এটিকে মোহনবাগানের কোচ জুয়ান ফেরান্দো খুশি নন। ফাইল ছবি
শনিবার জুয়ান ফেরান্দোর অনুভূতি বর্ণনা করতে গেলে এই কথাটিই খাটে। এক দিকে যেমন চিরশত্রু ইস্টবেঙ্গলকে আবার হারানো গিয়েছে, তেমনই লিগ পর্বের শেষ ম্যাচ জিতে তৃতীয় স্থানে থেকে ঘরের মাঠে প্লে-অফ খেলার সুবিধাও আদায় করা গিয়েছে। তবু খুশি হতে পারছেন না জুয়ান। তাঁর মতে, এর থেকেও অনেক ভাল মরসুমের প্রত্যাশা করেছিলেন। সেটা হয়নি।
ম্যাচের পর জুয়ান বলেছেন, “এই মরসুমটা খুবই কঠিন গিয়েছে আমাদের। অনেক চোট-আঘাত সামলাতে হয়েছে। উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে কেটেছে সময়টা। তাই এই জয়ের পরেও পুরোপুরি খুশি হতে পারছি না। তবে প্লে-অফে ঘরের মাঠে খেলা নিশ্চিত করার একটা আনন্দ তো অবশ্যই রয়েছে।”
আগামী শনিবার ওড়িশা এফসি-র বিরুদ্ধে যুবভারতীতে নামবে এটিকে মোহনবাগান। সেই ম্যাচ জিতলে হায়দরাবাদ অথবা মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে দুই পর্বের সেমিফাইনাল খেলতে হবে। ফেরান্দোর মাথায় ইতিমধ্যেই ওড়িশা ম্যাচ নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়ে গিয়েছে। বলেছেন, “খুব গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে নামছি। গ্রুপ পর্বের সঙ্গে তুলনাই চলে না। কারণ ওটা নকআউট ম্যাচ। ৯০ মিনিটের খেলায় যা খুশি হতে পারে। হোম-অ্যাওয়ে ফরম্যাটে খেললে জানি যে একটা সুযোগ পাওয়া যাবে। কিন্তু ৯০ মিনিটের খেলায় একটা ভুল হলে সব শেষ। তাই আপাতত ওই ম্যাচে ফোকাস করছি।”
প্রথম পর্বের মতো এ বারও ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়ার্ধে জ্বলে উঠল মোহনবাগান। এ বারও তাই। কেন বার বার দ্বিতীয়ার্ধেই সাফল্য? ফেরান্দোর কথায়, “এ রকম কোনও ব্যাপার নেই। আজ প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্স বেশ ভাল খেলেছে। সঙ্ঘবদ্ধ ছিল। আমাদের গোল করার কোনও জায়গা দেয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে ওদের ডিফেন্স এবং মিডফিল্ডের মধ্যে একটা ফাঁক তৈরি হয়ে যায়। সেটাই আমরা কাজে লাগিয়েছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy