—ফাইল চিত্র
শেষ হয়েও লড়াই শেষ হচ্ছে না। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব এবং শ্রী সিমেন্টের সম্পর্ক তলানিতে। বিচ্ছেদ হয়ত সময়ের অপেক্ষা। এই পরিস্থিতিতেও দু’পক্ষের কথা কাটাকাটি চরমে।
শ্রী সিমেন্ট ‘চক্রান্ত’-এর গন্ধ পেয়েছিল। আইএসএল-এ ইচ্ছা করে খারাপ খেলার জন্য ফুটবলারদের কাছে ফোন যায় বলেও সন্দেহ রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের বিনিয়োগকারী সংস্থার। ক্লাব পক্ষ বলছে, “এই ধরনের কথা যারা বলে তারা হয় শয়তান, নয় উন্মাদ।”
বেশ কিছু দিন ধরেই ইস্টবেঙ্গল ক্লাব এবং শ্রী সিমেন্টের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না বলে জানা যাচ্ছিল। চলতি মরসুম শেষ হলেই ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে সম্পর্ক সম্ভবত ছিন্ন করবে শ্রী সিমেন্ট। দু’বছর লাল-হলুদের বিনিয়োগকারী হিসেবে যুক্ত থাকার পর আর থাকতে চাইছে না এই সংস্থা। ক্লাবের বক্তব্য, “ওদের আর কোনও রাস্তা নেই। ওরা চাইছিল ১০০ বছরের ক্লাবটাকে কুক্ষিগত করতে। নিজেদের হাতে নিয়ে নিতে চাইছিল ওরা।’’
ইস্টবেঙ্গল ক্লাব মনে করছে, শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ভাল ছিল। কিন্তু এক মধ্যস্ততাকারীর জন্যই সব নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এক কর্তা বললেন, “দুই পক্ষের সম্পর্ক ভাল না হওয়ার কারণ মাঝে থাকা এক ব্যক্তি।”
প্রাক্তন ফুটবলাররা জানিয়েছেন শ্রী সিমেন্ট তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায়নি। বিনিয়োগকারী সংস্থার উপরেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা। ক্লাব বলছে, “প্রাক্তন ফুটবলাররা আলোচনায় বসতে চাইলে কেন প্রত্যাখান করা হল? ক্লাব বলেছিল দল তৈরির ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। সেটাও কেন প্রত্যাখান করা হল? এক জন ব্যক্তির জন্যই এটা হয়েছে। সেই ব্যক্তি আকারে ভদ্রলোক, কিন্তু তাঁর কাজ ভদ্রলোকের মতো নয়। তাঁর অতীত প্রচুর লোক জানে। তিনি না থাকলে সম্পর্ক খারাপ হত না।”
আইএসএল-এ ১৮টি ম্যাচ খেলে এসসি ইস্টবেঙ্গল জিতেছে মাত্র একটি ম্যাচ। তাদের সংগ্রহ মাত্র ১০ পয়েন্ট। ১০টি ম্যাচে হেরেছে তারা। ক্লাব বলছে, “সমর্থকরা বুকে হাত দিয়ে খেলা দেখতে বসছে আজ আমরা কম গোলে হারব কি না। ১০০ বছরের ক্লাবকে যেখানে নিয়ে গিয়েছে, এর থেকে খারাপ কিছু হতেই পারে না। পৃথিবীর কোনও ইনভেস্টর বোধ হয় এত অপদার্থ হবে না। এর থেকে দল তুলে নেওয়াও ভাল ছিল। এমন পরিস্থিতিতে কাউকে দোষারোপ করে ওরা বাঁচবে না। মানুষ ওদের ক্ষমা করবে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy