শুরুর ২০ মিনিট বাদ দিলে ম্যাচের বাকি সময়টা দাপট দেখাল স্পেন। তাদের সামনে দাঁড়াতেই পারল না ক্রোয়েশিয়া। জার্মানির মাঠে লুকা মদ্রিচদের ৩-০ গোলে হারিয়ে ইউরো অভিযান শুরু করল স্পেন।

খেলা শুরুর আগেই কিছুটা হলেও এগিয়ে ছিল স্পেন। কারণ, তাদের বেশির ভাগ ফুটবলারই তরুণ। অন্য দিকে ক্রোয়েশিয়ার এই দলের গড় বয়স ৩০ বছরের বেশি। সেই মদ্রিচ, ব্রোজ়োভিচ, ক্রামারিচদের রেখেই দল সাজিয়েছিলেন ক্রোয়েশিয়ার কোচ জ্‌লাটকো ডালিচ। স্পেনের দলে সেখানে ছিলেন পেদ্রি, রদ্রি, লেমিন ইয়ামালের মতো তরুণ ফুটবলারেরা। ফলে খেলার শুরুটা ক্রোয়েশিয়া ভাল করলেও যত সময় গড়াল তত দাপট দেখাল স্পেন।

প্রথম ২০ মিনিট ক্রোয়েশিয়ার পায়ে বল বেশি ছিল। ছোট ছোট পাসে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করছিলেন মদ্রিচেরা। কিন্তু স্পেনের রক্ষণ জমাট ছিল। ড্যানি কার্ভাহাল, নাচো, কুকুরেলারা ভাল খেলছিলেন। ২৮ মিনিটের মাথায় খেলার গতির বিপরীতে স্পেনকে এগিয়ে দেন অধিনায়ক আলভারো মোরাতা। মাঝমাঠে বল পেয়ে রদ্রি ডিফেন্স চেরা পাস বাড়ান। সেই পাস ধরে বক্সে ঢুকে ঠান্ডা মাথায় বাঁ পায়ের শটে গোল করেন মোরাতা।

চার মিনিট পরে ব্যবধান বাড়ায় স্পেন। এ বার গোল করেন ফাবিয়ান রুইজ়। বক্সের বাইরে বল পেয়ে একক দক্ষতায় দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের শটে গোল করেন তিনি। চার মিনিটের মধ্যে জোড়া গোল খেয়ে ছন্নছাড়া হয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। প্রথমার্ধের বাকি সময়ে একের পর এক স্প্যানিশ আক্রমণ। তার ফলও মেলে। প্রথমার্ধের সংযুক্তি সময়ে ইয়ামালের ক্রস পায়ে লাগিয়ে দলের তৃতীয় গোল করেন কার্ভাহাল। সেখানেই খেলার ভাগ্য পরিষ্কার হয়ে যায়।

দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম ১০ মিনিট গোল শোধ করার জন্য একের পর এক আক্রমণ তুলে আনে ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু বক্সের কাছে এসে তাদের সব আক্রমণ খেই হারিয়ে ফেলছিল। কিছুতেই ফাইনাল পাস দিতে পারছিলেন না মদ্রিচেরা। বাধ্য হয়ে পেরিসিচকে নামিয়ে দেন কোচ। তুলে নেন মদ্রিচকে। পেটকোভিচকে নামিয়ে আক্রমণে আরও ঝাঁঝ বাড়ানোর চেষ্টা করেন ডালিচ। কিন্তু গোলের মুখ কিছুতেই খুলছিল না।

৭৮ মিনিটের মাথায় বক্সে পেটকোভিচকে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় ক্রোয়েশিয়া। স্পট থেকে পেটকোভিচের শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে বাঁচিয়ে দেন স্পেনের গোলরক্ষক উনাই সিমোন। ফিরতি বল থেকে গোল করেন পেটকোভিচ। কিন্তু ভার-এ দেখা যায় ক্রোয়েশিয়ার এক ফুটবলার অফসাইড ছিলেন। তাই গোল বাতিল হয়। বাকি সময়ে অনেক চেষ্টা করেও গোলের মুখ খুলতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া। শেষ পর্যন্ত ০-৩ গোলে হেরে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।