গুজরাতে ‘নরবলি’র অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সোমবার সকালে গ্রামের একটি পাঁচ বছরের মেয়েকে বাড়ি থেকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে এক গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে। ওই দিন বিকেলে গ্রামেরই একটি মন্দিরের পাশ থেকে গলা কাটা অবস্থায় শিশুটির দেহ উদ্ধার হয়। শুধু তা-ই নয়, মন্দিরের সিঁড়িতে রক্তের দাগও দেখতে পান গ্রামবাসীরা। আর তা থেকেই সন্দেহ ‘নরবলি’ দেওয়া হয়েছে।
ঘটনাটি গুজরাতের ছোটা উদেপুর জেলার পানেজ গ্রামের। শিশুটিকে খুনের অভিযোগে ওই গ্রামেরই বাসিন্দা লালা ভাই তাড়ভিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, শিশুটিকে বাড়ির সামনে থেকে অপহরণ করেন লালা। তার পর নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে শিশুটির গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে খুন করেন বলে অভিযোগ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌরব আগরওয়াল জানিয়েছেন, শিশুটিকে কুড়ুল দিয়ে গলায় আঘাত করেন অভিযুক্ত। তার গলা থেকে ফিনকি দিয়ে রক্ত বেরিয়ে এলে সেই রক্ত সংগ্রহ করেন তিনি। তার পর তাঁরই বাড়ির কাছে একটি মন্দিরে সেই রক্ত উৎসর্গ করেন। মন্দিরের সিঁড়িতে রক্ত দেখে গ্রামবাসীরা শিউরে ওঠেন। তার পরই মন্দির থেকে কিছুটা দূরে শিশুটির দেহ উদ্ধার হয়। মন্দিরের কাছেই রক্তমাখা অস্ত্র নিয়ে দেখা যায় অভিযুক্তকে। গ্রামবাসীরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ মনে করছে, এটি ‘নরবলি’র ঘটনা। তবে শিশুটিকে খুনের নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।