ওড়িশার বিরুদ্ধে নামার আগে ফেরান্দো ফাইল ছবি
আইএসএল-এর লিগ পর্বের শেষ দিকে চলে এসেছে এটিকে মোহনবাগান। এই মুহূর্তে তৃতীয় স্থানে তারা। বাকি আর চারটি ম্যাচ, যার একটি বৃহস্পতিবার ওড়িশা এফসি-র বিপক্ষে। এই ম্যাচে জিতলে শেষ চার অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যাবে সবুজ-মেরুনের। তবে কোচ জুয়ান ফেরান্দো চাইছেন সবার উপরে থেকেই শেষ করতে। ফলে বাকি ম্যাচগুলিতে জয় ছাড়া আর কিছু ভাবছেন না।
তবে ফেরান্দোকে কিছুটা হলেও সমস্যায় ফেলবে দলের ফুটবলারদের চোট-আঘাত। বেশিরভাগ বিদেশিরই চোট রয়েছে। তালিকায় রয়েছেন রয় কৃষ্ণও। বিদেশিদের চোট-আঘাতের প্রসঙ্গে বুধবার ফেরান্দো বললেন, “ওরা সবাই একশো শতাংশ প্রস্তুত নয়। চোট থেকে সেরে ওঠার একটা প্রক্রিয়া থাকে। ধাপে ধাপে প্রত্যেকে সুস্থ হয়ে উঠছে। তবে কয়েকজন এখনও একশো শতাংশ ফিট নয়।”
কৃষ্ণ কি বৃহস্পতিবার পুরো ম্যাচ খেলতে পারবেন? ফেরান্দো বললেন, “দেখা যাক। ওর চোটটা খুব গুরুতর ছিল। ওকে এখন প্রথমে ২০ মিনিট, তার পরে ধাপে ধাপে ৪৫-৬০ মিনিট খেলানোর পরে ৯০ মিনিট খেলার জায়গায় আনতে হবে। এটাই খেলোয়াড়দের সুস্থ করে তোলার প্রক্রিয়া। মাঝে মাঝে এমন পরিস্থিতি আসে, যখন পরিকল্পনায় অনেক পরিবর্তন করতে হয়। তবে আমার কাছে রয় যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই উইলিয়ামস, কার্লও। আশা করি ক্রমশ ওদের পারফরম্যান্স ভাল হবে।”
লিস্টন কোলাসোকে গত ম্যাচে সেরা ছন্দে দেখা যায়নি। সেটা কি তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কারণে? ফেরান্দো বললেন, “শারীরিক সমস্যা নয়। তিন সপ্তাহে ৬-৭টা ম্যাচ খেলতে হলে ক্লান্তি আসেই। সব ক্লাবের একই সমস্যা। লিস্টন একশো শতাংশ দেওয়ার মতো তৈরি নয়। মাইকেল সুসাইরাজকে খেলানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু ওকেও বিভিন্ন চোট সারানোর প্রক্রিয়া পেরিয়ে আসতে হয়েছে। এই পজিশনে লিস্টন ও সুসাইকেই খেলানো যেতে পারে। সুসাইয়ের শারীরিক অবস্থার ক্রমশ উন্নতি হচ্ছে। লিস্টন ক্লান্ত হলে ওকে সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। অনুশীলনে যদি দেখি সুসাই ভাল খেলছে, তা হলে ওকে নামাতে পারি। কেউ টানা খেলে গেলে মাঝে মাঝে তাকে বিশ্রাম দেওয়া প্রয়োজন।”
গোল না পাওয়ার কারণে আগের ম্যাচেই হতাশায় মাথা গরম করেছিলেন হুগো বুমোস। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন ফেরান্দো। বললেন, “শুধু হুগো নয়, এই নিয়ে সবার সঙ্গে প্রায় সব সময়ই কথা হয়। এটা পেশাদার ফুটবলের অঙ্গ। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা খুবই প্রয়োজন। সব সময়ই যে সব ঘটনা দলের বা খেলোয়াড়দের পক্ষে ইতিবাচক হবে, তার কোনও মানে নেই। রেফারি বা কোচেদের সিদ্ধান্ত পছন্দ না হলেও আবেগ ঝেড়ে ফেলে সেগুলো মেনে নিতে জানতে হয়। কারণ, আমরা পেশাদার। আর পেশাদাররা সেটাই করে, যাতে ক্লাব ও তার নিজের পক্ষে ভাল হয়।”
ওডিশার বিরুদ্ধে জিতলে কি সেরা চারে আপনাদের জায়গা পাকা হবে? ফেরান্দো মানতে নারাজ। সাফ বললেন, “এ সব নিয়ে ভাবছিই না। আমি শুধু তিন পয়েন্ট পাওয়ার কথা ভাবছি। তার পরে খেলোয়াড়দের ফের চাঙ্গা করে তুলে বেঙ্গালুরুর মুখোমুখি হওয়ার কথা ভাবছি। কারণ, বৃহস্পতিবারের পরে ম্যাচ রবিবার। শেষ চারে থাকা নিয়ে চিন্তা করছি না। চিন্তা করছি এক নম্বর জায়গাটা নিয়ে। আমাদের মানসিকতা এ রকমই। দুটো ম্যাচ খুব কাছাকাছি আছে আমাদের। আগামী কয়েকটা দিনে খুব গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটা ম্যাচ রয়েছে। এর মধ্যে আমাদেরও দুটো ম্যাচ আছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy