিয়ে পড়েও গ্রিসের স্টেফানোস চিচিপাসকে হারিয়ে দিলেন ফরাসি ওপেনের ফাইনালে। রবিবার ম্যাচের ফল জোকোভিচের পক্ষে ৬-৭ (৬-৮), ২-৬, ৬-৩, ৬-২, ৬-৪।
ফরাসি ওপেন জিতে ৫২ বছরের পুরনো একটি রেকর্ডও স্পর্শ করলেন জোকোভিচ। রয় এমার্সন এবং রড লেভারের পর তিনিই হলেন বিশ্বের দ্বিতীয় খেলোয়াড় যিনি প্রত্যেকটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম অন্তত দু’বার করে জিতেছেন। প্রথম গ্রিক টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে ফরাসি ওপেন জেতার স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেল চিচিপাসের।
জয়ের পর অনেকেই দাবি করতে শুরু করেছেন, জোকোভিচই সর্বকালের সেরা টেনিস খেলোয়াড়। সত্যিই তাই কি না, সেটা সময়ই বলবে। তবে রবিবার ফিলিপ শাঁতিয়ের কোর্টে যে অনবদ্য টেনিস সার্বিয়ার খেলোয়াড় উপহার দিলেন, তা নিঃসন্দেহে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে উদাহরণ হয়ে থাকবে। একই প্রতিযোগিতায় দু’বার অবিস্মরণীয় প্রত্যাবর্তন দেখা গেল জোকোভিচের থেকে। এই নিয়ে ১৯টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম হল জোকোভিচের। রজার ফেডেরার এবং রাফায়েল নাদালের থেকে মাত্র একটি গ্র্যান্ড স্ল্যাম পিছিয়ে তিনি।
চিচিপাস যে সহজে ছেড়ে দেবেন না, সেটা বোঝা যাচ্ছিল প্রথম সেট থেকেই। অভিজ্ঞতায় তাঁর থেকে অনেক এগিয়ে থাকা জোকোভিচের বিরুদ্ধে প্রাণপাত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। অথচ শুরুটা হয়েছিল খারাপ ভাবেই। জোকোভিচ প্রথম পয়েন্ট পেলেন চিচিপাসের ডাবল ফল্টের সৌজন্যে। প্রথম সেটে যে যাঁর মতো নিজের সার্ভ ধরে রাখছিলেন। দ্বিতীয় সেটে দু’বার জোকোভিচের সার্ভিস ভাঙলেন চিচিপাস। কার্যত দাঁড়াতেই দিলেন না সার্বিয়ার খেলোয়াড়কে।
ম্যাচ হাত থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে বুঝতে পেরেই নিজের তুরপূণ থেকে সেরা অস্ত্রগুলি বের করতে থাকলেন জোকোভিচ। প্রথম দুই সেট জিতে আত্মবিশ্বাসে ফুটতে থাকা চিচিপাসকে লম্বা র্যালি খেলিয়ে ধীরে ধীরে ক্লান্ত করে দিতে থাকলেন। ফোরহ্যান্ড, একহাতে ব্যাকহ্যান্ড, ড্রপ শট— সব ধরনের শটই বেরিয়েছে চিচিপাসের র্যাকেট থেকে। কিন্তু জোকোভিচের কাছে সবেরই উত্তর ছিল। এমন কিছু রিটার্ন দিলেন তিনি, যা দেখে ধারাভাষ্যকাররা পর্যন্ত বলে উঠলেন, “মনে হচ্ছে অন্য গ্রহের টেনিস দেখছি।”
তৃতীয় এবং চতুর্থ সেটে কার্যত আত্মসমর্পণ করার পর পঞ্চম তথা নির্ণায়ক সেটে কিছুটা প্রতিরোধ দেখা গেল চিচিপাসের থেকে। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। রক্তের স্বাদ পেয়ে গিয়েছিলেন জোকোভিচ। ট্রফি হারাতে চাননি, হারানওনি।
খেলতে নেমেছিলেন সাদা জার্সি পরে। কিন্তু তৃতীয় সেট থেকে জার্সির রং বদলে গেল লালে, যে রংয়ের জার্সিতে নাদালকে হারিয়েছিলেন তিনি। পয়া জার্সিই কি তবে ট্রফি এনে দিল জোকোভিচকে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy