স্টিভন কনস্ট্যানটাইন ব্যর্থ। সামনের মরসুমে যে তিনি ইস্টবেঙ্গল কোচ থাকছেন না, তা প্রায় নিশ্চিত। তা হলে এ বার কে বসবেন দলের হটসিটে? দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন জোসেপ গোম্বাউ। লিয়োনেল মেসির প্রাক্তন ক্লাব বার্সেলোনার যুব দলের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। আইএসএলেও কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে জোসেপের। ওড়িশা এফসির কোচ ছিলেন তিনি। এ বারের প্রতিযোগিতা শেষে দায়িত্ব ছেড়েছেন তিনি।
প্রথম দু’বার নজর কাড়তে না পেরে এই মরসুমের আগে ভারতের প্রাক্তন কোচ কনস্ট্যানটাইনকে কোচ হিসাবে এনেছিল ইস্টবেঙ্গল। তাতে অবশ্য পরিস্থিতি বদলায়নি। এ বারও নবম স্থানে শেষ করেছে দল। এই পরিস্থিতিতে কোচের উপর যে খাঁড়া নেমে আসবে, তা ময়দানের বহু পরিচিত ছবি। তবে সুপার কাপেও হয়তো কনস্ট্যানটাইনই দলের দায়িত্বে থাকবেন। তার পরে বিদায় নিতে হতে পারে তাঁকে।
লাল-হলুদ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই নাকি জোসেপের সঙ্গে বেশ কয়েক বার কথা বলেছেন কর্তারা। কথাবার্তা অনেক দূর এগিয়েছে। ভারতে কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা থাকায় জোসেপকেই দায়িত্ব দিতে চাইছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী মরসুমে তিনিই বসতে পারেন লাল-হলুদ ডাগআউটে।
আরও পড়ুন:
স্পেনের আমপোস্টায় জন্ম জোসেপের। সেই শহরের ক্লাবেই খেলেছেন তিনি। খেলোয়াড় জীবনে গোলরক্ষক জোসেপের কোচিং কেরিয়ার দীর্ঘ। ২০০৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বার্সার যুব দলের দায়িত্ব সামলেছেন জোসেপ। সেই সময় মেসি ছিলেন বার্সার যুব দলে। ২০১৮ সালে ওড়িশা এফসির কোচ হয়ে ভারতে আসেন তিনি। ২০২০ সাল পর্যন্ত সেই দলের কোচ ছিলেন জোসেপ। আবার ২০২২-২৩ মরসুমে ওড়িশার দায়িত্ব নেন তিনি।
জোসেপের কোচিংয়ে প্রথম দু’বার যথাক্রমে অষ্টম ও ষষ্ঠ স্থানে শেষ করে ওড়িশা। এ বারও তারা ষষ্ঠ স্থানে শেষ করে প্লে-অফের যোগ্যতা অর্জন করে। আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলাতে পছন্দ করেন জোসেপ। তাই পরের মরসুমে তাঁকেই দায়িত্ব দিতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল।