প্রথম পর্বে হেরে গিয়েছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। ফাইনালে উঠতে হলে সোমবার জিততেই হবে। দু’গোলের ব্যবধানে জিতলে সোজাসুজি ফাইনালে ওঠার সুযোগ। না হলে অন্তত এক গোলে জিততেই হবে। তা হলে টাইব্রেকারে যাবে দল। পিছিয়ে থাকলেও আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে জেমি ম্যাকলারেনের।
জামশেদপুরের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে সাংবাদিকদের সামনে আত্মবিশ্বাসী দেখাল ম্যাকলারেনকে। তিনি বলেন, “আমরা এমন একটি ম্যাচ খেলতে যাচ্ছি যেখানে জয়ের জন্য একাধিক গোল প্রয়োজন। এটা বাড়তি উত্তেজনা, বাড়তি চাপ— আর এই ধরনের ম্যাচগুলোর জন্যই আমরা অপেক্ষা করি। এটা তো সেমিফাইনাল। আমরা এক গোলে পিছিয়ে আছি, কিন্তু আমি একে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছি এবং আমি নিশ্চিত, দলের প্রত্যেক খেলোয়াড়ও একে ইতিবাচক চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিচ্ছে।”
আরও পড়ুন:
জামশেদপুরে খেলতে গিয়ে একটা সময় মনে হচ্ছিল ড্র করেই ফিরবে মোহনবাগান। কিন্তু শেষ মুহূর্ত গোল খেয়ে যায় তারা। ম্যাকলারেন বলেন, “আমাদের আরও ধৈর্য ধরতে হবে। মনে হয় অ্যটাকিং থার্ডে আমরা যথেষ্ট ইতিবাচক খেলতে পারিনি। খুব বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারিনি। ঘরের মাঠে সাধারণত আমরা অনেক বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারি। কারণ মাঠটা বড়। জামশেদপুরে মাঠটা একটু ছোট। সেটাও একটা কারণ। সেই সঙ্গে ৯০তম মিনিটে আমরা হয়তো আর একটু বেশিই বুদ্ধি করে খেলতে পারতাম। তা হলে ১-১ ফলটা ধরে রাখতে পারতাম। কিন্তু আমরা ড্রয়ের জন্য খেলি না। আমরা সব সময় জয়ের জন্যই খেলি। গত ম্যাচেও সে জন্যই খেলেছিলাম, এই ম্যাচেও জেতার জন্যই খেলব।”
যুবভারতীতে খেলতে নামার আগে একটি বিভাগে উন্নতি করতে চাইছেন ম্যাকলারেন। তিনি বলেন, “গত ম্যাচে আক্রমণ তৈরির ক্ষেত্রে কিছু ভুলত্রুটি ছিল, সেগুলো আমরা শুধরে নিয়েছি। উন্নতির সুযোগ সবসময় থাকে। আর সেটাই করতে চাই। ঘরের মাঠে আমরা কতটা ভাল খেলতে পারি তা প্রমাণিত। আমাদের দলে যথেষ্ট ভারসাম্য রয়েছে।”