রেফারিকে নিয়ে তোপ দাগলেন স্টিভন। ফাইল ছবি
আশা জাগিয়ে চলতি মরসুমে আইএসএলের দ্বিতীয় পর্বের কলকাতা ডার্বিতে হেরে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। আবারও সেই প্রথমার্ধে ভাল খেলে মনঃসংযোগের কারণে হারতে হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। ম্যাচের পর রেফারিং নিয়ে ক্ষিপ্ত কোচ স্টিভন কনস্ট্যান্টাইন। তাঁর দাবি, দ্বিতীয়ার্ধে নিশ্চিত একটি পেনাল্টি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তাঁরা। ক্লেটন সিলভাকে বক্সের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। রেফারি পেনাল্টি দেননি। উল্টে প্রতিবাদী ক্লেটনকে হলুদ কার্ড দেখিয়ে সতর্ক করে দেন।
ম্যাচের পর স্টিভন বললেন, “প্রথমার্ধে আমরা ভাল খেলেছি। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে রেফারির দু’-একটা সিদ্ধান্ত ম্যাচে প্রভাব ফেলেছে। ক্লেটনেরটা পরিষ্কার পেনাল্টি ছিল। জানি না রেফারি দেখতে পেয়েছেন কিনা। কিন্তু বাকিরাও আমাকে বলেছে যে ওটা পেনাল্টি। ক্লেটনকে পরিষ্কার টেনে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। এ ধরনের ম্যাচে এই সিদ্ধান্তগুলো প্রভাব ফেলে।”
তবে একই সঙ্গে বলেছেন, “প্রথমার্ধে যে রকম খেলেছি, সেটা দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে পারিনি মেনে নিচ্ছি। কিন্তু রেফারির সিদ্ধান্ত ভুল হলে তাতে তো আমাদেরই ক্ষতি। আমাদের চার জন ফুটবলারকে হলুদ কার্ড দেখানো হয়েছে। ওদের মাত্র দু’জন হলুদ কার্ড খেয়েছে। তবে এটাও ঠিক, শুধু রেফারির সিদ্ধান্তের জন্যে আমাদের হারতে হয়েছে, এটা বলা ভুল।”
আইএসএলে এ বারের মতো অভিযান শেষ হয়ে গেল ইস্টবেঙ্গলের। দশম স্থানে থেকে শেষ করেছে তারা। গত বারের থেকে এক ধাপ উপরে। কী শিখলেন এই মরসুম থেকে? স্টিভনের উত্তর, “শিখলাম যে আরও আগে থেকে প্রস্তুতি শুরু করতে হয়। অগস্টে দল গঠন শুরু করে বেশি কিছুর প্রত্যাশা করা উচিত নয়। অক্টোবর থেকে আমরা ভাল ফুটবলার নেওয়া শুরু করেছি। অনেক ভারতীয় ফুটবলারকে বেছে রেখেছিলাম যাদের নিতে পারিনি। পরের বার এই ভুল করলে চলবে না। আই লিগ থেকে ফুটবলার খুঁজে আনতে হবে আমাদের। এ বার আমাদের কাছে সময় ছিল না।”
স্টিভনের সংযোজন, “মোহনবাগানের থেকে আমাদের আলাদা করে দিয়েছে প্লেয়ারদের গুণমান। ওদের একটা বিদেশির দাম যা, সেই অর্থে আমাদের চার-পাঁচ জন বিদেশি কিনতে হয়। বুঝতেই পারছেন, কাজটা কতটা কঠিন।”
ইস্টবেঙ্গল কোচের মতে, নাওরেম মহেশ, মোবাশিরের মতো কিছু ফুটবলার জাতীয় দলে খেলার যোগ্য। বলেছেন, “মহেশ এ বার দারুণ খেলেছে। মোবাশিরকে হয়তো আর একটা মরসুম খেলতে হবে। আশা করি ওদের উপর আগামী দিনে নজর রাখা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy