ক্লাব ফুটবলে সময়টা ভাল যাচ্ছে না লিয়োনেল মেসির। পিএসজির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। —ফাইল চিত্র
লিয়োনেল মেসির প্যারিস সঁ জরমঁ ছাড়ার সম্ভাবনা ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। এক দিকে ক্লাবের সমর্থকেরা তাঁকে বিদ্রুপ করছেন, হারের দায় তাঁর উপর চাপাচ্ছেন। অন্য দিকে আবার মেসিও মেজাজ হারিয়ে একা মাঠ ছাড়ছেন। এই টুকরো টুকরো ঘটনা গোটা পরিস্থিতি বুঝিয়ে দিচ্ছে।
বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে গিয়েছে প্যারিস সঁ জরমঁ। সেই হারের দায় কি একা লিয়োনেল মেসির? তেমনটাই মনে করেন পিএসজির উগ্র সমর্থকরা। তাই তো লিগ ওয়ানে রেনের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে সমর্থকদের বিদ্রুপ শুনতে হল মেসিকে। কিন্তু বায়ার্নের বিরুদ্ধে তো কিলিয়ান এমবাপেও খেলেছিলেন। তাঁকে কেন কিছু বললেন না সমর্থকরা?
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে যাওয়ার পরেই পিএসজির এক দল সমর্থক অভিযোগ করেছিলেন মেসির দায়বদ্ধতা নিয়ে। তাঁদের অভিযোগ ছিল, মেসিকে যতটা পারিশ্রমিক দেওয়া হয় ততটা দায়বদ্ধতা তিনি দেখান না। বায়ার্নের বিরুদ্ধে দুই পর্বেই গোল করতে পারেননি লিয়ো। সেই উদাহরণ টেনে আনেন সমর্থকরা। তাঁরা এও দাবি করেছিলেন যে রেনের বিরুদ্ধে ম্যাচে মেসিকে বিদ্রুপ করবেন। সেটাই করে দেখান তাঁরা।
রেনের বিরুদ্ধে পিএসজির প্রথম একাদশে মেসির নাম উচ্চারণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিস্ দেওয়া শুরু করে সমর্থকদের একাংশ। খেলা যত ক্ষণ চলল, তত ক্ষণ এ ভাবেই মেসিকে বিদ্রুপ করে গেলেন তাঁরা। পিএসজি হেরে যাওয়ার পরে মেসির নামে বিদ্রুপ আরও বাড়ল। অথচ এমবাপেকে হাততালি দিয়ে গেলেন। তাঁরা বুঝিয়ে দিলেন দল হারলেও এমবাপের প্রতি তাঁদের ভালবাসা একই রকম আছে।
সমর্থকদের বিদ্রুপ ভাল ভাবে নেননি মেসিও। খেলা শেষে দলের বাকি ফুটবলাররা যখন সমর্থকদের হাততালি দিয়ে অভিবাদন জানাচ্ছেন, তখন মেসিকে একা একা মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। খেলার আগে দলের অনুশীলন থেকেও নাকি আগে বেরিয়ে যান মেসি। কোট ক্রিস্টোফ গতিয়ে অবশ্য জানিয়েছেন, শারীরিক কিছু সমস্যার জন্য আগে অনুশীলন থেকে চলে যান মেসি। কিন্তু তার পরেও জল্পনা কমছে না।
মেসির সঙ্গে পিএসজির সম্পর্কও ক্রমশ জটিল হচ্ছে। চলতি বছর জুন মাসে তাঁর চুক্তি শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু ক্লাবের নতুন চুক্তিতে এখনও সই করেননি তিনি। সৌদি আরব, আমেরিকার ক্লাব থেকে মেসিকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তাদের সঙ্গে মেসির বাবা জর্জে কথাও বলছেন। এই পরিস্থিতিতে আগামী মরসুমে মেসি আর পিএসজিতে থাকবেন কি না তা নিয়ে জল্পনা বেড়েই চলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy