মোহনবাগান দল। ছবি: এক্স।
ডুরান্ড কাপ থেকে বিদায় নিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। ফলে কলকাতা ডার্বি হওয়ার সম্ভাবনা আর নেই। ডুরান্ড জিতে ট্রফি কলকাতায় রেখে দেওয়ার দায়িত্ব তাই এখন শুধু মোহনবাগানের কাঁধেই। শুক্রবার তারা খেলতে নামছে পঞ্জাব এফসি-র বিরুদ্ধে। জামশেদপুরের মাঠে হবে খেলা। জিততে পারলে সেমিফাইনাল কলকাতায় খেলার সুযোগ পাবে তারা। ট্রফি জয় ছাড়াও মোহনবাগানের সামনে আরও এক লক্ষ্য রয়েছে। সেটি হল আগামী মরসুমের প্রস্তুতি।
ম্যাচের আগের দিন মোহনবাগানের কোচ হোসে মোলিনার গলায় প্রতিপক্ষকে নিয়ে সমীহ। তিনি বলেছেন, “নকআউটের মতো ম্যাচে সামনে যে-ই থাকুক, জিততেই হবে। পঞ্জাবের দলটা ভাল। ডুরান্ডে কাপে কেরল, মুম্বইয়ের মতো প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে যে ম্যাচগুলো খেলেছে, সেখানে ভালই লেগেছে। ওদের হারানো সহজ নয়। তবে নিজেদের নিয়েও বিশ্বাস রয়েছে। আশা করি ম্যাচটা জিতব এবং দর্শকদের আনন্দও দিতে পারব।”
পঞ্জাবের বিদেশি লুকা মাজসেনকে নিয়ে কি কিছু ভাবছেন মোহনবাগান কোচ? মোলিনার জবাব, “নিজেদের মতো ফুটবল খেলতে চাই। আমাদের খেলোয়াড়েরা মাঠে দাপট দেখাতে পারে, বল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। ওদের শুধু একজন ফুটবলারকে নিয়ে ভাবছি না। আমরা ১১ জনের বিরুদ্ধে খেলতে নামব। অতিরিক্ত চাপ নিতে চাই না।”
আইএসএল শুরু হতে পরের মাস। রয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের খেলাও। ডুরান্ড কাপ কি তাঁদের কাছে প্রস্তুতির মতোই? মোলিনা স্বীকার করে বলেছেন, “মরসুম শুরু হতে এখনও কিছুটা দেরি। তাই এখন প্রতিটা ম্যাচই আমাদের কাছে প্রস্তুতির মতো। তবে ট্রফি জেতাটাও অন্যতম লক্ষ্য। নিজেদের সেরাটা দিয়ে জিততে চাই। তিন সপ্তাহ খাটছি। এখনও কিছু কাজ বাকি। আশা করি আইএসএল শুরু হওয়ার আগে দল তৈরি হয়ে যাবে।”
চার ফুটবলারকে ছাড়াই জামশেদপুরে গিয়েছে মোহনবাগান। তাঁদের নিয়ে মোলিনা বলেছেন, “জেমি ম্যাকলারেন খেলবে না। গ্লেন মার্টিন্স ব্যথার কারণে শেষ চার দিন অনুশীলন করেনি। আশিক কুরুনিয়ান আরও সাত দিন খেলতে পারবে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy