আর্জেন্টিনার ফুটবল মাঠে হাঙ্গামা। ছবি পিটিআই
ইন্দোনেশিয়ার ঘটনা এ বার আর্জেন্টিনায়! ফুটবল ম্যাচে প্রবল হাঙ্গামার জেরে প্রাণ হারালেন এক সমর্থক। আহত বহু। রাজধানী বুয়েনোস আইরেসের ঘটনা। বিক্ষোভ থামাতে আসরে নামতে হল পুলিশকে। ছুড়তে হল কাঁদানে গ্যাসের শেল। হাঙ্গামার জেরে ৯ মিনিট পরেই বন্ধ করে দিতে হয় ম্যাচ।
আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনোস আইরেসের থেকে ৫০ কিমি দূরে লা প্লাতার কার্মেলো জেরিলো স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল জিমনাসিয়া এবং বোকা জুনিয়র্স। দু’দলের কাছেই ট্রফি পাওয়ার জন্য এই ম্যাচ জেতা গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
বৃহস্পতিবারের ঘটনার সঙ্গে পরতে পরতে মিল রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার ঘটনার। এখানেও মাঠে বিপক্ষ ক্লাবের সমর্থকদের প্রবেশাধিকার ছিল না। এখানেও মাঠে ঢুকতে চেয়েছেন আসনসংখ্যার থেকেও বেশি দর্শক। পুলিশ তাঁদের বাধা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। বাধ্য হয়ে পুলিশকে রবার বুলেট এবং কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে হয়েছে। স্টেডিয়ামের ভিতরেও তখন ভয়ঙ্কর অবস্থা। উন্মত্ত সমর্থকদের থামাতে মাঠের ভিতরেও কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে থাকে পুলিশ। তখন ম্যাচ শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু মাঠ গ্যাসে ভরে যাওয়ায় ফুটবলাররা শ্বাস নিতে পারছিলেন না। রেফারি বাধ্য হন ম্যাচ বন্ধ করে দিতে। তত ক্ষণে কাঁদানে গ্যাস থেকে বাঁচতে পিচের মধ্যে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন সমর্থকরা।
The match between Gimnasia and Boca Juniors was suspended due to police repression outside the stadium.
— Argentine Football League (@ArgiesFootball) October 7, 2022
Tear gas entered the stadium and the players cannot breathe well.pic.twitter.com/Ow0l9rcyfP
বুয়েনোস আইরেসের নিরাপত্তামন্ত্রী সের্জিয়ো বার্নি বলেছেন, “এক সমর্থক মারা গিয়েছেন হৃদ্রোগে। মাঠের প্রত্যেকে কোনও না কোনও ভাবে প্রভাবিত হয়েছে। এক সময় নিশ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া যাচ্ছিল না। পরিস্থিতি এক সময় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং নিরাপত্তার কোনও নিশ্চয়তা ছিল না বলে ম্যাচ বন্ধ করে দেওয়া হয়।”
সমাজমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, কাঁদানে গ্যাসের হাত থেকে বাঁচতে অনেক সমর্থক মাঠে গিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন। তার মধ্যে ছিল খুদে সমর্থকরাও। ফুটবলাররা সাজঘরে ফিরে যাওয়ার আগেই মাঠের মধ্যে দর্শকরা ঢুকে পড়েন। জিমনাসিয়ার ফুটবলার লিয়োনার্দো মোরালেস বলেছেন, “আমার দু’বছরের ছেলে শ্বাস নিতে পারছিল না। যারা দর্শকাসনে ছিল তাদের জন্যে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। একটা ফুটবল ম্যাচ খেলতে এসে দেখছি আত্মীয়রা মৃত্যুর মুখে, এটা দেখতে কার ভাল লাগে?”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy