ভাইচুং ভুটিয়া ও কল্যাণ চৌবে। ফাইল চিত্র
আর পাঁচ দিন পরেই সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (এআইএফএফ) নির্বাচন। সভাপতি পদের লড়াইয়ে দুই প্রাক্তন ফুটবলার। কল্যাণ চৌবে ও ভাইচুং ভুটিয়া। যেই জিতুন, এই প্রথম বার কোনও প্রাক্তন ফুটবলার বসবেন ভারতীয় ফুটবলের মসনদে। সভাপতি হলে তিনি কী করবেন? নির্বাচনের আগে জানালেন কল্যাণ। বললেন, ফুটবলারদের স্বার্থে কাজ করবেন তিনি।
একটি সাক্ষাৎকারে এআইএফএফ নির্বাচনের প্রসঙ্গে মুখ খোলেন কল্যাণ। এক জন প্রাক্তন ফুটবলার হিসাবে ফুটবলারদের স্বার্থ রক্ষা তাঁর সব থেকে বড় কাজ বলে জানিয়েছেন তিনি। কল্যাণ বলেন, ‘‘ফুটবলের ভাল-খারাপ দুটো দিকই দেখেছি। ফুটবলার হিসাবে ট্রেনে শৌচাগারের পাশে বসে যেতে হয়েছে। আবার বিলাসবহুল হোটেলেও থেকেছি। এক জন ফুটবলারকে কী কী সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় সেটা আমি জানি। তাই ওদের জন্য কাজ করতে হলে কোনও বই পড়তে হবে না। আমার ২৫ বছরের ফুটবল জীবনের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাব। ফুটবলারদের জন্য কাজ করব।’’
এআইএফএফ নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরে গত ২৬ অগস্ট ভারতীয় ফুটবলের উপর থেকে নির্বাসন তুলে নিয়েছে ফিফা। ফলে মহিলাদের অনুর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ হওয়ার ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই। ফিফার এই সিদ্ধান্তে স্বস্তি পেয়েছেন কল্যাণ। তিনি বলেন, ‘‘ফিফা নির্বাসন তুলে নেওয়ায় শুধু আমি নই প্রত্যেক ভারতীয় স্বস্তি পেয়েছেন। আমরা এ বার সামনের দিকে তাকাতে পারব। অনেক পরিকল্পনা আছে। সেগুলো কাজে লাগাতে হবে।’’
সভাপতি হলে প্রতিটি রাজ্যের ফুটবল সংস্থার দিকে তিনি নজর দেবেন বলে জানিয়েছেন কল্যাণ। তিনি বলেন, ‘‘প্রতিটি রাজ্যে ১০,০০০ বর্গফুটের অফিস তৈরি করব। পেশাদারদের দিয়ে ফুটবলকে চালাতে হবে। সবার আগে মূল বিষয়গুলো ঠিক করতে হবে।’’ পুরুষ ও মহিলাদের ফুটবলকে তিনি সমান গুরুত্ব দেবেন বলে জানিয়েছেন কল্যাণ।
গুজরাত ফুটবল সংস্থার প্রতিনিধি হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন কল্যাণ। অন্য দিকে অন্ধ্রপ্রদেশ ফুটবল সংস্থার তরফে লড়বেন ভাইচুং। কল্যাণের পক্ষে রয়েছে বেশ কয়েকটি রাজ্য ফুটবল সংস্থা। বিজেপির হয়ে রাজনীতির ময়দানেও লড়েছেন কল্যাণ। তাই বিজেপিরও সমর্থন রয়েছে তাঁর সঙ্গে। লড়াইয়ে এগিয়ে থাকলেও অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হতে চাইছেন না তিনি। তবে এখন থেকেই নিজের লক্ষ্য ঠিক করে নিয়েছেন কল্যাণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy